দখল দূষণের কবলে গাজীপুরের চিলাই নদী 

দখল দূষণের কবলে গাজীপুরের চিলাই নদী 

গাজীপুরের চিলাই নদী এখন দখল দূষণের কবলে। জেলার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত এ নদীটি এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এক সময়ের প্রমত্তা এ নদীর সীমানা দখল করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন স্থাপনা ও কারখানা। সীমানা নির্ধারিত না থাকায় দখল ও দূষণের গতি বাড়ছেই। তবে স্থানীয় প্রশাসন নদীটি রক্ষায় উদ্যোগী হয়েছে। নদী উদ্ধার ও খনন করে নদী কেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। গাজীপুরের মধ্যে প্রধান চিলাই নদী। সদর উপজেলার ভাওয়ালের গড় থেকে শুরু হওয়া নদীটি বিভিন্ন পথ অতিক্রম…

তুলসীগঙ্গা নদীর প্রাণ ফিরিয়ে আনতে পুনঃখননের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে

তুলসীগঙ্গা নদীর প্রাণ ফিরিয়ে আনতে পুনঃখননের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে

নওগাঁ শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত তুলসীগঙ্গা নদী একসময় ছিল স্রোতস্বিনী। কিন্তু বছরের বছর ধরে দখল আর দূষণের শিকার নদীটি এখন মৃতপ্রায়—পরিণত হয়েছে সরু খালে। তা–ও আবার ঢেকে গেছে কচুরিপানার চাদরে। তবে নদীটির প্রাণ ফিরিয়ে আনতে পুনঃখননের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তুলসীগঙ্গার উৎপত্তি দিনাজপুরের শালখুড়িয়া ইউনিয়নের বিলাঞ্চল এলাকায়। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, এর দৈর্ঘ্য ১০০ কিলোমিটার। নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর এলাকায় ছোট যমুনা নদীর সঙ্গে মিশেছে। নওগাঁ সদর উপজেলায় এ নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ কিলোমিটার। ১৯৮৭ সালে সদর উপজেলার ছিটকিতলা এলাকায় জলকপাট নির্মাণ করা হয়। ওই এলাকায় তুলসীগঙ্গা থেকে…

আমার সখা নরসুন্দা : মু আ লতিফ (তৃতীয় পর্ব)

আমার সখা নরসুন্দা : মু আ লতিফ (তৃতীয় পর্ব)

নরসুন্দা নদীর উৎপত্তিস্থল হচ্ছে হোসেনপুরে। নরসুন্দা সেই হোসেনপুরে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে উৎপত্তি হয়ে পূর্ব দিকে বয়ে কিশোরগঞ্জের বুক চিরে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে মাকরসার জালের মত ছড়িয়ে গেছে। এটি কিশোরগঞ্জ শহরের বুকচিরে প্রবাহিত হয়ে পূবে করিমগঞ্জ হয়ে হাওরের ধনুতে মিশেছে। অ্যদিকে কিশোরগঞ্জ শহর হয়ে যশোদল হয়ে ও ভৈরবের দিকে চলে গেছে। এছাড়াও তাড়াইল, কটিয়াদিসহ জেলার অন্যান্য অঞ্চলের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়েছে। বলা যায় নরসুন্দা কিশোরগঞ্জকেই প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। তাই নরসুন্দার সঙ্গে এখানকার জনসাধারণের রয়েছে এক প্রবল প্রাণোচ্ছ্বাসের অনুভূতি। নরসুন্দা নদীর নামকরণ নিয়েও এখানকার মানুষের মধ্যে প্রবল আাবেগ কাজ করে। জনৈক নিষ্ঠাবান…

ঝালকাঠির ধানসিড়ি নদী এখন মৃতপ্রায়

ঝালকাঠির ধানসিড়ি নদী এখন মৃতপ্রায়

নদীর বুকে অল্প পানি। তাতে ঢেউ নেই। শীতকালে পানি শুকিয়ে হাঁটুসমান হয়ে গেছে। হেঁটে পার হওয়া যায়। কবি জীবনানন্দ দাশের প্রিয় ধানসিড়ি নদীর আজ এ অবস্থা। যেখানে কবি আবার ফিরে আসতে চেয়েছিলেন। কবি রূপসী বাংলা কাব্যগ্রন্থে লিখেছেন, ‘আবার আসিব ফিরে ধানসিড়িটির তীরে—এই বাংলায়/হয়তো মানুষ নয়—হয়তো বা শঙ্খচিল শালিখের বেশে।’ জীবনানন্দ দাশ ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তাঁর নানাবাড়ি ঝালকাঠির রাজাপুরের শুক্তাগড় ইউনিয়নের বামনকাঠি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিভিন্ন সময় নানাবাড়িতে বেড়াতে আসতেন। সে সূত্রে ধানসিড়ি নদীর প্রেমে পড়েছিলেন। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা শহরের অদূরে গাবখান সেতুর পাশ থেকে নেমে কিছু…

মুরাদনগরের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিতাস নদী এখন ধানিজমি

