সঙ্কটে নদী ও নদীনির্ভর মানুষের জীবন 

আবহাওয়া দপ্তর কিছুদিন আগে বলেছে গৌড়বঙ্গে এবার স্বাভাবিকের থেকে পঞ্চাশ শতাংশ কম বৃষ্টি হবে। ক’ দিন যেতে না যেতেই প্রবল বৃষ্টির জেরে গৌড়বঙ্গের অন্যতম দক্ষিণ দিনাজপুরে প্রবল বৃষ্টিপাত লক্ষ্য করা যায়। যার জন্য বন্যা পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। স্থানীয় আবহাওয়া বিভাগ আরও ক’দিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বলে জানিয়েছে। ফলে চিন্তার ছাপ নদী পাড়ের মানুষদের। ইতিমধ্যেই আত্রেয়ী, পুনর্ভবা, টাঙ্গন নদীতে জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। তাহলে কি হবে?

কিন্ত ঋতু অনুযায়ী এখন বর্ষাকাল। ফলে বৃষ্টি তো হবেই। কিন্ত স্থানীয় পরিবেশ কর্মীদের মতে, বৃষ্টির ধরণটা বদলে গিয়েছে। এখন দু- তিন দিনে সারা মাসের বৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে। তাই হঠাৎই বেশী পরিমান বৃষ্টি সমস্যা তৈরি করছে। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তাকে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে সমস্যাতে পড়তে হচ্ছে। দক্ষিন দিনাজপুরের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার ইতিমধ্যেই নদীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নিয়েছেন। ডাঙি, ডাকরা, বেলাইন, পার্বতীপুর ইত্যাদি জায়গার নদীপাড়ের মানুষরা সুরক্ষার ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

পুলিশ সুপার প্রসূন ব্যানার্জী আত্রেয়ী নদী পথে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে । ছবি- রিভার বাংলা

দু’বছর আগেও যে ভয়ংকর বন্যা হয়েছিল তাতেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছিল। স্বাভাবিকের থেকে অত্যাধিক বেশী বৃষ্টি হয়েছিল । এবছরের বন্যায় বেলাইন, ডাঙির বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে নিরাপদ জায়গাতে যান। জেলা পুলিশ সুপার জানান, “আমরা নদী পথে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যেটা দেখলাম তা হল বেশ কিছু জায়গাতে জল বেশী আছে। তবে আর যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে বিপদ কেটে যাবে।” এদিকে জেলাশাসকও পুনর্ভবা নদীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছেন। বাঁধ ভেঙে পুনর্ভবার জল গঙ্গারামপুরে ঢুকেছে। জেলাশাসক নিখিল নির্মল জানান, “আমরা সমস্ত রকম ভাবে প্রস্তুত আছি”।  কিন্ত প্রশ্ন হচ্ছে এইভাবে হঠাৎ অনিয়মিত অস্বাভাবিক বৃষ্টি হলে নদী পাড়ের মানুষের দুর্ভোগ হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের স্থানীয় প্রভাবের মোকাবিলায় কবে চিরস্থায়ী সমাধান হবে এটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন ।

আরো পড়তে পারেন…..

তাপস দাস এর সাক্ষাৎকার

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে

গল্প : পদ্মার সাথে বিনিদ্র বাসর

সংশ্লিষ্ট বিষয়