শুধু সরস্বতী পুজোর জন্য একদিনের নয়, বা দুর্গাপুজো- কালিপুজো- ছটপুজোর সময় নয়, নদীর দিকে নজর থাকা উচিত প্রতিদিনের।একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা দরকার। এবং সেটা পুজোর আগে থেকে। এবং শুধু একটি নদীর একটি ঘাট নয়। সব নদীর, কোন কোন নদীর ঘাট পুজোর জন্য ব্যবহৃত হয়, বিসর্জন দেওয়া হয় সেগুলো ঘিরে একটা বিশেষ পরিকল্পনা নিতে হবে।
এবং সেটি অন্তত দু মাস আগে। কারা কোন নদীর ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন দেবে তার একটা পূর্ণাঙ্গ তালিকা আগে থেকেই থাকা দরকার। সমস্যা শুধু ক্লাব- পুজো কমিটির পুজোর জন্য নয় বাড়ি বাড়ি প্রচুর পুজো হয়। সেগুলোও বিসর্জন দেওয়া হয় জলে- তা নদী, খাঁড়ি বা অন্য জলাশয় হোক। কেন এত বিসর্জন নিয়ে কথা বলছি?
কেননা বিসর্জনের ফলে জল দূষণ হয়। অন্য অনেককিছুর ফলেই জল দূষণ হয় সেসব নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা এর আগেও করেছি বা পরে করবো।এই লেখা বিসর্জন জনিত দূষণের জন্য। কেননা প্রতিমার গায়ে যে রং থাকে তাতে মিশে থাকে লেড, ক্রোমিয়াম, ল্যাকার, হেক্সাভ্যালেন্ট ক্রোমিয়াম ইত্যাদি। এগুলো জলে দীর্ঘক্ষণ থাকলে জলদূষণ হয়। এছাড়াও দীর্ঘ সময় ধরে জলে থাকে প্রতিমার কাপড় ইত্যাদি।
এমনটা নয় যে, একমাত্র এর জন্যই জলদূষণ হয়, তা নয়। যে কোন নদীর জলে বা যে কোন জলশয়ে এ ছাড়াও অন্য উপায়েও জলদূষণ হয়।যেমন প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ এবং অন্য প্লাস্টিক জাত পদার্থ, মাথার চুল, নিকাশি নালার ময়লা জল ইত্যাদি। তাই শুধু প্রতিমা বিসর্জনের পর জল থেকে কাঠামো তুললে হবে না। এটা একদিনের কাজ নয়। এটা প্রতিদিনের। এর জন্য আগাম সুষ্ঠ পরিকল্পনা প্রয়োজন।
রিভারাইন পিপলের মহাসচিব শেখ রোকন এর সাক্ষাৎকার
জলপাইগুড়ির টেমস ‘করলা’ নদীর চিকিৎসা জরুরী