এই তো কদিন আগেই ছিল একটাই দেশ। কালের সময়ে বাহাত্তর বছর কতই বা! দুই বাংলা ছিল একই।একই ভাষা, একই সংস্কৃতি, একই চিন্তা-চেতনা। ঘটনাপ্রবাহের অনিবার্য পরিস্থিতি মাঝে এনেছে কাঁটাতার, কাঁটাতারের যন্ত্রনা। কিন্ত পাখিকে তো সীমান্তের চোখরাঙানির মাধ্যমে আটকে রাখা যায়নি। আর নদী? তার প্রবাহপথে কোথাও তো কাঁটাতার দেওয়া যায়না। নদী আসলে দুই বাংলার অখন্ডতার ছবি। নদীপথই সেই কথা বারবার মনে করিয়ে দেয় আমাদের।এবার সেই বার্তাই যেন আরো একবার সামনে আসবে এম ভি মধুমতির মাধ্যমে।
হ্যাঁ, আগামী উনত্রিশ মার্চ দুই বাংলার সম্পর্কে একটি ঐতিহাসিক দিন।এর আগে ট্রেন এবং বাসে মৈত্রীর সম্পর্ককে দৃঢ় করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।আর এবার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ আগামী উনত্রিশ মার্চ শুক্রবার পাগলা মেরি এন্ডারসন ( ভি আই পি জেটি) থেকে এম ভি মধুমতি জাহাজ যাত্রা শুরু করানোর উদ্যোগ নিয়েছে।রাত নয়টার সময় ছেড়ে বরিশাল- মংলা-সুন্দরবন-আন্টিহারা- হলদিয়া হয়ে কলকাতা পৌছাবে। এর ফলে দুটো বিষয় সামনে আসার প্রবল সম্ভাবনা। এক. আগেই বলেছি দুই বাংলা আরো একবার সম্পর্কের আলোয় নিজেকে চিনে নিতে পারবে।নতুন নতুন সম্ভাবনার দিক আলোচনাতে আসবে।তাতে দুই বাংলাই এগিয়ে যাবে নিশ্চিতভাবে। দুই. নদী যে দুই বাংলার অপরিহার্য সম্পদ তা আরো একবার অনুভূত সবে।তাই সামনে আসবে নদীকে ভালো রাখার উপায়।নদীকেন্দ্রিক উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা বোঝা যাবে।এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ নদী রক্ষায় বথাপক ব্যাপক নদী রক্ষার কর্মকান্ড শুরু করেছে। এপার বাংলাতে শুরু হয়েছে নদীকেন্দ্রিক অভিযান। এম ভি মধুমতি নদী রক্ষার স্মারক হয়ে উঠবে। নদীমাতৃক বাংলার পক্ষে যা সর্বাধিক প্রয়োজন। প্রয়োজন বাংলার নদীকে নতুন ভাবে চিনে নেবার।নিজেদেরকেও নতুন ভাবে চিনে নেওয়া যাবে।