লাবণ্যবতী একটি স্রোতের নাম ।। সুস্মিতা চক্রবর্তী

লাবণ্যবতী

গল্প

সকাল…

দু পায়ের ফাঁক দিয়ে মুন্ডুটা উলটো করে ঢুকিয়ে মাঝেমাঝে আমি আকাশ দেখি। একঘেয়ে লাগলে আর কাজ না থাকলে। খালের উপর কংক্রিটের ব্রীজের ফোকর দিয়েও দেখি। আর দেখি মাঝেমাঝে রাত্তিরে ঘুম ভেঙে গেলে আমাদের ঘরের টালির ফুকো দিয়ে। এইসব উলটো, গোলাটে, তেরচা আকাশগুলোর কথা অবশ্য কাউকে বলি না। আর বলবই বা কাকে। একবার লিটনকে বলতে গিয়েছিলাম। আমায় একটা ঠেলা দিয়ে বললে ‘ স্লা বাপের জম্মে শুনিনি। কোদ্দিয়ে এসব পাস গুরু।’ লিটনটা ওইরকম। আমার চেয়েও দু বছরের ছোট। দেখলে কেউ বুঝতেই পারবে না যে এরম সব কথার ফুলঝুরি মুখে। তা দেখলে আর কিই বা বোঝা যায়। এই যে এত্তরকম আকাশ আছে আমার কাছে তাই কি কেউ বুঝবে দেখলে!

লিটন কিন্তু এমনি খুব ভাল। রতন কাকুর সাইকেলের দোকানের পাশেই মা বটতলা মিষ্টান্ন ভান্ডারে কাজ করে। বাসি মিষ্টি রাখে না ওই দোকানে। রাতে আর সাত সকালে যা বাঁচে কুকুরদের দিয়ে দেয়। লিটন কতবার খাইয়েছে আমায় ক্ষীরকদম।

রতন কাকুর দোকানের পাশ দিয়ে গেছে খাল। সাইকেলে পাম্প দিতে দিতেই দেখলাম খালপাড় দিয়ে মা আসছে।একটা বিরাট জেসিবি মেশিন কাল থেকে খালপাড়ে দাঁড়িয়ে। মাটি তুলে নাকি খাল পরিস্কার হবে। তার পাশ দিয়ে সরু হয়ে আসতে গিয়ে মা একচিলতে একটা আকাশ আড়াল করে দিল। ডাইনোসরের মত মেশিনটা আর বাজারের ভীড়ের মধ্যে ওইটুকু আকাশ লেগেছিল। আমি মুখটা ঘুরিয়ে নিলাম। যাক চলে যাক। তারপর আবার ঘাড় ফেরাব। রোজ সকালে মা, আমার আকাশের একটা না একটা টুকরো ঠিক এমনি করে ঢেকে দিয়ে চলে যায়।

