পুনর্ভবা দক্ষিণ দিনাজপুরের একটা গুরুত্বপূর্ণ নদী। অভিবক্ত দিনাজপুরের অন্যতম প্রধান নদী। নিজেদের নদীকে যেন জানতে পারে, চিনতে পারে
পুনর্ভবা নদীকে স্থানীয় বাসিন্দারা সে জন্য একটি পরিকল্পনার সূচনা করলো বালুরঘাটের ইনোভেটিভ গ্রীণ আইডিয়াজ অ্যান্ড লাইনস এবং গঙ্গারামপুরের পুনর্ভবা পরিবেশপ্রেমী সংগঠন। সহযোগিতায় আছে পরিবেশপ্রেমী সংস্থা দিশারী সংকল্প।
পুনর্ভবা স্থিত ঐতিহাসিক বাণগড় থেকে এই প্রকল্পের সূচনা কর্মসূচিতে আমার সাথে উপস্থিত ছিলেন গঙ্গারামপুরের পুনর্ভবা পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সম্পাদক সনাতন তামলি, অধ্যাপক ও পুনর্ভবা নদী পাড়ের সন্তান অরূপ সাহা এবং পরিবেশ বন্ধু অধ্যাপক দেবাশিস চাকি।
হামজাপুর সীমান্ত দিয়ে যেখানে গঙ্গারামপুর ব্লকে প্রবেশ করেছে পুনর্ভবা নদী সেখান থেকে শুরু করে হামজাপুর ঘাট,হরিতলা ঘাট, গঙ্গার ঘাট, নয়াবন্দর ঘাট, শিববাড়ি ঘাট সহ বিভিন্ন ঘাট তারা পরিদর্শন করে নদী বক্ষ ধরে হাঁটার কর্মসূচি “Walk For River”- এর প্রাথমিক প্রস্তুতি তারা নেন। নদীপাড়ের বিভিন্ন মানুষের সাথে তারা কথা বলেন। কীভাবে হাঁটবেন, নদীর ধারে কোথায় রাত্রিবাস করবেন সেসবের পরিকল্পনা হয়। আসল উদ্দেশ্য পুনর্ভবা নদীর সমস্যা গুলিকে প্রশাসনের কাছে তুলে ধরা যাতে নদীটা বাঁচে, ভাল থাকে।
এই সংক্রান্ত প্রস্তাব গঙ্গারামপুরের পুনর্ভবা পাড়ের সন্তান অরূপ সাহা প্রথম আমাকে দিয়েছিলেন। পুনর্ভবা নদীকে ভাল রাখতেই হবে। আজ দেখলাম দূষণের সাথে সাথে অবাধে বালি উত্তোলন, ভাঙন, জলহীনতা পুনর্ভবা নদীর প্রধান সমস্যা।বিস্তারিত আকারে সেসব প্রশাসনের কাছে তুলে ধরবো আমরা। আজ তার প্রাথমিক সমীক্ষা হল। আমরা নদীপাড়ের মানুষের সাথে কথা বলেও সমস্যার কথা বোঝার চেষ্টা করলাম।
পুনর্ভবা পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সম্পাদক সনাতন তামলি, দেবাশিস চাকি বলেন- ‘নদী ভাল থাকলে আমরা ভাল থাকবো।এই সহজ সত্যটা সবাইকে বুঝতে হবে।পুনর্ভবা নদীকে ভাল রাখতে সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।’
অরূপ সাহা বলেন- ‘পুনর্ভবা নদী বুকে নিয়েই বড় হয়েছি। তাই এর জন্য কিছু করতে চাই।সেইজন্যই এই প্রস্তাব দিয়েছিলাম।পুনর্ভবা নদীকে ভাল রাখতে আমরা ক্রমাগত চেষ্টা করে যাবো।’
এই প্রস্তাব পাওয়ার পর আর কি বসে চলে? অতএব আমরা পুনর্ভবাকে আগের অবস্থায় নিয়ে আসবো এটাই আমাদের অঙ্গীকার।