বিশেষ প্রতিনিধি>>
কুমিল্লার দাউদকান্দির গোমতী নদীতে বালু বোঝাই প্রতি ভলগেট এবং ট্রলার থেকে চাঁদাবাজি করার প্রতিবাদে অবস্থান ধর্মঘট করেছে দাউদকান্দি- গজারিয়া ভলগেট পরিবহন মালিক সমিতি। দাউদকান্দির গোমতী সেতু এলাকায় রোববার (২০ জুন ২০২১) দুপুরে শুরু করা এ প্রতিবাদ কর্মসূচি ও ধর্মঘট চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
এসময় তারা অভিযোগ করেন, নদীর প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় অন্তত ১০টি স্থানে চাঁদাবাজদের ভয়কংর সাম্রাজ্য গড়ে ওঠেছে। আইনশৃংখলা বাহিনীর নজরদারি ফাঁকি দিয়ে জলসন্ত্রাসীরা এসব চাঁদাবাজি কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে চাঁদাবাজি বন্ধে নৌ-পুলিশের নজরদারি বাড়নোর দাবি জানান তারা। তারা জানান, প্রতিটি ভলগেট থেকে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা চাঁদা আদায়সহ প্রায় ৩শ ভলগেট থেকে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদায় করে একটি অসাধু চক্র।
এসময় বক্তব্য রাখেন দাউদকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী সুমন (অব.) সহকারী পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি ও চান্দিনা সার্কেল) মো. জুয়েল রানা এবং ভলগেট মালিক সমিতির সভাপতি মেহেদী হাসান টিপু, মাহবুব মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেনসহ অন্যান্যরা।
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী (অব.) বলেন, মেঘনা-গোমতী নদীতে প্রশাসনের নৌ-টহল হয় না, যদি এই নদীতে নৌ-টহলের উদ্যোগ নিয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করে তবে কোনো সন্ত্রাসী জাহাজের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা গ্রহণ করার সুযোগ পাবে না। বক্তৃতায় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন উপজেলা চেয়ারম্যান।
সহকারী পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি ও চান্দিনা সার্কেল) মো. জুয়েল রানা বলেন, দাউদকান্দি গোমতী নদীকে ১ সপ্তাহের মধ্যে চাঁদাবাজী মুক্ত করে নিরাপদ নৌপথ সৃষ্টি করা হবে।
এর আগে, গত ১৪ জুন ২০২১, উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী রাজনৈতিক কর্মসূচি শেষে গৌরীপুর থেকে গোমতী নদী হয়ে ফেরার সময়
বালু ও মালবাহী বাল্কহেড থেকে চাঁদা তোলার অভিযোগ পান। তাৎক্ষণিকভাবে নেতাকর্মীদের নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান চাঁদাবাজদের হাতেনাতে ধরতে ট্রলার নিয়ে এগিয়ে যান। এসময় চাঁদাবাজরা ইঞ্জিনচালিত নৌকা ফেলে গ্রামের ভেতর দিয়ে পালিয়ে যায়। চাঁদাবাজদের নৌকায় ৫-৭টি ধারালো অস্ত্র পাওয়া গেলে পরে সেগুলো দাউদকান্দি মডেল থানায় জমা দেয়া হয়।
![RiverBangla logo](https://riverbangla.com/wp-content/uploads/2018/10/RiverBangla-logo-1.png)