প্রথম যখন মা চলে গেল খুব কেঁদেছিলাম। কদিন নাকি খাইনি। এখন ভাবলে হাসি পায়। আসলে বাচ্চা ছিলাম তো। লিটনের চেয়েও ছোট। পাঁচ বছর আগে সেসব। আমিও ওই চার পাঁচই হব তখন।খালপাড়েই ছিলাম তখনো। এই টালির ঘরটাতেই। তখন কি ফুটো ছিল টালিতে? রাত্তিরে ঘুম ভাঙলে আকাশ দেখা যেত তেকোণা? কি জানি। তখন রাত্তিরে ঘুম ভাঙত না। ঘুম ভাঙা শুরু হল, ওই মা চলে গেল, তারপর বাবা শিয়ালদার কাছে ভাতের হোটেলে আমায় নিয়ে কাজ করতে গেল, তার ও পর থেকে। এরমই এক ভোরে ঘুম থেকে উঠেছি। মালিক বললে বাবা নাকি চলে গেছে কোথায়।আমি বাসন টাসন ধুতাম। সেই টাকাও নিয়ে গেছে বাবা। কদিন প্ল্যাটফর্মে ঘুরে ঘুরে বেড়ালাম। তখনো আকাশ দেখতে শিখিনি এতরকম। খালি পুলিশ দেখতাম তখন। আর দেখলেই দৌড়। তবু একদিন ধরা পড়ে গেলাম।ডেন্ড্রাইটের নেশা করা কটা বাচ্চার সাথে একটা হোমে চালান হলাম বারাসাতে। উঁচু পাঁচিল, সারাদিন তার মধ্যে থাকো। জেলখানার মত একটা তিনতলা বাড়ি। কিলবিল করছে সব আমার মত হাঘরে বাচ্চা। হাঘরে শব্দটা একদিন ওখানেই শুনেছিলাম।আকাশ দেখতাম খালি তখন।ওই তখন থেকেই চৌকো, গোল, লম্বাটে, তেকোনা আকাশের টুকরো জমাতে শুরু করলাম। তারপর একদিন আবার বাবা ই খোঁজ করে গিয়ে ছাড়িয়ে আনল। সেই থেকে রাতে ঘুম ভেঙে যায়। সকালে উঠে যদি দেখি বাবা চলে গেছে আবার!

মা, চলে যেতেই লম্বাটে আকাশের টুকরোটা আবার ঝুলে গেল ল্যাগব্যাগে কিম্ভূত মেশিন আর রাস্তাটার ফাঁকে।এই যে খালটা আমাদের সাজিরহাটের মধ্যে দিয়ে গেছে, নিউব্যারাকপুর, বিরাটির দিকে এর নাম নোয়াই। কালো জল, রাত্তিরের মত। মেঘগুলো পর্যন্ত কালো হয়ে ভাসে। গেঞ্জি কারখানার রঙ মিশে মিশে সবাই বলে বারোটা বাজছে। হোমের ছেলেদের সাথে মিশলে যেমন ভালো ছেলেদের বারোটা বাজে লোক বলে সেইরকম। খালটা কোত্থেকে এসেছে আর কোথায় গেছে এসব নিয়ে মাথা ঘামাই নি কোনদিন। রাস্তার লোক কি মাথা ঘামায়, আমি কোত্থেকে আসি, কোথায় যাই! খালটাও আমার মত। হাঘরে বাচ্চা! কাল প্রথম শুনলাম এ নাকি খাল নয়, নদী। বোঝো! কচুরিপানা ঢাকা, দুর্গন্ধ ভাসা খাল সে নাকি নদী!নদীর পাড়ে আমার ঘর! বলে কি লোকটা!লোকটা মানে ওই মাটিকাটার কাজ তদারক করছিলেন সকাল থেকে এক ভদ্রলোক উনি।

লিটনদের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আমি ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করছিলাম। মাটি কেটে কি হবে, খালে শুনছি নৌকো চলবে, সত্যি কিনা, এইসব মাটিকাটা লোকেদেরকে জিজ্ঞেস করছিলাম। লোকটা চা খাচ্ছিল।কখন আমার কথা শুনছে টের পাইনি। হঠাৎ দেখি ডাকল। ‘ খাল বলছিস যে, এর নাম কী জানিস? লাবণ্যবতী।’ লিটনকে, রতনকাকু লেটো বলে ডাকে ঠিকই তা বলে লাবণ্যবতী নাম যার সে নোয়াই? কেমন করে হল? কেমন করে হয়? তা সে গল্প শুনব না সাইকেলে পাম্প দেব! লোকটাকে আরো অনেক কথা জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হচ্ছিল, তার আগেই চলে আসতে হল। দেখি আজ যদি দেখতে পাই আবার।ভাবতে ভাবতেই দেখি দূরে বাসস্টপে দাঁড়িয়ে মা। এখনো! চোখ সরু করে আবার দেখলাম। না, না মা নয়। অন্য কেউ।শুধু জামার রঙটা এক।আমার জন্যে মা তো আর দাঁড়ায় না। আমি তাকাই না যে আর। সাড়া দিই না যে ডাকলে। মা’ র মতো জামাটা একটা বাস এসে দাঁড়াল, তাতে উঠে চলে গেল, এখন বাস স্টপ খাঁ খাঁ। কদম গাছের মাথায় চেয়ে আছে একটা আকাশ।সেটা ঠিক কেমন? চৌকো, তেকোনা, গোলাটে!… নাহ এর কোনটাই নয়। এই আকাশটা ঘুম ভাঙা রাত্তির যেমন।

