জলপাইগুড়ির টেমস ‘করলা’ নদীর চিকিৎসা জরুরী

জলপাইগুড়ির

প্রিয় করলা, হ্যাঁ প্রিয়ই বললাম সমস্ত জলপাইগুড়িবাসী আর নদী সন্তানদের পক্ষ থেকে। কেননা কথা বলে বুঝেছি অসংখ্য মানুষ তোমায় ভালবেসে বুকে ধারণ করেছে। তাই তোমার যন্ত্রনায় তারা যন্ত্রনাক্লিষ্ট। তোমার দুর্দশা দেখে কষ্ট হয় তাদের। তাই তাদের হয়ে এই লেখা। জলপাইগুড়ির ‘জীবন রেখা’ করলা। এই নদী কথা ও কথকতার মেলবন্ধন, সৃজনের অবিসংবাদি উপজীব্য। শুধু কি তাই! পরিবহন এবং জলপাইগুড়ির অর্থনীতির সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সংযুক্ত। অথচ সেই নদী আজ মৃতপ্রায়। ধুঁকছে….. করলার উৎসমুখে যেমন জল স্পর্শহীনা, তেমনই শহরের অংশেও দীর্ণ। বর্ষার সময় ছাড়া জলপাইগুড়িবাসীর এই প্রিয় নদীর কী হাল হয় তা…

নদীর জন্য ভোটার কার্ড চাইছি

ভারতীয় উপমহাদেশে নদীকে বলা হয় মা। আমরা নদীর সন্তান। ছোটবেলা থেকে জেনে আসছি নদীমাতৃক সভ্যতার কথা। এটা তো ঠিকই যে, নদীকে কেন্দ্র করেই সভ্যতা- সংস্কৃতির বিকাশ হয়েছিল। নীল নদ হোক, হোয়াংহো হোক , সিন্ধূ বা গঙ্গা- ভূগোল বইতে তো আমরা কবে থেকেই পড়ছি কেন নদীর পাড়েই, নদীর বুকেই সভ্যতার জন্ম হয়েছিল, শহরের বিকাশ(?) হয়েছিল। অর্থনীতির একটা বড় অংশ নদীর সাথে যুক্ত। সেদিক থেকে দেখলে নদীর কাছে আমাদের অশেষ ঋণ। কিন্ত আমরা কি সেই ঋণ স্বীকার করি? করি না। তাই যদি করতাম তাহলে নদীকে ঘিরেই পরিকল্পনা নিত সরকার। নদীকে ভাল রাখতো…

ইছামতী নদী দখলকারীদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

পাবনা শহর দিয়ে প্রবহমান ইছামতী নদী অবৈধভাবে দখল করে দূষণ সৃষ্টিকারীদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। ৯০ দিনের মধ্যে তালিকা তৈরি করে তা প্রতিবেদন আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্র: সমকাল। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার রুলসহ এই আদেশ দেন। রুলে ইছামতী নদীকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন কেন ঘোষণা করা হবে না এবং সিএস জরিপ/পর্চা অনুযায়ী নদীর সীমানা নির্ধারণ, দূষণ ও দখলমুক্ত করে দখলকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না,…

নদীর দিকে আমাদের দৃষ্টি ফেরানো দরকার দ্রুত 

নদীর

যে নদী জীবন দিল, জীবিকা দিল, দিল পরিচয়- তার দিকে দৃষ্টি ফেরানো আমাদের সর্বাগ্রে দরকার। কেন একথা বলছি? তাহলে কি নদীর দিকে আমাদের দৃষ্টি নেই? সোজাসাপটা বলা ভাল- না নেই। নদীর দিকে আমাদের দৃষ্টি নেই। তাই যদি হতো তাহলে নদীরজন্য অনশন করতে হতো না, নদীর জন্য মানুষকে রাস্তায় নামতে হতো না, নদীরজন্য কনভেনশনের দরকার পড়তো না।নদীর জন্য মৌন মিছিলের প্রয়োজন ছিল না। রাজ্য, দেশ এমনকি দেশের বাইরেও নদীর স্বাভাবিক প্রবাহকে বজায় রাখার জন্য আন্দোলন করতে হতো না। অথচ আমাদের সভ্যতা নদীমাতৃক। নদী নির্ভর জীবন ছিল। নদীকে নির্ভর করেই পরিবার প্রতিপালিত…

