৪২ হাজার নদী দখলদার!

নদী দখলদার!

দেশের নদ-নদী দখলদারদের প্রাথমিক তালিকায় ৪২ হাজার ৪২৩ জনের নাম উঠে এসেছে। সম্প্রতি জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ওই তালিকা প্রকাশ করেছে। কমিশন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছেও এই তালিকা দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে দৈনিক প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন সূত্রে।

দেশের প্রায় সব জেলায় এসব দখলকারী শুধু নদ-নদী নয়, খাল-বিলের জায়গাও দখল করেছে। সেখানে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে স্থায়ী, অস্থায়ী নানা স্থাপনা। একেবারে ওয়ার্ড পর্যায় থেকে বড় শহর—সব জায়গায় খাল-নদীতেপড়েছে দখলদারদের থাবা। নদী রক্ষা কমিশনের নির্দেশে স্থানীয় প্রশাসন অবৈধ দখলদারদের তালিকা তৈরি করেছে। নদী রক্ষা কমিশন বলছে, এ তালিকা আরও যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে কোনো দখলদারের নাম বাদ পড়েছে কি না। অবৈধ দখল উচ্ছেদে এক বছরের ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’ নেওয়া হবে। যদিও এ জন্য তাদের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ নেই।

ঢাকা জেলা, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, জামালপুর, বাগেরহাট, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনাসহ ১২টি জেলার দখলদারের তালিকা এখনো পায়নি নদী রক্ষা কমিশন। এমনকি অনেক জেলার তালিকায় সেখানকার সব নদ-নদীর দখলদারের তালিকা দেয়নি জেলা প্রশাসন। বাদ পড়া জেলার নদীর দখলদারদের তালিকা দ্রুত দেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নদী রক্ষা কমিশন নির্দেশ দিয়েছে।

নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, প্রথমবারের মতো নদী-খাল-বিল দখলদারদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকেরা মূলত এ তালিকা করেছেন। এটি চলমান প্রক্রিয়া। এ তালিকা আরও যাচাই-বাছাই করা হবে। আরও দখলদার আছে কি না, সেটা দেখা হবে। 

গত ১ জুলাই প্রকাশিত উচ্চ আদালতের এক রায়ে নদী দখলকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। রায়ে সব নদ-নদীকে জীবন্ত সত্তা এবং নদ-নদী সুরক্ষায় নদী রক্ষা কমিশনকে এর আইনগত অভিভাবক ঘোষণা দেওয়া হয়।

আরো পড়তে পারেন….

তিস্তা পাড়ে মানববন্ধন, চার দফা দাবি

ভারতবর্ষে সব নদীকে জীবন্ত সত্বা হিসাবে ঘোষনা করা হোক 

গল্প : পদ্মার সাথে বিনিদ্র বাসর

সংশ্লিষ্ট বিষয়