বিকেল…

সারাদিনের ধুলোখেকো রাস্তার উপর তখন বইছিল একটা নদী। বেলাশেষ এমন অনেক নদীর জন্ম দেয় আদাড়ে বাদাড়ে। তাদের হয়ত কেউ দেখতে পাওয়ার আগেই আবার ঢেকে নেয় অন্ধকার। তাদের মুখের উপর ঝুঁকে পড়া গাছ নেই, স্রোতের উথাল নেই তাদের। কয়েক মুহূর্তের নদী তারা, গোধূলির খেয়ালে আঁকা। মুরগিকাটা দোকানের পালক উড়ে আসে। ঝরাপাতার মত লাট খায়। ভাঙা, ক্ষয়াটে পিচ রাস্তার উপর পড়ে থাকা চিকচিকে আলোর নদীটা পিষে, মাড়িয়ে চলে যায় ঊর্দ্ধশ্বাস শহর।আজ কিন্তু একজন দেখছিল ধুলোর উপর গড়িয়ে যাওয়া নরম হলুদ আলোর নদীটাকে।লাবণ্যবতীর কথা শুনেছে সে এইমাত্র। তার দুচোখ ভরে আছে জোয়ারের মত বিস্ময়! বিশ্বাস হয় না একটা নদীর পাড়েই বাস করে আসছে সে এতকাল। মুখ নীচু এখন সেই ছেলেটার। সেও একটুকরো ছোট্ট ধুলোটে রাস্তাই যেন।হলদে নদীটার আলো ছলকে উঠে তাই একটু ভিজিয়ে দেয় তাকেও।ছেলেটা দেখছে মুখ নীচু করে। ধীরেধীরে মিলিয়ে আসছে আলোর নদীটা। এরপর পলকহীন ফ্যাটফ্যাটে সাদা আলো রাস্তার গিলে নেবে তাকে, লাবণ্যবতীকে যেমন গিলে নিয়েছে নোয়াই। একদিন নৌকো করে হয়ত সওদাগর যেত এই খাল বেয়ে। এই কালো আকাশ ছিল না তখন তার জলে।লাবণ্যবতী বয়ে যেত গঙ্গার স্মৃতি নিয়ে সেইই হাড়োয়ার গাঙে। হাড়োয়া কোথায়? ছেলেটা জানেনা। হাসনাবাদের দিকে আছে নাকি কোন জায়গা, লোকটা বলল সেইখানে। নদীয়ার কাছ থেকে বইতে বইতে এত সব মানুষের পাড়া বেয়ে লাবণ্যবতী চলে যেত নির্ভয়ে একা একা। তখনো কালো আকাশ, ঘুম ভেঙে যাওয়া মাঝরাতের মত ছায়া ফেলেনি তার বুকে।আঙুল দিয়ে ইকড়িমিকড়ি টানে পথের উপর সে।তেকোনা, চারকোণা, গোলাটে, ঠিক কেমন আকাশ আঁকতে চায় মন, বুঝতে পারে না। এতক্ষণ ধরে শোনা গল্পটায় ভাসে আর ডোবে যে মন।কখন আঁধার নামে টের পায় না যেন আর। ধীরেধীরে ডুবে যায় রাতের মোহনায় আলোর খেয়ালে আঁকা চিকচিকে পথ, লাবণ্যবতী আর দশ বছরের এক বালক। অনেক দূর থেকে দৃশ্যটা দেখতে পায় ডিঙি নৌকোর মত ছিপছিপে চাঁদটা। পৃথিবীর সমস্ত হারানো নদীদের সে চিনে আসছে বহুকালধরে।

