এক যে ছিল নদী
ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ তুলত রোজ
পানসি নৌকা ভাসিয়ে দূরের যাত্রী হতাম
জলে কান পাতলেই শোনা যেত
মাছেদের কথোপকথন
কত নিঃসঙ্গ বিকেলে
মন খারাপের পর্দা খসে
হু হু করে ঢুকেছে বসন্ত বাতাস
অতঃপর উন্নয়নের ধ্বজাধারী ধর্ষকদের গলায়
শোনা যায়—মাইকটেস্টিং, হ্যালো…হ্যালো
চিৎকার, শোরগোল
চলে ক্রুশকাঠে প্রথম পেরেক সাঁটা
এখন ঘ্যোৎ ঘ্যোৎ শব্দে
স্তনবৃন্তে যান্ত্রিক ক্লিপ লাগিয়ে
শুষে নিচ্ছে বুকের সব রক্ত
গর্ভবতী নদীর সমস্ত শরীর জুড়ে চলছে
সারি সারি কংক্রিটের থাম গাঁথা
অতীতের ছাল ছাড়িয়ে নদীর পাড়ে
দাঁড়ালেই দেখি—
চাপ চাপ রক্তে ভিজে গেছে
চেনা উঠোন।
ধূলো ঝেড়ে ওঠবার শক্তি নেই আর
আমার হাতেও যে লেগে আছে
আত্মজার মৃত্যুরস।
সৌমেন মন্ডল : কবি, বসিরহাট, কলকাতা, ভারত।।