নজরুল মৃধা >>
শতসহস্র নদীর এই দেশে নদীগুলো কেমন আছে? এমন প্রশ্ন করা হলে, এক কথায় উত্তর পাওয়া যাবে- ভালো নেই। বর্তমানে দেশের নদ-নদীগুলো যৌবন হারিয়ে বৃদ্ধ অবস্থায় মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। যৌবনহারা এসব নদী বাঁচিয়ে রাখতে কার্যকর কোনো ব্যবস্থাও চোখে পড়ে না। এখনই নদীগুলোকে বাঁচানো না গেলে দেশকে একসময় বাঁচানো সম্ভব হবে না। কারণ নদীগুলো ঘিরেই গড়ে উঠেছিল দেশের প্রতিটি শহর, বন্দর ও হাটবাজার। এগুলো এখন শুধুমাত্র স্মৃতি।
এক সময় মালামাল পরিবহন ও যোগাযোগের সহজ উপায় ছিল নৌকা। এখন এই নৌকার দেখা মেলা ভার। সময়ের বিবর্তনে যেটুকু নদী পারাপারের বাহন রয়েছে তা দখল করেছে ইঞ্জিনচালিত নৌকা। জলবায়ু পরিবর্তন, দখল, দূষণসহ নানা কারণে নদনদীর অস্তিত্ব বিলুপ্তির পথে। বিলুপ্তপ্রায় এসব নদী নিয়ে বিস্তর লেখা হলেও সমাধানের কোন সুনিদৃষ্ট পথ খুঁজে পাওয়া যায়নি। নদী নিয়ে সুনিদৃষ্টি কর্মপরিকল্পনা না থাকায় বছরের পর বছর ধরে আবহাওয়া ও জলবাযু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে নদী স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না। বৃষ্টিপাত কম হওয়া ও খরা মৌসুমে অপরিকল্পিতভাবে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করায় পরিস্থিতি দিন দিন জটিল হয়ে উঠছে। এছাড়া ভারতের একতরফা নদী শাসনের ফলে নদনদী খাল বিল পানি শূন্য হয়ে পড়েছে। গত সাড়ে চার দশকে দেশ থেকে হারিয়ে গেছে কয়েকশ নদী ও খেয়া ঘাট। এখনো শতাধিক নদী যৌবন হারিয়ে ক্ষীণ ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে। দিনের পর দিন পলি পড়ে ভরাট হয়ে নাব্যতা ও গভীরতা হারাচ্ছে দেশের নদীগুলো। প্রতি বছর দেশের নদ-নদীতে গড়ে জমা পড়ছে ৪ কোটি টন পলি। ফলে নৌপথ ছোট হয়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। গত ৪৮ বছরে নৌপথের দৈর্ঘ্য কমেছে ১৯ হাজার কিলোমিটার। স্বাধীনতার আগে দেশে নৌপথের দৈর্ঘ্য ছিল ২৪ হাজার ১০০ কিলোমিটার, এখন তা কমে মাত্র ৫ হাজারেরও নিচে এসে দাঁড়িয়েছে। খননের অভাবে পদ্মা, মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তাসহ অন্যান্য নদীগুলো এখন ধু-ধু বালুচর। এছাড়া দেশজুড়েই অব্যাহত রয়েছে নদী দখল ও দূষণ। ফলে কৃষি, জনস্বাস্থ্য, প্রাণি,উদ্ভিদ হুমকির মুখে পড়েছে।
বাংলাদেশে ঠিক কত নদী আছে তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে বাংলাদেশ নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্নভাবে তাদের পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে। নদী, উপনদী ও শাখানদীর সর্বমোট সংখ্যা নিয়ে গবেষকদের মধ্যে যথেষ্ট মতদ্বৈততা আছে। একটি নদী থেকে অসংখ্য নদী সৃষ্টি হয়েছে। আবার কোন কোন নদী থেকে খাল বা ছড়ায় পরিণত হয়েছে। এগুলোও প্রাকৃতিক নদীর অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশের প্রধান পাঁচটি নদীর নাম এলে প্রথমে বলতে হবে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও কর্ণফুলী। এরপর ধরা যায় তিস্তা, গড়াই, মধুমতী, রুপসা, আড়িয়াল খাঁ, কুমার, আত্রাই, কীর্তনখোলা, বিষখালী ইত্যাদি। এসব নদীর মধ্যে কোনটা বড়, কোনটা ছোট বলা কঠিন। তবে অনুমান ও হিসাব কষে ছোটবড় মিলিয়ে বাংলাদেশে কমপক্ষে ৭০০ নদী আছে বলে অনেক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