ভোর…

বর্ষা আসতে এখনো সপ্তাহ দুই।চিটপিটে ভোরগুলো সব একইরকম এইখানে। চায়ের দোকান আর বাজারের ব্যস্ততা যেন আচমকা ঝাঁকুনি দিয়ে ঘুম ভাঙায় সকালটার। পাঁচমেশালি ভীড়ে, ঘামে আর ধুলোয় জড়িয়ে যায় ভোরগুলো।খালপাড়ের গাছেরা শুনেছে পৃথিবীর অন্য আকাশের কথা, সেখানে রূপকথার মতো আলোয় নাকি চান করে সব ভোরেরা। হবেও বা। এখানে তো কোনক্রমে খালের মাটি আঁকড়ে তাদের দিন গুজরান।ঝুপড়ির পিছনে কালো জলের ধারে সংসারের উচ্ছিষ্ট, শহরের আবর্জনায় গাঁথা তাদের শিকড়। এবার কি সেটুকুও যাবে? মাটি তোলা হচ্ছে, খাল চওড়া হবে।ঘোড়ানিম গাছটা কবরখানার পাশে, তার মত আছে কয়েকজন প্রাচীন এ তল্লাটে। নোয়াই এর লাবণ্যবতী কাল দেখেছিল তারা। উইপোকার মত মানুষ উঠে এলো তারপর। চোখের সামনে কুরে কুরে তারা খেয়ে ফেলল আস্ত একটা নদী। ছেঁড়া ছেঁড়া কিছু ডোবা, জলের টুকরো স্মৃতি হতে হতে লাবণ্যবতী কবে যেন হয়ে গেল নোয়াই খাল।খাল থেকে এখন সে শহুরে মজুর, দিনরাত আবর্জনা বইবার। বর্ষার খবর আর আসে না তার কাছে। এই গাছেরা সক্কলেই জানে নদী কখনো এভাবে ফেরে না আর।জনপদের নীচে কবেই কবর হয়েছে সে। ছিঁড়েছিঁড়ে নিয়েছে তাকে শহর। সবকটা টুকরো জোড়া যাবে না আর। মাটি তুলে তুলে হয়ত সে হবে চমৎকার একটা পয়ঃপ্রণালি খাল। বাঁধান পাড়। আলো জ্বলা রংবাহারি। এসে বসবে তার পাশে কোন কোন শহুরে খরিদ্দার। পাখিরা সরে যাবে আরেকটু দূরে। আরেকটু একলা হবে নোয়াই। আর, লাবণ্যবতী? সে তো কবেই ইতিহাস!

গাছেদের মতোই নদীর কথা ভাবছিল আরো একজন। দশ বছরের এক বালক।রতন সাইকেল মার্ট এর থেকে একটু এগিয়ে একটা কদম গাছ। চুপ করে আজ সে দাঁড়িয়ে তার আড়ালে।রতনকাকু দেখতে পায় নি তাকে। খুঁজছে হয়ত। ভাবছে দেরি তো করে না কোনদিন। কী হল আজ! খুঁজুক। আজ তার মন পড়ে আছে এক নদীর কাছে।গতকাল সারারাত ঘুম আসে নি তার। ছলছল করে ডেকে নিল জল।ঘুম না আসা রাতে এলো একটা নৌকা, ইচ্ছেমত সাজাল সে সেই নৌকোটাকে। বিকেলের রঙের আকাশের মত সাজাল। সওদাগরের ডিঙা তো দেখেনি সে কখনো। তবু নির্ঘাত তার নৌকোর মত সুন্দর ছিল না সেটা। নৌকোয় তিনটি প্রানী। বাবা, সে আর মা। জলের মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে সে ভাসিয়ে দিচ্ছিল সবকটা জমানো টুকরো আকাশ তার। তেকোণা, চৌকো, গোলাটে। ছেঁড়া ছেঁড়া টুকরোরা সব জুড়ে জুড়ে আস্ত একটা আকাশ, ঝিলমিলে তারা ভরা। সেখানেও একটা ছিপছিপে নৌকো। চাঁদ।

