সোস্যাল মিডিয়া কি নদী চেতনা বাড়ার ক্ষেত্রে সহায়ক? নদী বিষয়ক অনলাইন পত্রিকা রিভার বাংলা’র পক্ষে এমন সমীক্ষা চালানোর জন্য ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলাম। পোস্ট টি ছিল এমন “সোস্যাল মিডিয়ার দ্বারা কি নদী চেতনা বাড়ছে? নাকি সবটাই ভার্চুয়াল ! আপনি কি বলেন? নদীর লেখা কি ভাল লাগছে? জরুরী মনে হচ্ছে? কমেন্ট করুন”।
আর তাতে মাত্র একজন শিক্ষিকা ও সামাজিক কাজে উদ্যোগী অঞ্জনা চক্রবর্তী জানিয়েছেন যে সোস্যাল মিডিয়ার দ্বারা নদী চেতনা শুধু কাগজে কলমে বাড়ছে। বাকী বাইশ জন মত দিয়েছেন এই মর্মে যে সোস্যাল মিডিয়ার দ্বারা সত্যিই নদী চেতনা বাড়ছে। নদীর লেখা জরুরী মনে হচ্ছে। এর স্বপক্ষে সুচিন্তিত মত দিয়েছেন শিক্ষক ও বাচিক শিল্পী সোমেন সমাজদার, কাকলি গঙ্গোপাধ্যায় চৌধুরী, পিউলি মন্ডল, মাহি ফৌজদার, শ্রেয়া লাহিড়ী, সায়ন সরকার, শিক্ষক ও সাংবাদিক দুলাল সিংহ, কৃষ্ণ মালী, শিক্ষক রঞ্জন কুন্ডু,গদাই চক্রবর্তী, প্রাক্তন শিক্ষিকা সংযুক্তা গুহ নিয়োগী, শিবম কুণ্ডু,মলয় দে সরকার, পরিবেশ বন্ধু সঙ্গীত কুমার দেব, কবি ও পরিবেশ প্রেমী অমল বসু, কবি ও পত্রিকা সম্পাদক পুলক কান্তি দাস, শিক্ষিকা সুচেতা মজুমদার, সেবিকা মুনমুন বর্মন, শ্রীলা সূত্রধর ও মলয় কুমার দাস।
তাঁদের কথার নির্যাস হলো সামাজিক মাধ্যম নদী চেতনা বাড়াতে সহায়তা করছে ইতিবাচক ভাবেই। এই মাধ্যম এখন ভীষন গুরুত্বপূর্ণ। নদীর প্রতি ভালবাসাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ নদীর কাছে আসছে আরও। এখন নদী ভিত্তিক কর্মসূচীর একটা ফেসবুক পোস্ট দিলেও বেশ কিছু মানুষ জড়ো হচ্ছেন, নদীকে নিয়ে কথা বলছেন, নদীর সমস্যা সমাধানে মতামত দিচ্ছেন। আর সর্বোপরি নদীর কাজে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। নদী রক্ষার কাজে নবীন ও প্রবীনদের মেলবন্ধন ঘটাচ্ছে কিন্ত এই ফেসবুকই। নদী দূষণের খবর কিংবা ছবি মুহুর্তের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে এবং জনমত তৈরী করছে।এটা একটা ইতিবাচক দিক।মানুষ জাগছে, সক্রিয় হচ্ছে।এটাও কিন্ত একটা ভাল দিক। আবার এটাও দেখা যাচ্ছে মানুষ হয়তো মত দিচ্ছে নদী সচেতনতার কিন্ত বাস্তবে ততটাও সচেতনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা। একেও অস্বীকার করা যায়না।
তবে অধিকাংশের মতে একটা বিষয় পরিষ্কার যে সামাজিক মাধ্যম ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে।আর এক্ষেত্রে এটা যে শুধু প্রচার নয়, নদীর কাজের পক্ষে সহায়ক সেটা বাস্তব আর সেই জনমত তুলে ধরাই রিভার বাংলার উদ্দেশ্য ।যাতে আরও মানুষ সীমানার ভেদাভেদ ভুলে এক হয় নদী রক্ষার কাজে, উদ্বুদ্ধ হয় একে অপরে এটাই তো কাম্য ।এটাই তো সময়ের কাজ।
নোট: দক্ষিণ দিনাজপুর [কলকাতা, ভারত] থেকে রিভার বাংলা’র পক্ষে সমীক্ষাটি করেন আমাদের প্রতিনিধি তুহিন শুভ্র মন্ডল।