নদীর সমার্থক শব্দ – তটিনী, তরঙ্গিনী, সরিৎ ইত্যাদি। সাধারণত মিষ্টি জলের একটি প্রাকৃতিক জলধারা যা ঝরণাধারা, বরফগলিত স্রোত অথবা প্রাকৃতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সৃষ্ট হয়ে প্রবাহ শেষে সাগর, মহাসাগর, হ্রদ বা অন্য কোন নদী বা জলাশয়ে পতিত হয়। মাঝে মাঝে অন্য কোন জলের উৎসের কাছে পৌঁছানোর আগেই নদী সম্পূর্ণ শুকিয়ে যায়। নদীকে তার গঠন অনুযায়ী শাখানদী, উপনদী, প্রধান নদী, নদ ইত্যাদি নামে অভিহিত করা হয়। আবার ভৌগোলিক অঞ্চলভেদে ছোট নদীকে একেক এলাকায় একেক নামে ডাকা হয়। বাংলাদেশের প্রধান নদীগুলোতে প্রতি বছর ১ দশমিক ২ বিলিয়ন (১২০ কোটি) ঘনমিটার পলি প্রবাহিত হয়। আর তার বড় অংশই নদীর তলদেশে জমা হয়ে নাব্যতা সংকট সৃষ্টি করছে। পলির কারণে ইতিমধ্যে মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে প্রায় ৩০০ নদী।
আরো পড়ুন…
আপনার ছেলেবেলার নদীটা কি বেঁচে আছে না মরে গেছে? – প্রভাষ আমিন
নদীধারাগুলো সুরক্ষায় স্থানীয় জনগোষ্ঠী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে : মার্ক অ্যাঞ্জেলো
“নদী তো আর এক জায়গায় থাকে না, যেখানে পলি উঠানো হয় নদী সেখানেই যায়”
সাধারণত উঁচু ভূমি বা পাহাড় গিরিখাত থেকে সৃষ্ট ঝরনাধারা, বরফগলিত স্রোত কিংবা প্রাকৃতিক পরিবর্তন থেকে নদীর জন্ম। হাজার হাজার ফুট উঁচু পাহাড় থেকে তীব্র বেগে ধেয়ে আসা জলরাশিতে এক ধরণের প্রচন্ড গতি সঞ্চারিত হয়। ছুটে আসা এই দ্রুত গতিসম্পন্ন জল স্থলভাগ অতিক্রম করার সময় নদী নামে পরিচিত হয়। নদী যখন পাহাড়ি এলাকায় প্রবাহিত হয় তখন তার যৌবনাবস্থা। এ সময় নদী ব্যাপক খননকাজ চালায় এবং উৎপত্তিস্থল থেকে নুড়ি, বালি, পলি প্রভৃতি আহরণ করে অতি সহজে সমুদ্রে নিক্ষেপ করে। নদী এভাবেই আবহমানকাল ধরে ভূপৃষ্ঠকে ক্ষয় করে চলেছে। তার এ কাজ শেষ হয় তখনই যখন সমস্ত নদী অববাহিকা ক্ষয় প্রাপ্ত হয়ে সমভূমি বা প্রায় সমভূমিতে পরিণত হয়। নদীকে ৩ অবস্থায় ভাগ করা হয়েছে। এর প্রথম অবস্থাকে বলা হয় যৌবন অবস্থা। দ্বিতীয় অবস্থাকে বলা হয় পরিপক্ক অবস্থা এবং তৃতীয় ধাপকে বৃদ্ধ অবস্থা বলা হয়।
যৌবন অবস্থায় নদীর প্রধান কাজ হলো ক্ষয় এবং বহন। সাধারণত পার্বত্য অবস্থাটিই নদীর যৌবনকাল। এ সময় নদী বড় বড় পাথর বহন করে নিয়ে আসে। এসব পাথরের ঘর্ষণে নদীর তলদেশ ক্ষয় পেয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি করে। পার্বত্য অঞ্চলে নদীর ক্ষয় ক্রিয়ার ফলে গিরিখাত এবং জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়। এরপর নদীর যে অবস্থানটি তাকে বলা হয় পরিপক্ক অবস্থা। এ অবস্থায় নদী একটু স্তিমিত হয়। ফলে নদীর বেগ ও বোঝা বয়ে নেওয়ার ক্ষমতাও কমে যায়। সাধারণত নদী মধ্যস্থানে বা উপত্যকায় প্রবেশ করলে এই পরিপক্ক অবস্থা বোঝায়। এই অবস্থায় গিরিখাত, খরস্রোত, জলপ্রপাত প্রভৃতি আর দেখা যায় না। সর্বশেষ অবস্থা হলো বৃদ্ধ অবস্থা। নদীর বৃদ্ধ অবস্থায় বলতে যা বুঝায় তা হলো, নদীর ক্ষয় করার ক্ষমতা একেবারেই কমে যায়। তবে ভাঙ্গার কাজ অল্পস্বল্প