রৌমারীতে নদীভাঙন রোধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জিঞ্জিরাম নদী সুরক্ষা কমিটি। মঙ্গলবার কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বকবান্ধা ব্যাপারিপাড়ায় জিঞ্জিরাম নদীর পাড়ে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সাত শতাধিক মানুষ অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নদী সুরক্ষা কমিটির নেতা মহীউদ্দিন মহির, ইউপি সদস্য আবু সাঈদ, রৌমারী মহিলা কলেজের শিক্ষক আব্দুস সামাদ খান, বকবান্ধা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান, ট্রোসা প্রকল্পের প্রতিনিধি খায়রন্নেসা সরকার প্রমুখ।
স্থানীয় বকবান্ধা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমি যে স্কুলে চাকরি করি সেটা একবার ভেঙেছে। আবারও ভাঙনের মুখে। আমি এ অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বসতি রক্ষায় অনতিবিলম্বে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবি জানাচ্ছি।’
নদী সংক্রান্ত সংবাদ : ১৩০০ কোটি টাকা ব্যায়ে নদী ড্রেজিং
মানববন্ধনে নদী সুরক্ষা কমিটির নেতা মহীউদ্দিন মহির বলেন, ‘নদী আমাদের প্রাণ-প্রকৃতিকে টিকিয়ে রেখেছে। ভারত থেকে প্রবাহিত যৌথ ৫৪টি নদীর মধ্যে জিঞ্জিরাম একটি। যৌথ নদী কমিশন আইন অনুযায়ী কোনো দেশ অন্য দেশের ক্ষতি করে নদীর প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করতে পারে না; কিন্তু জিঞ্জিরামের ক্ষেত্রে উজানে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় নদীর স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হচ্ছে। ফলে ভাঙন প্রবণতা বাড়ছে। ফসলি জমি, ভিটেমাটি, কবর, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা সবই নদীতে চলে যাচ্ছে। জিঞ্জিরামের মতো নদীর ভাঙন রোধে যেখানে ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদের বাজেটই যথেষ্ট, সেখানে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই।’ সূত্র: সমকাল।
নদী আঘাত পেলে আমাদের জীবনের ওপরেও ব্যথা আসবে : পরিকল্পনামন্ত্রী