মুরাদনগরের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিতাস নদী এখন ধানিজমি

কুমিল্লার মুরাদনগরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে তিতাস নদী। একসময়ের খরস্রোতা তিতাস এবং এর শাখাগুলো এখন মুরাদনগরবাসীর দুঃখ। শুকনো মৌসুমে কোথাও পানির দেখা মেলে না। এ সময় তিতাসের বুকে  ইরি-বোরো ধানের আবাদ করা হয়। অন্যদিকে বর্ষা মৌসুম শুরু হলেই দুই কূল ছাপিয়ে কয়েক লাখ মানুষকে জলাবদ্ধ করে রাখে এ নদী। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, নদীটির উৎপত্তি হয়েছে ভারতের অঙ্গরাজ্য ত্রিপুরায়। সেখানে বাংলা ভাষায় হাওড়া এবং স্থানীয় কোকবোরোক ভাষায় সাইদ্রা নামে নদীটির নামকরণ করা হয়েছে; কিন্তু বাংলাদেশে নদীটি তিতাস নামেই পরিচিত। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় উৎপত্তি হয়ে নদীটি বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া…

স্মৃতিকথা : আমার সখা নরসুন্দা : মু আ লতিফ (দ্বিতীয় পর্ব)

স্মৃতিকথা : আমার সখা নরসুন্দা : মু আ লতিফ (দ্বিতীয় পর্ব)

কিশোরগঞ্জ শহর থেকে আনুমানিক ১৫ কিলোমিটার দূরেই ব্রহ্মপুত্র নদ। ছেলেবেলায় নরসুন্দায় সাঁতার কাটতে কাটতেই একবার মনে হলো যাই না একবার ব্রহ্মপুত্র নদ দেখে আসি। সাইকেলে চড়ে ক’জন বন্ধু চলে গেলাম হোসেনপুর। ব্রহ্মপুত্র স্বচক্ষে দেখলাম। প্রমত্ত ব্রহ্মপুত্রের বিশালতা দেখে অবাক হলাম। এর বিশালতা, ঢেওয়ের গর্জন এবং বড় বড় নৌকা দেখে চমকিত হয়েছিলাম। ছেলেবেলায় এটা ছিল আমাদের জন্য এক কৌতুহলি অভিযান ও নতুন অভিজ্ঞতা। সেদিন ব্রহ্মপুত্রের বিশালতা দেখে মনটাও যেন একলাফে বড় ও বিশাল হয়ে উঠেছিল। এখন পরিণত বয়সে এসেও সেই নদের স্বপ্ন দেখি। এখনো কল্পনা করি নরসুন্দা নদীপথে আমরা আবার হোসেনপুরে…

আমার সখা নরসুন্দা : মু আ লতিফ

আমার সখা নরসুন্দা

।। মু আ লতিফ ।। [প্রথম পর্ব] নরসুন্দা নদীর সঙ্গে আমার জন্মাবধি ভালোবাসা। আমার শৈশব-কৈশোর নরসুন্দার জল, জলের স্রােতধারা ও এর বালুচরের সঙ্গে মিশে আছে। নদীর নিরবধি বয়ে চলা, বর্ষায় টই-টম্বুর খরস্রােতা নরসুন্দার ছবি এখনো আমাকে উন্মনা করে। আমার শরীর-মন ও আমার চৈতন্যকে বিকশিত করেছে- আমার সখা নরসুন্দা। ছেলেবেলায় যে নরসুন্দাকে দেখেছি এখনো সেই স্মৃতিই মানসপটে আঁকা রয়েছে। খরস্রােতা যৌবনা নরসুন্দার কল্লোলধ্বনি এখনো কানে বাজে। ওই সময়ের নরসুন্দার শোভার কথা বললে এখন কেউ বিশ্বাস করবে না, জানি। কিন্তু ছেলেবেলার রোমাঞ্চকর স্মৃতি তো ভুলার নয়। কেউ বিশ্বাস করুক আর নাই করুক, সুখময়…

নদী কথা ০১: হালদা নদী

হালদা নদী

হালদা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি নদী। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাটনাতলী পাহাড় হতে উৎপন্ন হয়ে এটি ফটিকছড়ির মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম জেলায় প্রবেশ করেছে। এটি এর পর দক্ষিণ-পশ্চিমে ও পরে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে ফটিকছড়ির বিবিরহাট, নাজিরহাট, সাত্তারঘাট, ও অন্যান্য অংশ, হাটহাজারী, রাউজান এবং চট্টগ্রাম শহরের কোতোয়ালী থানার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এটি কালুরঘাটের নিকটে কর্ণফুলী নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। এর মোট দৈর্ঘ্য ৮১ কিলোমিটার, যার মধ্যে ২৯ কিলোমিটার অংশ সারা বছর বড় নৌকা চলাচলের উপযোগী থাকে। নামকরণ: হালদা খালের উৎপত্তি স্থল মানিকছড়ি উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নের পাহাড়ী গ্রাম সালদা। সালদার পাহাড়ী র্ঝণা থেকে নেমে আসা ছড়া…