লন্ডনের টেমস নদীর পানিতে উচ্চমাত্রার মাদক, নেশাগ্রস্ত হচ্ছে মাছ

লন্ডনের টেমস নদীর পানিতে উচ্চমাত্রার মাদক, নেশাগ্রস্ত হচ্ছে মাছ

লন্ডনের বাসিন্দারা অতিরিক্ত মাত্রায় কোকেইন সেবন করছেন। আর এই কোকেইন তাদের মল-মূত্রের সঙ্গে চলে যাচ্ছে টেমস নদীতে। প্রথম সারির এই মাদকে আসক্ত হচ্ছে ওই নদীর ঈল মাছ ও অন্যান্য প্রাণী।

লন্ডনের হাউস অব পার্লামেন্টের কাছের এই নদীর পানিতে কোকেইনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি পেয়েছেন গবেষকরা। তারা বলছেন, টেমসে অতিরিক্ত পানি সরবরাহ ও ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে এই মাদক দূর করা উচিত। টেমসের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ব্যর্থ হচ্ছে। এর ফলে নদীর ঈল মাছ-সহ অন্যান্য প্রাণী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। লন্ডনের টেমস নদীতে প্রত্যেক বছরের এপ্রিল এবং অক্টোবরের মাঝে আসে ঈল মাছ। এই সময়ে ঈল মাছ অনেক ঝুঁকি এবং প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়; যা জীবনকে বিপন্ন করে তোলে।

গবেষণায় দেখা যায়, গ্রিনিচ ও নদীর মোহনার কাছে সচরাচল চলাচল করে এই মাছ। নদীর পানিতে কোকেইনের উচ্চমাত্রার উপস্থিতি তাদের আচরণ পরিবর্তন করে। অনেক সময় এই মাছ লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে।

রিভার বাংলা ডট কম

গবেষকরা বলছ্নে, শহরের ময়লা আবর্জনা ও বাসা-বাড়িতে ব্যবহৃত পানির লাইনও টেমসে গিয়ে ঠেকেছে। এসব দূষিত আবর্জনাও ঈলের জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে।

কিংস কলেজ লন্ডনের গবেষকরা দ্য সানডে টাইমসের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক জোনাথন লিককে বলেন, শহরের পয়ঃনিষ্কাশন ২৪ ঘণ্টা ধরে পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, এতে ক্যাফেইন, কোকেইন ও বেনজোলেকগোনাইনের উচ্চমাত্রার উপস্থিতি আছে।

সূত্র : ডেইলি মেইল ও জাগো নিউজ ডট কম।।

আরো পড়ুন..

তিস্তা নদী : শুকিয়ে যাচ্ছে কি সিকিমের কারণেই?

কীর্তনখোলার ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ নদীতে মাছ ধরে জীবন যাপন করছে

সংশ্লিষ্ট বিষয়