ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও তুরাগ নদী মোর্চা এর উদ্যোগে রবিবার ১১ ফেব্রুয়ারি (২০২৪) বিকাল ৩টায় রাজধানীর ফার্মগেটস্থ গ্রান্ড মহল রেস্টুরেন্টে ইউএসএইড- এর প্রোমোটিং এডেভোকেসি এন্ড রাইটস (পার) এর আওতাধীন ‘প্রোমোটিং ডেমোক্রেটিক এন্ড কালেকটিভ এডভোকেসি ফর এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন ইন ঢাকা সিটি’ প্রকল্পের পরিবেশ বিষয়ক কমিউনিটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত পরিবেশ বিষয়ক কমিউনিটি সভায় উপস্থিত ছিলেন, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ আলী, ইআরডিএ সাধারণ সম্পাদক মো: মনির হোসেন চৌধুরী, রিভার বাংলা সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আমজাদ আলী লাল, ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, জেলে সমিতির সভাপতি নিত্য রাজবংশী, তুরাগ নদী সুরক্ষা কমিটির সহ-সভাপতি মামুন অর রশীদ শুভ প্রমূখ।
স্বাগত বক্তব্যে রিভার বাংলা সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বলেন, শব্দ দূষণ, পানি দূষণ ও বায়ু দূষণ এই তিন ধরণের দূষণে পরিবেশ আজ বিপর্যস্ত। এই দূষণের তীব্রতার কারণে আমরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। মানব সভাতাকে সুস্থ্যভাবে টিকিয়ে রাখতে হলে এই তিন ধরণের দূষণ দূর করে পরিবেশকে স্বাভাবিক রাখার বিকল্প নেই।
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, সারা দেশে যেভাবে দখল ও দূষণের পরিমাণ বেড়েছে সেখানে শুধুমাত্র সরকারের পদক্ষেপের আশায় বসে থাকলে চলবে না। আশেপাশের যে সকল জনগোষ্ঠী পরিবেশ দূষণের করণে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ তাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে দূষণকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। তুরাগ নদীর পাড়ে যারা দখল ও দূষণের সাথে জড়িত তাদেরকে রুখে দেওয়ার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে এগুলো বন্ধ করার জন্য সচেষ্ট হতে হবে ও সরকারের উচ্চ পর্যায় হতে এগুলো বন্ধ করতে চাপ প্রয়োগ করতে হবে ।
ইআরডিএ সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন চৌধুরী বলেন, শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে নদীতে তরল বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে এবং নির্ধারিত পরিবেশ নীতিমালা মেনে শিল্পকারখানাগুলো পরিচালনা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ইটিপি স্থাপন এবং সঠিক ব্যবহার করতে সরকারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে আহ্বান জানাই।
সঞ্চালক ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের প্রকল্প সমন্বয়কারী সৈয়দ তাপস বলেন, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ইউএসএইড ও কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের প্রকল্প বাস্তবায়নের বেশ কিছু উদ্যোগের মধ্যে এই উদ্যোগটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মিটিংয়ের উদ্দেশ্য হচ্ছে নদী তীরবর্তী জনগণের পক্ষ থেকে পরিবেশ সুরক্ষায় কিছু সুপারিশ উপস্থাপন করা যেগুলো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও সরকার কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে। এই সভায় দলীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে সেই সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের রোডম্যাপ তৈরি করা হবে। আশা করা যাচ্ছে এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধিগণ ও সরকার আন্তরিক হবেন।
সভায় উপস্থিত তুরাগ নদীর তীরে বসবাসকারী লোকজন চারটি উপদলে বিভক্ত হয়ে ‘নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে বর্ণিত সুপারিশ অনুযায়ী এডভোকেসি এবং তা বাস্তবায়নের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরির জন্য নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন ও পোস্টার পেপারে তা উপস্থাপন করেন। যেখানে নদীর বর্তমান পরিস্থিতি ও তাদের জীবন-জীবিকার বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী ভবিষ্যত পরিকল্পনার বিষয়গুলো উঠে আসে।
আরও পড়ুন..
আমরা নদীর পক্ষে নির্মোহ অবস্থান থেকে কথা বলি : শরীফ জামিল