সাইকেলের দোকানের সামনে দিয়ে যেতে যেতে রোজকার অভ্যাসে ঘাড় ঘোরাল মেয়েটি। নেই! আজ নেই কেন! আসেনি? কী হল! বুকটা ধক করে ওঠে তার।এমন তো হয় না সচরাচর। যাবে? একবার গিয়ে খোঁজ নিয়ে আসবে? অসহায়ের মত এদিকওদিক দেখে। রতনদাকে জিজ্ঞেস করবে? পিছনে প্যাঁ প্যাঁ করে একটা টো টো। খালের মাটি তোলা হচ্ছে। রাস্তাটার এক্কেবারে নরক গুলজার অবস্থা। লোকজন, টোটো, অটো…এ রাস্তায় এমনিই রোজ কুকুর, বেড়াল চাপা পড়ে! হঠাৎ কেমন অসাড় লাগে শরীরটা তার। দেরি হয়ে যাচ্ছে কাজে যেতে। এরপর বাস চলে গেলে দিনটা বরবাদ। সেসব মনে নেই তার আর এখন। উল্টোমুখে ফেরে। লোক ঠেলেঠুলে খালের অন্য পাড়ের রাস্তাটা ধরে।

হনহন করে হাঁটছে এখন সে।তার উড়োচুলে দু এক কুচি রোদ্দুর লেগে।গায়ের রঙচটা আকাশি ওড়নাটা ভেসে আছে হাওয়ায়।এই দৌড়ের সাথে তাল মেলান কঠিন হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ ওড়নাটার। পিছন পিছন প্রায় ছুটে ছুটে আসছে দশ বছরের এক বালক। আকাশি ওড়নাটাকে তার মনে হচ্ছে গতরাতে দেখা নৌকোটার পাল।খুব সাবধানে আসছে সে। যেন ঘাড় ঘোরালে তাকে দেখতে না পায় হনহনিয়ে হাঁটা সামনের জন। বুকের ভিতর এখন বালকের ছলাৎছল। নদীর মতো লুকোচুরি খেলছে আজ তার সকাল।

গাছেরা দেখছে দৃশ্যটা। ছেঁড়াখোড়া নদী ফেরে না। মানুষ সেও কি ফেরে আর হারানো টুকরো সব কুড়িয়ে কখনো। অতসব জানেনা গাছেরা। রূপকথার মত কোন ভোর দেখেনি তারা এই খালপাড়ে। রোদ্দুরে এমন আকাশি নদীর মতো ওড়না ওড়া সকাল ও কি দেখেছে তারা কখনো! কালো খালের পাশের রাস্তা দিয়ে যেন বয়ে যাচ্ছে বিকেলের খেয়ালী আলোর মত একটা মুহূর্তের নদী। প্রায় ছুটে যাওয়া এক মেয়ে আর লাফাতে লাফাতে যাওয়া এক বালক ভেসে চলেছে তার স্রোতে। গাছেদের শিকড়েরা কুড়িয়ে নিচ্ছে সেই স্রোতধ্বনি। মানুষেরা তো শুনতে পায়না সব তরঙ্গ, সব আওয়াজ। বহুদিন পর গাছেদের শিকড় ছুঁয়ে নোয়াই কিন্তু শুনছে আবার বাতাসে কোন এক লাবণ্যবতীর ছলাৎছল।

সুস্মিতা চক্রবর্তী : কথাশিল্পী, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।

সুস্মিতা চক্রবর্তী’র আরও লেখা….
আমার নদী…তুই ডাকলেই সাড়া দেয় যারা ।। সুস্মিতা চক্রবর্তী

সংশ্লিষ্ট বিষয়