খাল-বিল, নদী-নালা ইজারা না দিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত রাখার পক্ষে অবস্থান জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ইজারা না দেওয়া আমি পুরোপুরি সমর্থন করি।
বুধবার ঢাকার ফার্মগেইটে জাতীয় নদী রক্ষা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘নদীর উন্নয়নে পরিকল্পনা ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার দায়-দায়িত্ব’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে ইজারার বিপক্ষে অবস্থান জানান তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, নদী আঘাত পেলে আমাদের জীবনের ওপরেও ব্যথা আসবে। সেজন্য নদীর সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে। নদীর ক্ষতি করলে বা তার ওপর আঘাত আসলে তা নিজেদের ওপরই আসে। যাই করি না কেন, নদী নিজেকে ঠিকই বাঁচাবে। পরিবেশ ঠিকই নিজেকে বাঁচাবে। তবে ক্ষতিটা হয়ে যায়।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে যেসব কাজ করি, তার কিছু সরাসরি নদী-পানি ইত্যাদির সঙ্গে সম্পর্কিত। যারা প্রকল্প তৈরি করেন তাদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া থাকে, সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সময় পরিবেশ বিশেষ করে নদী-খাল, নালা-বিল, জলাশয় ইত্যাদির ওপর যেন কোনো বিরূপ প্রভাব না পড়ে তার নিশ্চিয়তা থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, নদী ধ্বংস করে বাংলাদেশ বাঁচানো যাবে না। তাই ডেল্টা প্ল্যানের মতো একটি মহাপরিকল্পনার আওতায় সারা দেশব্যাপী নদী রক্ষা অভিযান চলছে। ন্যায়বিচারের মাধ্যমেই নদী রক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এটি সফল করে দেশের পরিবেশ বিপর্যয় সামাল দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে প্রাবন্ধিক সৈয়দ আবুল মকসুদ ও বক্তব্য রাখেন। সূত্র: বিডি নিউজ ২৪ ডট কম।
১৩০০ কোটি টাকা ব্যায়ে নদী ড্রেজিং
নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন মাশরাফি