সদ্য ঘোষিত লোকসভা ভোটের ফলাফলের মাধ্যমে ভারতবর্ষের সবচেয়ে বড় উৎসবের পরিসমাপ্তি হলো। বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে এবার ভোটের অন্যতম ইস্যু ছিল নদী। আরও নির্দিষ্ট করে বললে আত্রেয়ী নদী। বিশেষত তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি প্রার্থী নদীর ইস্যু প্রচারে এনেছেন।
এবার বালুরঘাট কেন্দ্রে জয়লাভ করেছেন বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে এর আগের সাংসদ নদীর প্রশ্নে ইতিবাচক ছিলেন। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রাজ্য ও কেন্দ্রে তুলে ধরেছেন। জেলার নদী ও পরিবেশ কর্মীরা নবনির্বাচিত সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের কাছে জেলার নদীর বিষয় গুলি নিয়ে ইতিবাচক সাড়া চান।
দাবী গুলি নিম্নরুপ:
এক) জেলার প্রধান নদী আত্রেয়ী সমস্যার স্থায়ী সমাধান
দুই) পুনর্ভবা, টাঙ্গন, শ্রীমতি, ইছামতি, যমুনা এবং আত্রেয়ী নদীর খনন ও পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা গ্রহণ
তিন) হারিয়ে যাওয়া ব্রাহ্মণী নদীর পুনরুদ্ধারে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ
চার) আমাদের জেলাতে আন্ত: সীমান্ত নদীর সংখ্যা বেশী।তাই বালুরঘাটে আন্তর্জাতিক নদী গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলা
পাঁচ) নদীকে কেন্দ্র করেই যাদের জীবিকা নির্বাহ তাদের জীবিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ।
নব নির্বাচিত সাংসদের কাছে আপনি কি চান? এই সংক্রান্ত সমীক্ষাতে রুমা ঘোষ জানান- ‘বন্যা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিতে যদি জোর দেওয়া হয় তাহলে ভাল হয়।’
নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি পারমিতা ধাড়া জানান- ‘বর্তমান সময়ে প্লাস্টিক সবচেয়ে বড় দূষক।নদীতে যে আবর্জনা মেশে তার বেশীরভাগই প্লাস্টিক জাতীয়।তাই প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলাতে সুনির্দিষ্ট প্ল্যান নেওয়া জরুরী।’
সুতপা দাশগুপ্ত, শুভ্র চক্রবর্তী, কৃষ্ণেন্দু সিংহরা জানান, নদী বাঁধ এবং নদী সংক্রান্ত সমস্যাগুলি আরও জোরালো ভাবে তুলে ধরার কথা।
একথা বলার অপেক্ষা রাখেনা যে এবছর লোকসভা নির্বাচনে নদী একটা ইস্যু ছিল ভারতবর্ষে। বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রেও নদীকে কেন্দ্র করে ভোটের ইস্যু আবর্তিত হয়।এখন নির্বাচন পরবর্তী অধ্যায়ে এই বিষয় গুলোর দিকে নজর থাকবেই আপামর জেলাবাসীর।প্রশ্ন হচ্ছে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ভোট পর্বের পরেও কতটা বজায় থাকে সেটা এখন দেখার। কে না জানে নদী বাঁচলে তবে আমাদের বাঁচার প্রশ্ন। নদীর সাথে জুড়ে আছে মানুষের জীবন- জীবিকা- ভবিষ্যত। আমরা আশাবাদী যে নব নির্বাচিত বিজেপি সাংসদ নদীর বিষয় গুলি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।