ঢাকা>> নতুন প্রজন্মের মাঝে নদ-নদীর রূপ ও প্রকৃতি জানানোর পাশাপাশি বর্তমান প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে দেশের চারটি নদী বন্দরে একযোগে চলছে বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনী। ‘নদী নেবে!‘ শিরোনাম এ প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে সংবাদ আলোকচিত্রী কাকলী প্রধানের একশ’ ছবি।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে, ঢাকা নদী বন্দরে (সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল) প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট স্থপতি ইকবাল হাবিব, বিআইডব্লিউটিএ’র পরিকল্পনা ও পরিচালন সদস্য মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ব নদী দিবস-২০২০ উপলক্ষে ‘নদী নেবে!’-এর আয়োজন করে শিশু সংগঠন ‘ইকরিমিকরি’। প্রদর্শনীতে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ– বিআইডব্লিউটিএ।
আয়োজক সংস্থা ‘ইকরিমিকরি’ জানিয়েছে, ঢাকা নদীবন্দরে পাশাপাশি এক যোগে নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল ও চাঁদপুর নদীবন্দরে প্রদর্শন হচ্ছে ১০০ নদীর উন্মুক্ত আলোকচিত্র। এতে বাংলাদেশের নদনদীর বিপন্নতা তুলে ধরেছেন। একইসঙ্গে নতুন প্রজন্মের জন্য নদীর রূপ, প্রকৃতিও ফুটিয়ে তুলেছেন সংবাদ আলোকচিত্রী কাকলী প্রধান।
অনুষ্ঠানে স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, প্রভাবশালীসহ দখলবাজদের কারণে একের পর এক দখল হয়ে যাচ্ছে নদনদী। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে বিভিন্ন সময় উদ্যোগ নেয়া হলেও রাজনৈতিকসহ নানা কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থায়, নদীর প্রবাহ ঠিক রাখতে দখল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় বিআইডব্লিউটিএ-কে আরো ক্ষমতা দেয়া জরুরি। আশাকরি, সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি অনুধাবন করে পদক্ষেপ নেবে।
ইকরিমিকরি ও সংবাদ আলোকচিত্রী কাকলী প্রধানের প্রদর্শনীকে সময়োপযোগী উল্লেখ করে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, নদী দখলমুক্ত করে স্বাভাবিক গতিপ্রকৃতি ফেরাতে বদ্ধপরিকর বিআইডব্লিউটিএ। এ লক্ষ্যে সারাদেশে নদনদী নিয়ে কাজ করা সংগঠন ও ব্যক্তিদের নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করা হবে।
উল্লেখ্য, সংবাদ আলোকচিত্রী কাকলী প্রধান, শিশু সংগঠন ‘ইকরিমিকরি’র অন্যতম উদ্যোক্তা। সাধারণ মানুষের কাছে নদীর বিপন্নতা ও শিশুদের কাছে নদীর রূপ, প্রকৃতি তুলে ধরার জন্যে অনেকদিন ধরে কাজ করছেন সংবাদ আলোকচিত্রী কাকলী প্রধান এবং ইকরিমিকরি।