ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল আগামী ৩ বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন ওয়াটারকিপার অ্যালায়েন্সের কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে শুক্রবার (১৪ জুন, ২০২৪) এ তথ্য জানা যায়।
১৩ জুন, ২০২৪, বৃহষ্পতিবার নিউইয়র্ক সময় ১২:০০ টা থেকে ৩:০০ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ওয়াটারকিপার অ্যালায়েন্সের নির্বাহী পরিষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এর আগে, গত ৭ জুন, ২০২৪, শুক্রবার কাউন্সিল বোর্ডের সভায় শরীফ জামিলকে সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে এই মনোনয়ন প্রদান করে। তাঁর সাথে আরও ২ জন, যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেসের ব্রুস রেজনিক ও পেরুর ব্রুনো মন্টিফেরিকেও নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে মনোনয়ন দেয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পরিবেশকর্মী শরীফ জামিল ২০০৯ সাল থেকে বুড়িগঙ্গা রিভারকিপার হিসাবে বুড়িগঙ্গা নদীকে দুষণ ও দখলমুক্ত করে নদীর প্রাণ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন। তিনি ২০১৫ সাল থেকে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এর সমন্বয়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পরিবেশ ও মানবাধিকার রক্ষার নানাবিধ নাগরিক প্রয়াসের সাথে যুক্ত। ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’র সদস্য সচিব হিসেবে, তিনি পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে স্থানীয়, জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।
ওয়াটারকিপার এলায়েন্স বিশ্বের ৬টি মহাদেশের ৩৯টি দেশে ৩০০ এর বেশী ওয়াটারকিপার সদস্যদের সাথে ২৫ লক্ষ বর্গকিলোমিটারেরও বেশী নদী, হ্রদ, এবং উপকূলীয় জলাশয় এলাকা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও সংরক্ষণের জন্য কাজ করে।
বৈশ্বিক নতুন দায়িত্ব পাওয়ায় শরীফ জামিল দক্ষিণ এশিয়ার পরিবেশ ও নদীসমূহ নিয়ে বৈশ্বিক পরিমন্ডলে নিবিড়ভাবে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। যারা তাঁকে নমিনেশন ও সমর্থন দিয়েছেন তাঁরা ছাড়াও যারা সহযোগিতা ও উৎসাহ দিয়ে এই মহৎ কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন, তাদের সবার প্রতি তিনি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
রিভার বাংলা সম্পাদকের অভিনন্দন
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন ওয়াটারকিপার অ্যালায়েন্সের কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক ও ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’র সদস্য সচিব শরীফ জামিলকে অভিনন্দন জানিয়ে রিভার বাংলার সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বলেন, শরীফ জামিল এর এই অর্জন আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের, গৌরবের। এর মধ্য দিয়ে তাঁর বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে আরও ব্যাপকভাবে বাংলাদেশের বিদ্যমান জলবায়ু সংঙ্কট সমাধানে ও প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখার সুযোগ তৈরি হয়েছে। তিনি দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের নদ-নদী ও পরিবেশের সুরক্ষায় ভ্যানগার্ড এর ভূমিকা পালন করে আসছেন। আমরা তাঁর সাফল্য ও সুস্বাস্থ্য কামনা করি।