মৎস্যজীবীদের অধিকার সুনিশ্চিত হোক

Tuhin Shuvra Mandal

নদীর কথা এলে যাদের কথা আসবেই তারা হল মৎস্যজীবী। কারণ নদীর সাথে এদের যোগ সরাসরি। নদীই এদের জীবন, নদীকে ঘিরেই জীবিকা।বর্তমানে এরা বিপদে।আছে ভীষণ সংকটে। অথচ এদের কথা কেউ ভাবছে না, কেউ বলছে না।এদের নিয়ে কোন আলোচনা নেই।

দূষণ ও অন্যান্য কারণে বহু নদীতে মাছের যোগান এখন কমেছে। এদিকে পরিবারের লোকসংখ্যা তো বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। মৎস্যজীবীদের পরের প্রজন্ম আর এই পেশায় আসছে না।এমনকি বর্তমান মৎস্যজীবীদের মধ্যেও অনেকে বাধ্য হচ্ছে পেশা পরিবর্তন করতে। অনেকে কাজের খোঁজে পৈতৃক ভিটেমাটি ছেড়ে অন্য শহরে যেতে বাধ্য হচ্ছে। সেখানেও নানান বিপদ। ভালো কাজ তো পাচ্ছেই না, পুরুষরা উল্টে বাড়ীর মহিলা দের কাজের খোঁজে বেরোতে হচ্ছে অপরিচিত শহরে।

বাড়ীতে কমবয়সী মেয়েরা থাকলে তাদেরও অনেক সময় কাজে বেরোতে হয়।পড়াশুনা হচ্ছেনা। এমনকি অচেনা বড়ো শহরে নারী পাচারেরও শিকার হচ্ছে তারা।পুরুষরা কাজ না পেয়ে বা কম মাইনা পেয়ে (কেননা তাদের দক্ষতাও একটা বিষয়।সহজাত ভাবে অন্য কাজ করতে অভ্যস্ত কেউ কি করেই বা আরেক ধরণের কাজে দক্ষতা অর্জন করবে?) নদীর খারাপ অবস্থার দরুণ, মাছ না পাওয়ার দরুণ কি গভীর আর্থ-সামাজিক সঙ্কট তৈরি হচ্ছে কেউ ভেবে দেখছে না!।

এই বিষয়ে কোন ভাবনা নেই। কেন জলের উপর অধিকার থাকবে না মৎস্যজীবীর ? তাই স্লোগান উঠবেই ‘জাল যার জল তার’।

লড়াই শুরু হচ্ছে মৎস্যজীবি দের জন্য। ইতিমধ্যে শুরুও হয়ে গিয়েছে। মৎস্যজীবীদের অধিকার সুনিশ্চিত হোক। নদীকে ভালো রাখার পাশাপাশি তাদের ভালো থাকাটাও সুনিশ্চিত করতে চাই সবার সহযোগিতায়।

আরো পড়ুন….

রাজ্য নদী বাঁচাও কমিটি গঠিত হল পশ্চিমবঙ্গে

শ্রীমতি নদীর কান্না শুনবে কলকাতা

তরুণ কবি সৌমেন মন্ডল এর কবিতা “এক যে ছিল নদী”

সংশ্লিষ্ট বিষয়