নদী সুরক্ষার দাবিতে কলকাতার রাজপথে হাজারো মানুষ 

নদী সুরক্ষার দাবিতে কলকাতার রাজপথে হাজারো মানুষ 

কুড়ি ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক দিন। নদী ও পরিবেশ আন্দোলনের ইতিহাসে এক অধ্যায় হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকলো।যেদিন বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের নদী বাঁচানোর কথা উঠে এল রাস্তায়। স্লোগান উঠল জাল যার জল তার।বাতাস ধ্বনিত হলো নদী বাঁচলে বাঁচবে রাজ্য/ বাঁচবে দেশ।

কলকাতার রাজপথে মহাজাতি সদন থেকে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার পর্যন্ত নেমে এল হাজার মানুষ।মাছ ধরার খ্যাপলা জাল, মাছ রাখার ডেকচি নিয়ে পথ হাঁটলো মৎস্যজীবীরা, মহিলা, কৃষিজীবী,নদী ও পরিবেশ কর্মী,নদী ও পরিবেশবান্ধব সংগঠন একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করলো। আয়োজক ছিল সবুজ মঞ্চ রাজ্য বাঁচাও কমিটি।নদীর জন্য পদযাত্রার আগে মহাজাতি সদনে আয়োজিত বাংলার নদী বাঁচাই কনভেনশনে একে একে উঠে এল বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের নদীর কথা। আত্রেয়ী, পুনর্ভবা, টাঙ্গন মহানন্দা, চূর্ণী, মাথাভাঙা, ইছামতি, বিদ্যাধরী,মাতলা, গন্ধেশ্বরীসহ আরও বিপন্ন নদীর কথা।উঠে এলো বিপন্ন সুন্দরবনের কথা।

উঠে এলো মৎস্যজীবীর হাহাকার, জীবন- জীবিকার কথা।কৃষিজীবীদের সঙ্কটের কথা।বিভিন্ন বক্তারা বললেন নদী বাঁচানোতে রাজনৈতিক অনিচ্ছার কথা। যে নদী গুলির জায়গা দখল হয়ে গিয়েছে,যে নদীর ভয়ংকর ভাবে দূষিত,যে আন্তর্জাতিক নদী গুলি দুই দেশ দিয়ে প্রবাহিত তাদের মধ্যে সমস্যাগুলির সমাধান কিভাবে হবে,সরকারের কোন্ কোন্ সংস্থার মাধ্যমে সমাধানের পথ বিস্তৃত হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়।

সবুজ মঞ্চের সম্পাদক নব দত্ত জানান কিছুদিনের মধ্যে ভোট আসছে।তার আগে সরকার নদী বাঁচানোতে কি ভূমিকা নিতে পারে এবং সরকারকে কিভাবে আমরা বাধ্য করতে পারি তারজন্য পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার নদী বাঁচানোর কর্মীরা জড়ো হয়েছিল। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা নদী বাঁচাতে তাদের ভূমিকার কথা স্বীকার করেন এবং সহযোগিতার কথা বলেন।কিন্ত সেটা কতটা কাজের কাজ হবে সেটা সময় বলবে। তবে হ্যাঁ।একটা বিষয় সুনিশ্চিত এবার থেকে নদীরও ভোট দেওয়ার পরিবেশ নদীর এই গনকনভেনশন থেকেই তার যাত্রা শুরু করলো।

আরো পড়তে পারেন….

নদী আমাদের সম্পদ, তাকে রক্ষার দায় কার?

ঝালকাঠির ধানসিড়ি নদী এখন মৃতপ্রায়

মুরাদনগরের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিতাস নদী এখন ধানিজমি

 

সংশ্লিষ্ট বিষয়