চলে। সাধারণত সমতল ভূমিতে নদীর এই অবস্থা হয়। এতে কোথাও কোথাও উঁচু ভূমি থাকতে পারে। এ সময় নদীর গতিমাত্রা এত কমে যায় যে, সামান্য বাধা পেলেই নদী গতিপথ পরিবর্তন করে। নদী এই অংশে খুব এঁকেবেঁকে চলে। পথে পথে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ সৃষ্টি করে। এ অবস্থায় নদী বর্ষাকালে প্রায়ই দু’কূলে বন্যার সৃষ্টি করে। নদীর পানি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে বালি ও পলি দুই তীরে ছড়িয়ে পড়ে। নদীর বুকে জেগে ওঠে চর । তবে নদী সবসময় ঠিক এভাবে চলে না। মাঝে মাঝে ভূকম্পনের ফলে নদী আবার যৌবন পেতে পারে। এ ছাড়া অন্যান্য কারণেও নদীর তীব্রতা ও গতি বৃদ্ধি পেয়ে যৌবন ফিরে পেতে পারে। আমাদের দেশে যৌবনপ্রাপ্ত নদীর সংখ্যা গণনা করলে যোগফল হবে শূন্য এটা নিঃসন্দেহে বলা চলে। কারণ বাংলাদেশের নদীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় এদেশের নদ-নদীর যৌবন অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। এদেশের নদীগুলোর এখন চলছে বৃদ্ধ অবস্থা। যে কোন সময় এগুলোর মৃত্যু হতে পারে।
বর্তমানে দেশের অধিক বিপদাপন্ন নদ-নদীগুলোর মধ্যে রয়েছে সিরাজগঞ্জের বড়াল, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরের ডাকাতিয়া, চট্টগ্রাম ও রাঙামাটির কর্ণফুলী, নেত্রকোনার মগরা ও সোমেশ্বরী, খুলনার ময়ূর, হবিগঞ্জের খোয়াই, রংপুর অঞ্চলের ঘাঘট, ধরলা, জলঢাকা, দুধকুমার, তিস্তা, স্বতী, নীলকুমার, বাঙ্গালী, বড়াই, মানাস, কুমলাই, লাতারা, ধুম, বুড়িঘোড়া, দুধ কুমার, সোনাভরা, হলহলিয়া, লোহিত্য, ঘরঘরিয়া, ধরনী, নলেয়া, জিঞ্জিরাম, ফুলকুমার, কাটাখালী, সালমারা, রায়ঢাক, খারুভাজ, যমুনেশ্বরী, চিকলী, মরা করতোয়া, ইছামতি, আলাই কুমারী ইত্যাদি। সিলেটের পিয়াইন,চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরার নবগঙ্গা, টাঙ্গাইলের লৌহজং, বান্দরবানের শঙ্খ, কক্সবাজারের বাঁকখালী, জামালপুর, ময়মনসিংহ, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, দিনাজপুরের পুনর্ভবা, বগুড়ার করতোয়া, সাতক্ষীরার আদি যমুনা, নওগাঁ ও জয়পুরহাটের ছোট যমুনা, বরিশালের সন্ধ্যা, ফরিদপুরের কুমার, নাটোরের নারদ ও যশোরের কপোতাক্ষ,বরগুনা, নয়াভাংগনী, সাতলা, গণেশপুরা, তেঁতুলিয়া, লোহালিয়া ও ইলিশা নদীসহ অনেক নদী নাম নাম যৌবন হারার তালিকায় উঠে এসেছে। যৌবনহারা এসব নদ-নদীর কোন মহাষৌধে যৌবন ফিরে পাবে এটা কেউ বলতে পারবে বলে মনে হয় না। তবে এসব নদী বাচিয়ে রাখা জরুরী।
উদাহরণ হিসেবে বলতে চাই, রংপুর শহর থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দুরে গঙ্গাচড়া উপজেলা। এ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি ইউনিয়নই হচ্ছে তিস্তা নদী বেষ্টিত। শুকনো মৌসুমে তিস্তাতে থাকে হাঁটু জল। ডালিয়া থেকে কাউনিয়া পযর্ন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে জেগে উঠেছে বিশাল চর। বগুড়ার প্রমত্তা করতোয়া এখন ক্ষীণ খালে পরিণত হয়েছে। তেমনি গাইবান্ধার ঘাঘট, কুড়িগ্রমের ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র। এসব নদী এখন হেঁটে পার হওয়া যায়। পদ্মা নদীর ক্ষেত্রে একই অবস্থা। এখন নদীর সোঁ সোঁ ডাক দূরের