আলী আকবরের নস্টালজিয়া : সৈয়দ কামরুল হাসান

আলী

      নিজের দেশ, জন্মভূমি বিশেষত: ফেলে-আসা সময় নিয়ে আলী আকবরের কোন বাড়তি আবেগ নাই। অন্ত:ত দীর্ঘকালের প্রবাস জীবনে নিজের সাথে সে যে একটা রফা করতে পেরেছে অর্থ্যাৎ আর সব প্রবাসীর মত রুটিন মাফিক স্মৃতিচারণা আর দেশপ্রেমের মড়া কান্নায় যে সে শামিল হয়নি এ-নিয়ে প্রচ্ছন্ন একটা গর্বও আছে তার। কিন্তু এই বার এই মফস্বল শহরটিতে তার জন্মভিটায় এসে সে যেন কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলে। আলী আকবর নিজেই নিজের কাছে একটু যেন লজ্জিত ও বিব্রতও বোধ করে অতীত স্মৃতিচারণায় তার কৌতুহল ও আগ্রহের বাড়াবাড়ি দেখে। অবশ্যি একদিক থেকে দেখলে এই…

নদী নিয়ে কিছু কথা

কথা

আমি নদী ভালোবাসি। নদী নিয়ে যারা কাজ করেন তাদেরকে আমি সম্মান করি। কারণ, সত্যিকার অর্থেই এটি একটি মহৎ কাজ। নদী হলো ধরণীর প্রাণ প্রবাহ। মানুষের দেহের শিরায়-উপশিরায় রক্ত কণিকা যেমনটি প্রবাহিত হয়ে থাকে তেমনি নদীও ধরণীর দেহে সজিবতা বইয়ে দেয়। নদী বেঁচে থাকলেই মাটি সতেজ থাকে। তা না হলে মাটি শুস্ক ও মরুভূমিতে পরিণত হয়। নদীর প্রতি ভালোবাসা থেকেই যারা নদীর নাব্যতা চায়, সুরক্ষার জন্য কাজ করেন তাদের প্রতি আমার ভালোবাসা স্বাভাবিকভাবেই উৎসারিত হয়। আমি নদীকে ভালোবাসি। এই ভালোবাসা কেন জানি স্বতস্ফুর্ত এবং কোনো স্বার্থের সংকীর্ণতার কাছে দায়বদ্ধ নয়। এই…

শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন

শুভেচ্ছা

তৃতীয় প্রতিষ্ঠা দিবসে অফুরাণ ভালবাসা আর জানাই ধন্যবাদ রিভার বাংলা ডটকম এর সাথীদের। নদীমাতৃক বাংলায় নদীকে কেন্দ্র করে গান, কবিতা, গল্প, উপন্যাস চলচিত্র আর আছে অনেক আবেগ। কিন্তু ফয়সাল ভাই আর তার সাথীরা নদী বাঁচানোর কথা ভেবে তার খবরাখবর বিশ্বের বাংলাভাষী মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে যে ভূমিকা পালন করছে তার জন্য ধন্যবাদ ও অভিনন্দন। বাংলা মূলত ভাটির দেশ। ভারত উপমহাদেশের অসংখ্য নদী তার প্রবাহ শেষ করে এই ভূখণ্ডে। নদীর জল নদীর পলি নদীর গতি সবকিছুকে মানুষ ব্যাবহার করেছে বছরের পর বছর ধরে জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে। ভাটিয়ালী থেকে দক্ষিণরায় বনবিবির গান বাংলার…

পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেবো রিভার বাংলার নাম 

পৃথিবীতে

রিভার বাংলা – নামটার সাথে প্রথম পরিচয় করিয়েছিলেন গল্পদেশ পত্রিকার সম্পাদক গৌতম অধিকারী। তিনি একবার বালুরঘাটে এসেছিলেন। আমাদের এখানকার বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা মহকুমা আধিকারিক সঞ্জয় মৌলিক খবরটা দিয়েছিলেন যে, গৌতম দা এসেছেন। তারপর আমরা সকাল বেলায় আত্রেয়ী নদীর ধারে একটা সভা করেছিলাম। বছর দুয়েক থেকে চেষ্টা করি যে, যে কোন সভা যতটা প্রকৃতির কাছে করতে পারি। সেই হিসাবে আমাদের ‘নদীর কাছে এসো’তে সেদিন উপস্থিত ছিলেন গল্পদেশ পত্রিকার সম্পাদক গৌতম অধিকারীসহ বিশিষ্ট জনেরা। সেখানেই গল্পদেশ পত্রিকার সম্পাদক গৌতম অধিকারী (উনি রিভার বাংলার ভারতবর্ষের সম্পাদকও) বলেছিলেন নদী বিষয়ক অনলাইন পত্রিকা ‘রিভার বাংলা’ এবং…