আজ একুশে নভেম্বর ।ওয়ার্ল্ড ফিসারি দিবস।আজ এই দিনে খুব মনে পড়ছে সেই সব মাছেদের কথা।যারা চিরতরে হারিয়েছে।এই মাছ গুলো হারিয়েছে কেন? আমরা কি কারণ খুঁজেছি ? কেন হারিয়ে যায় মাছেরা? সে নিয়ে আলাদা প্রতিবেদন হতে পারে।তবে এটা ঠিক যে মাছেরা হারিয়ে গেলে নদীর মৃত্যুর আশংকাই সামনে চলে আসে।
আমি যে নদী গুলোকে প্রতিনিয়ত দেখি, অনুভব করি তাদের প্রাণের স্পন্দন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আত্রেয়ী (বাংলাদেশে আত্রাই), পুনর্ভবা, টাঙ্গন, শ্রীমতি, ইছামতী, যমুনা ইত্যাদি।এইসব নদীতে যে যে মাছ পাওয়া যেত এখন কি সেগুলো পাওয়া যায়?
এটা জানতে কিছুদিন আগে পরিবেশপ্রেমী সংস্থা দিশারী সংকল্প-এর পক্ষ থেকে সমীক্ষা চালিয়েছিলাম আমরা।তাতে আশংকাজনক ভাবে আমরা লক্ষ্য করলাম যে প্রচুর মাছ এখন পাওয়া যায় না।মাছ গুলি হলো বালিচাটা, বেলে, খয়রা, গাঙ কই, গাগর, শিলং, মুরকুশ, সুবর্ণখলকি, আংরোস, বাজার, কাউরা কাটা, ঘাড় বেকি, পাকোস, মহাশোল, বাঘাড়, মুরলি বাচা, খশল্লা, চ্যালা, পাতারি চ্যালা,পুতুল বা বৌ,ভ্যাদা, ট্যাপা, ফ্যাসা ইত্যাদি প্রায় চল্লিশ রকমের মাছ।কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাদের ফিরিয়ে আনার?
মাছেদের হারিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ দূষণ।কি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তার মোকাবিলার? বিভিন্ন নদীতে মাছ মরে ভেসে ওঠার ঘটনা ঘটে।কমিটি গঠন হয়।কমিটি রিপোর্ট দেয়।কি রিপোর্ট দেয় সেটা জানাও যায় না অনেক সময়।
যে মানুষেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো তাদের হাল কি? তাদের পেশা পরিবর্তন হয়েছে।নেমে এসেছে ভয়ংকর আর্থ-সামাজিক সংকট ।
কি ভূমিকা গ্রহণ করা হয়েছে তার প্রতিকারে?
তাই নদীর হাল ফেরানোর বিশেষ প্রয়োজন ।আর সেটা প্রয়োজন যুদ্ধকালীন তৎপরতায়।আজ ওয়ার্ল্ড ফিসারি দিবসে এই বিষয় টাকেই আরও একবার সামনে তুলে ধরি।মাছেদের চারণ ক্ষেত্রকে অবশ্যই সুরক্ষিত করি।