বুড়িগঙ্গা নদী ঢাকা শহরের জন্য শুধু অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণই নয়, বরং এটি ঢাকার ত্রাণকর্তাও। এই নদী দেশের অনেক এলাকাকে সংযুক্ত করে রেখেছে। বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে প্রায় ৫.১ মিলিয়ন মানুষ বাস করে। আজ এই নদী সামগ্রিকভাবে দূষণে জর্জরিত। কল-কারখানার রাসায়নিক বর্জ্য, গৃহস্থালির বর্জ্য, চিকিৎসা বর্জ্য, পয়োনিষ্কাশন, মৃত প্রাণী, প্লাস্টিক ও তেল বুড়িগঙ্গাকে প্রতিনিয়তই দূষণ করে চলেছে।
ঢাকা শহর প্রতিদিন প্রায় ৪,৫০০ টন কঠিন বর্জ্য নিষ্কাশন করে এবং এর বেশিরভাগই বুড়িগঙ্গায় পতিত হয়। বুড়িগঙ্গার দূষণের কারণে আশপাশের পরিবেশ, সামুদ্রিক জীবন ও মানুষ সবই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বুড়িগঙ্গার এই দূষণ অত্র অঞ্চলের পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট করেছে। বুড়িগঙ্গার পানিতে কার্যত অক্সিজেন নেই, ফলে প্রাণহীন হয়ে পড়ছে নদী।
এই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবস-২০২২ উপলক্ষে বুড়িগঙ্গা নদী ও এর পরিবেশ বাঁচাতে এক অনন্য আয়োজন করতে যাচ্ছে জেসিআই ঢাকা নর্থ, রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার-আরডিআরসি, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও বাপা
“বুড়িগঙ্গায় গণগোসল”
তারিখঃ ৫ জুন, ২০২২
সময়ঃ সকাল ১০.০০ টা – দুপুর ১.০০ টা
স্থানঃ বসিলা ব্রীজ, মোহাম্মদপুর
আরডিআরসি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ বলেন-‘পরিবেশ ও জীবনের ক্ষয়ক্ষতির কথা মাথায় রেখে বুড়িগঙ্গা নদীকে বিলুপ্তির প্রান্ত থেকে বাঁচাতে কাজ শুরু করতে হবে। মানুষের জীবন ও সম্পদ, সর্বোপরি ঢাকা শহরকে বাঁচাতে হলে বুড়িগঙ্গা ও এর বৈচিত্র্যকে বাঁচাতে হবে। আর ঢাকার ত্রাণকর্তাকে বাঁচানোর দায়িত্ব আমাদের সকলের।’
তিনি আরও বলেন- ‘বুড়িগঙ্গার পানিকে গোসলের উপযোগী করতে এবং দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে আমরা আওয়াজ তুলতে নদীতে ক্যাম্পিং ও গোসল করব। আমরা বুড়িগঙ্গা নদী ও এর জনগণের পাশে দাঁড়াতে চাই। বুড়িগঙ্গার পানিকে গোসলযোগ্য করে তোলাই আমাদের অবস্থান। আমাদের এই আয়োজনে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, পরিবেশ সংগঠনের নেতৃত্ববৃন্দ , যুব নেতৃবৃন্দ, মিডিয়া কর্মীসহ শতাধিক মানুষ উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করছি।’