যে ছেলে নদীর পাড়ে বসে কবিতা লিখে সে ছেলে কখনও গাঁজা খাবে না। যে মানুষ নদীর তীরে বাস করে তারা কখনও অলস হয় না। প্রকৃতির বৈরিতার সাথে যুদ্ধ করে সরল জীবনযাপন করবে।হাজার হাজার বছর ধরে আবহমান বাংলার জীবনযাত্রা সংস্কৃতি, সাহিত্য, সমাজ, শিল্প সবকিছু গড়ে উঠেছে নদী কেন্দ্রিক।
আজ নদ- নদীগুলোর যৌবন হারানো মানে বাংলা মায়ের বন্ধ্যাত্ব নেমে আসা। ফুলে, ফলে, ফসলে, সোনার বাংলা আজ নেই। রাসায়নিক নির্ভর কৃষি। হৃদ্যতার ভাটা পড়েছে মানব সমাজে। নদীর কলকলানির মতো সহায়ক সমাজ ব্যবস্হা নেই। একটি ঊর্মি আরেকটি ঊর্মিকে নিয়ে সহাবস্হানের খেলা আর দূর্বার ছুটে চলা আর দেখা যায় না।
সমাজেও হৃদয়ের টানে ভাটা, মানুষ স্বার্থের শৃংঙ্খলে আঠা।দূরপাল্লার মাল্লাদের জারি শাড়ির বিমুদ্ধতা নেই সুরের টানে, অপরাধি সবাই যে যার স্থানে। গঞ্জভিত্তিক অর্থনৈতিক চাকা আর ঘুরে না।শহরায়নের পাসওয়ার্ড ব্যাংকে বীমায়।প্রকৃতির শিরা উপশিরা যেখানে নদী, তার বিহনে ধূসর হবেই সবকিছু।
নৌকাডুবি, উপকূলের মতো সাহিত্য আর আসবে কি? আসবে না। নদীকে রুদ্ধ করে দিয়েছি আমরা। এই রুদ্ধতার দ্বার খুলতে হবে। নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে মৃত নদীগুলোর। তবেই নদী ও নারী দর্শনে ফিরবো মোরা। প্রকৃতি ও সভ্যতার বিকাশে নদী ও নারী মূল আঁতুরঘর। একথা ভুলে গেলে চলবে না। আসুন সবাই শ্লোগান তুলি আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি রাজনৈতিক দল যেন তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলার প্রতিটি মৃত, স্রোতহীন নদ- নদীর নাব্যতা রক্ষার কথা তোলে ধরে।এবং পরে বাস্তবায়ন করার অঙ্গিকার করে ।প্রথম সোপান শুরু হোক।
আরো পড়তে পারেন…
ধীবর’রা ভয়ংকর সংকটে, আমাদের বিপদও ঘরের দুয়ারে
নদীয়ার গোরাগাঙনি : খাল নয়, নদী
তাড়াইলে “রিভার বাংলা নদী সভা” কমিটি গঠন
তাড়াইলে নদী ভাঙ্গন, দেখার কেউ নেই!
শিক্ষক ও নদী রক্ষা আন্দোলন কর্মী
তাড়াইল, কিশোরগঞ্জ।