কলকাতা প্রেস ক্লাবে আলোচনা: নদী ও পরিবেশকে অগ্রাধিকার দিক রাজনৈতিক দলগুলো

কলকাতা প্রেস ক্লাবে আলোচনা: নদী ও পরিবেশকে অগ্রাধিকার দিক রাজনৈতিক দলগুলো

কলকাতা: রাজ্যের বিশিষ্ট নদী ও পরিবেশ কর্মীদের উপস্থিতিতে কলকাতা প্রেস ক্লাবে ‘ ভোট ও পরিবেশ’ নিয়ে আলোচনা হল শনিবার দুপুরে। উদ্যোক্তা ছিল রাজ্যের পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলির যৌথ সংগঠন সবুজ মঞ্চ। আর তাতেই অংশ নিয়েছিল সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।

আলোচনা আয়োজনের পিছনে মৃল ভাবনা ছিল নির্বাচনী ইস্তেহার। কোন্ রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে কতটা নদী ও পরিবেশকে প্রাধান্য দিয়েছে তাই ছিল আলোচনার কেন্দ্রে।

উদ্যোক্তা সবুজ মঞ্চের সম্পাদক নব দত্ত, শশাঙ্ক দেব শুরুতে আলোচনার মুখবন্ধ করে দেন। নদী ও পরিবেশের ইস্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষে বক্তব্য রাখেন তৃণমূল কংগ্রেসের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির অম্বুজ মোহান্তি, কংগ্রেসের ওমপ্রকাশ মিশ্র, সিপিআইএমের শ্রীদিপ ভট্টাচার্য, আর এস পির মনোজ ভট্টাচার্য প্রমুখ।

নদী ও পরিবেশকে অগ্রাধিকার দিক রাজনৈতিক দলগুলো
নদী ও পরিবেশকে অগ্রাধিকার দিক রাজনৈতিক দলগুলো। ছবি- রিভার বাংলা

রাজ্য ও কেন্দ্রে যে দুটি দল আছে তারা নদী ও পরিবেশের ইস্যুতে কতটা দায়বদ্ধ সেটাও ব্যাখ্যাতে আসে। এই আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ কারী নদী ও পরিবেশ কর্মীদের মধ্যে সুন্দরবন থেকে এসেছিলেন পবিত্র মন্ডল, চাকদহ থেকে বিবর্তন ভট্টাচার্য। প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি চূর্ণী নদীর প্রসঙ্গ তুলেছিলেন।

দক্ষিণ দিনাজপুর যোগ দিয়েছিলেন নদী ও পরিবেশ কর্মী তুহিন শুভ্র মন্ডল।তিনি বলেন “প্রশ্নোত্তর পর্বে আত্রেয়ী ও অন্য নদীর প্রসঙ্গ তুলেছি।জানতে চেয়েছি অন্যতম নদী দূষক নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ কবে উৎস থেকেই বন্ধ হবে।কবে বন্ধ হবে ক্ষতিকারক প্লাস্টিক ব্যাগের কারখানা।”

সবুজ মঞ্চের সম্পাদক নব দত্ত বলেন ” নদী ও পরিবেশের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়বদ্ধতা সুনিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যেই এই আলোচনার আয়োজন।”

সমস্ত আলোচনা সফল ভাবে সংযোজনা ও পরিচালনা করেন বিশিষ্ট পরিবেশ সাংবাদিক জয়ন্ত বসু।

আরো পড়তে পারেন

নদী বাঁচাও আন্দোলনে সামিল ছোটরাও

ফুলেশ্বরীর আত্মকথা

নদী ও পরিবেশ নিয়ে সামগ্রিক ভাবনা কোন রাজনৈতিক দলেরই নেই!

সংশ্লিষ্ট বিষয়