নদীভাঙন কী বন্ধ করা যায় না?

।। রিভার বাংলা ডট কম ।। জাহিদ রহমান >> ২০১৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর দৈনিক ডেইলি স্টারে নদীভাঙন সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট ছাপা হয়েছিল। যেখানে তৎকালীন পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছিলেন, নদীভাঙনের কারণে প্রতিবছর প্রায় ৫০,০০০ মানুষ গৃহহীন হয় যা কিনা দেশের মোট গৃহহীন মানুষের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। ইন্সটিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেছিলেন। সেখানে তিনি আরও বলেছিলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণে সরকার অস্থায়ী বাধের পরিবর্তে স্থায়ী কোনো স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা করছে কারণ অস্থায়ী বাঁধ পানির উচ্চতা ও পরিমাণ বাড়ার সাথে সাথে প্রতি বছরই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। একই সেমিনারে…

ইছামতী নদী : জবরদখলে নদীটির অস্তিত্বই সংকটে পড়েছে

মামুনুর রশীদ, ঢাকা ও কাজী সোহেল, নবাবগঞ্জ >> ঢাকার নবাবগঞ্জ সদরে ঢুকলেই ইছামতী দেখে বহতা নদীটির আগাগোড়া এক রকম মনে হতে পারে। তবে বাস্তবতা ভিন্ন। নদীর এই অংশটুকু খননের কারণে প্রবহমান থাকলেও বান্দুরা বাজার থেকে দৃশ্যপট আলাদা। দাউদপুর বাজার, বারুয়াখালী, শিকারীপাড়া ও জয়কৃষ্ণপুর হয়ে কাশিয়াখালী বেড়িবাঁধ পর্যন্ত নদী মৃতপ্রায়। জবরদখল ও কাশিয়াখালীতে বাঁধ দেওয়ায় নদীটির অস্তিত্বই সংকটে পড়েছে। গত ১২ আগস্ট কলাকোপা বাজার থেকে নদীতীর ঘেঁষে সড়কপথে গিয়ে দেখা গেল, বান্দুরা বাজার পর্যন্ত নদীর প্রবাহ মোটামুটি ঠিক আছে। দাউদপুর বাজার এলাকা থেকেই শুরু হয়েছে নদী দখলের প্রবণতা। দাউদপুর সেতুর পশ্চিম…

তুরাগ নদ : বিষাক্ত শিল্পবর্জ্যে দূষিত হচ্ছে

জাহাঙ্গীর শাহ ও মাসুদ রানা, গাজীপুর থেকে ফিরে >> টঙ্গী বিসিক এলাকায় শিল্পকারখানার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চলছে চরম অব্যবস্থাপনায়। বর্জ্য ফেলার কোনো নির্দিষ্ট জায়গা নেই। কিছু কারখানার নিজস্ব ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বা বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) থাকলেও খরচ বাঁচাতে তা সব সময় চালানো হয় না। ফলে শিল্প বর্জ্য নির্গমনের যেন একটাই ঠিকানা, তুরাগ নদ। এ জন্য বিসিক শিল্পনগর থেকে তুরাগ নদ পর্যন্ত পাকা নর্দমা তৈরি করা হয়েছে। সেই নর্দমা দিয়ে শুধু বিসিক-ই নয়, আশপাশের অন্যান্য কারখানার বর্জ্যও গিয়ে পড়ে তুরাগ নদে। শিল্পবর্জ্যে প্রতিনিয়তই তুরাগের পাশাপাশি আশপাশের পরিবেশও দূষিত হচ্ছে। বিশেষ করে শুষ্ক…