কথা দুচোখ যে দিকে যায় শুধু বালু আর আর বালু। ফারাক্কার প্রভাবে পদ্মা শুকিয়ে অনেক স্থানে খালে পরিণত হয়েছে। এক সময় জীবন জীবিকার নির্ভর ছিল নদীর উপর। আবহমানকাল থেকে মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল অসংখ্য শত শত নদী। ভাটিয়ালি, মারফতি, মুর্শীদি গান গেয়ে পাল তোলা নৌকার মাঝিরা নদীর প্রাণকে সজিব করে তুলতো। পারাপারের জন্য ছিল অসংখ্য খেয়াঘাট। কিন্তু আজ আর এসব দৃশ্য চোখে পড়ে না। জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে নদীগুলো মরে গেছে। নদীগুলো শুকিয়ে ক্ষীণ ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে। এসব নদী দেখলে এখন আর কেউ মনে করে না, এক সময় এসব নদীর খরস্রোতা যৌবন ছিল। ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহার ও প্রকৃতি বিরূপ আচরণ করায় কালের অতল গহ্বরে হারিয়ে যেতে বসেছে এই নদীগুলো। যেখানে এক সময় মাছের চাষ হতো এখন সেখানে চাষ হচ্ছে ধান, পাট, তামাকসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য। নদী শুকিয়ে যাওয়ায় এ অঞ্চলের যুগ যুগ ধরে নদী দিয়ে বয়ে চলা প্রাণের প্রবাহ থেমে গেছে।
তিস্তা নদীতে ভারত জলপাইগুঁড়ি জেলার গজলডোবা নামক স্থানে বাঁধ নির্মাণ করেছে। বাংলাদেশের তিস্তা ব্যারেজ থেকে ১০০ কিলোমিটার উজানে বাঁধটি অবস্থিত। বাঁধের সাহায্যে ভারত একটি খালের মাধ্যমে শুকনো মৌসুমে দেড় হাজার কিউসেফ পানি মহানন্দা নদীতে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে তিস্তা অববাহিকার পানি প্রবাহ অস্বাভাবিক কমে গেছে। কৃষি, নৌসহ জীবন যাত্রায় পড়েছে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব। তিস্তা অববাহিকায় বসবাসকারী লাখ লাখ মানুষের জীবন জীবিকায় নেমে এসেছে চরম হাহাকার। বাংলাদেশে ৫৪টি আন্তর্জাতিক নদী প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতিটি নদ নদীতে ভারত বাধ নির্মাণ করে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করছে। অপরদিকে পদ্মা নদীতে ভারত ফারাক্কায় বাঁধ দেয়ার ফলে এ অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতিতে মারাত্মক নেতীবাচক প্রভাব পড়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের অবস্থা আরো করুণ। কুড়িগ্রামের চিলমারী এলাকায় শুকনো মৌসুমে এ নদী পায়ে হেঁটে পাড় হওয়া যায়।
১৯৮০ সাল থেকে প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষ রোববার বিশ্ব নদী দিবস হিসেবে পালন করতে শুরু করে ব্রিটিশ কলম্বিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি। এরপর ২০০৫ সাল থেকে জাতিসংঘের বিভিন্ন সহযোগী সংস্থা দিবসটি পালন করছে। বাংলাদেশে ২০১০ সাল থেকে রিভারাইন পিপল নামের একটি সংস্থা এ দিবস পালন করে আসছে। ২০০৫ সালে জাতিসংঘ দিবসটি অনুসমর্থন করে। এবছর বিশ্ব নদী দিবস পালিত হবে। সেই সাথে হবে বিভিন্ন সভা সেমিনার। নানান সমস্যার কথা উঠে আসবে। সমস্যা সমাধানে সুচিন্তিত মতামত ও কার্যকর পদক্ষেপে হয়তো বেঁচে যেতে পারে মৃতপ্রায় নদীগুলো। আর তাহলেই বাঁচবে বাংলাদেশ
লেখক: কবি ও সাংবাদিক। সূত্র: রাইজিংবিডি, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮।। ছবি সূত্র: কালের কন্ঠ।