হ্যাঁ, এই বিষয়টা নিয়ে লিখতে বাধ্য হলাম। এমনটা নয় যে নদী দখল এখনই হচ্ছে, আগেও হয়েছে। এমন চলতে থাকলে পরেও চলবে। সম্প্রতি মালদার মহানন্দা নদী নিয়ে দখলের বিষয়টি সামনে এসেছে। তাই এই সময়েই নদী দখলের বিষয়টি আরও জোরালো ভাবে বলা দরকার।
মহানন্দা নদী ভারতবর্ষ ও বাংলাদেশের একটি আন্ত:সীমান্ত নদী। ভারতবর্ষের উত্তরবঙ্গে এই নদীর গুরুত্ব সীমাহীন। শিলিগুড়ি অংশের মহানন্দা নদীতে দূষণের সাথে সাথে দখলের সমস্যাও বহু পুরোন। নদী খাতে খাটাল, ঘর- বাড়ি নদীর জায়গা নেয়নি কে? উত্তর দিনাজপুরের শ্রীমতি নদী- দখল নিয়েছে মানুষের কৃষিজমি। দক্ষিণ দিনাজপুরের ব্রাহ্মণী- বেশ কিছু জায়গায় নদী খাতেই উঠেছে ঘর- বাড়ি।
অতি সম্প্রতি মালদার মহানন্দাতে নদী দখল একটা মারাত্মক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহানন্দা নদীর দুই পাড়ে মালদা জেলার দুই গুরুত্বপূর্ণ শহর ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদা রয়েছে। অভিযোগ, এখানেই হচ্ছে নিয়মিত নদী পাড় দখল। এবং তাতে মদত দিচ্ছেন খোদ কাউন্সিলর। কি আশ্চর্য!
যিনি রক্ষা করবেন, তিনি দিচ্ছেন নদী- হত্যার মদত। মহানন্দার দুই পাড়েই গড়ে উঠেছে অবৈধ ঘর- বাড়ি ও স্থায়ী কাঠামো। এবার তাকেই উচ্ছেদ করতে সেচ দপ্তর জেলা প্রশাসন ও পুরসভার দ্বারস্থ হল সেচ দপ্তর। প্রশ্ন হচ্ছে নদীর জায়গা তো নদীর। তাতে অন্য কেউ কেন বসবাস করবে? ফলে কখনো নদী অভিমানী হবে, কখনও বিদ্রোহ করবে (এ নিয়ে বিস্তারিত লিখবো একদিন)।
নদীর পাড় দখল করলে মানব সভ্যতার ক্ষতি – একথা তো কবে থেকেই সবার জানা। প্রশ্ন হচ্ছে তাও কেন নদী পাড় দখল হয়? হয় অর্থের জন্য। আর হয় ভোট ব্যাঙ্কের জন্য। একদম প্রথমে শিরোনামে প্রশ্ন তুলেছিলাম নদীকে দখল থেকে আমরা কবে মুক্ত করতে পারবো? উত্তর একটাই- যবে ভোট ব্যাঙ্কের চিন্তা আমরা করবোনা। ক্ষমতায় থাকার রাজনীতি যেদিন আমরা করবো না। আর হ্যাঁ, যেদিন সত্যিকারের সদিচ্ছা থাকবে।
আরো পড়তে পারেন…..
কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে নদী পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন করলেন এমপি তৌফিক