‘পদ্মা নদীর মাঝি’ আমাকে পদ্মায় নিয়ে ফেলে

পদ্মা

‘নদীর বই: জলের লেখাজোকা’-রিভার বাংলা’র এই আয়োজনের জন‍্যই পুনরায় পড়লাম কালজয়ী উপন্যাস ‘পদ্মা নদীর মাঝি’। যদি বলি এই প্রথম বার তাও বলা যায়। কেননা এতটা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আগে এই বহুপঠিত উপন‍্যাসটি পড়িনি। পাঠ‍্যপুস্তকে এই উপন‍্যাসের অংশবিশেষ ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ শিরোনামে পড়লেও তা তো সমগ্র ছিল না। ছিল অংশ বিশেষ। তাই তার দু-একটি সংলাপ মনের মধ‍্যে থাকলেও এবার যেন পুরো উপন‍্যাসটিই বুকের ভেতর ঢুকে এল। যদিও এই উপন‍্যাস আশ্রিত চলচ্চিত্র (নির্দেশনা: গৌতম ঘোষ) বেশ কিছু বছর আগে দেখেছি। কিন্তু পাঠ‍্যপুস্তকের পদ্মা নদীর মাঝি, চলচ্চিত্র পদ্মা নদীর মাঝি আর ক’দিন আগের পড়া পদ্মা…

অদ্বৈত মল্লবর্মণ: তিতাস একটি নদীর নাম

তিতাস

।। পলাশ মজুমদার ।। ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ উপন্যাসের ভূমিকায় অদ্বৈত লিখেছেন, ‘তিতাস একটি নদীর নাম। তার কূলজোড়া জল, বুকভরা ঢেউ, প্রাণভরা উচ্ছ্বাস। স্বপ্নের ছন্দে সে বহিয়া যায়। ভোরের হাওয়ায় তার তন্দ্রা ভাঙ্গে, দিনের সূর্য তাকে তাতায়, রাতে চাঁদ ও তারারা তাকে নিয়ে ঘুম পাড়াইতে বসে, কিন্তু পারে না।’ এক. বাংলা সাহিত্য কেবলমাত্র একটি উপন্যাসের জন্য একজন লেখকের কাছে ঋণী থাকবে। উপন্যাসটির নাম—‘তিতাস একটি নদীর নাম’, আর তার অমর স্রষ্টা কল্লোলযুগের নিভৃতচারী এক অসাধারণ প্রতিভাধর লেখক অদ্বৈত মল্লবর্মণ (১৯১৪-১৯৫১)। জন্মেছিলেন বৃটিশ ভারতের অখণ্ড বাংলা প্রদেশের তৎকালীন কুমিল্লা জেলাধীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমার…

“দুই বাংলার নদীকথা”- নদীমাতৃক বাংলার বিশ্বকোষ

দুই বাংলার নদীকথা

।। জ্যোতিরিন্দ্রনারায়ণ লাহিড়ী ।।  “ দেওয়াল ঘড়ির পেন্ডুলামের মত নদী একটা নির্দিষ্ট ব্যপ্তির মধ্যে ক্রমাগত সঞ্চরণশীল থাকে। যে ব্যপ্তির মধ্যে নদী সতত গতিশীল থাকে তাকে বলে নদীর ‘মিয়েন্ডার বেল্ট’। নদীর ‘মিয়েন্ডার বেল্ট’কে তার খেলাঘর বলা যায়। যেখানে সে সক্রিয় থাকে। এই এলাকা কৃষি কাজে ব্যবহার করা গেলেও রেলপথ বা সড়কপথ নির্মাণের যোগ্য নয়। মানুষ না বুঝে নদীর খেলাঘরে ঢুকে পড়লেই বিপদ আসতে বাধ্য।”- সদ্য প্রকাশিত “দুই বাংলার নদীকথা” নামে বইতে বাংলার নদী নিয়ে তাঁর চার দশক ব্যাপী নিরলস গবেষণা ও চর্চার নির্যাসকে তুলে এনেছেন নদী বিজ্ঞানী কল্যাণ রুদ্র। নদী আমাদের…