আমার দাড়াইন ।। সুমনকুমার দাশ

দাড়াইন

ছোট্ট মফস্বল শহর ঘুঙ্গিয়ারগাঁওয়ের পাশ দিয়ে বহে গেছে যে নদ-তা দাড়াইন। আমাদের শৈশব-কৈশোরের খেলার সঙ্গী। যতক্ষণ চোখ লাল না হতো, ততক্ষণ দাড়াইনের তরল বুকে চলত দাপাদাপি। ফাল্গুন-চৈত্রের নিস্তরঙ্গ রূপ আর জৈষ্ঠ্যের যুবক দাড়াইনের কত ফারাক! আষাঢ়-শ্রাবণে ফুলে-ফেঁপে দাড়াইন মিশে যেত হাওরের বুকে। মাঝ নদীতে গেরাফি-ফেলা নৌকার মতোই পুরো জনপদের গ্রামগুলো যেন ভাসত হাওরজুড়ে! শুষ্ক আর বর্ষা-দুই সময়ে দুই রূপ দাড়াইনের। সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার শ্রীহাইল হোসেনপুর গ্রাম থেকে পাশ্ববর্তী দিরাই উপজেলার ধলবাজারের কাছাকাছি পর্যন্ত সাপের মতো এঁকেবেঁকে গেছে দাড়াইন নদ। বর্ষায় পানিতে থইথই করলেও শুষ্ক মৌসুমে কোথাও কোথাও হাঁটুসমান পানি থাকে।…

সে এক মায়াবী নদী ।। সৈয়দ কামরুল হাসান

মায়াবী

ফুলের গন্ধটা তীব্র হয়ে নাকে লাগে। হু হু করে যখন বাতাস বইতে শুরু করল ঠিক তখন ঘুম ভেঙ্গে যায় আমার। কিন্তু এই নৌকায় ফুলের গন্ধটা  কোত্থেকে আসবে বুঝতে পারিনা প্রথমে। পরে কারণটা ধরতে পারি ধীরে সুস্থে। আসলে আমি মায়ের কোলে শুয়ে ছিলাম। মায়ের কোলে শুয়ে আশৈশব পেয়েছি এই ফুলের ঘ্রাণ। বড় হয়ে যখন কারণটা বুঝতে পেরেছি, ততদিনে মা আমাদের মায়া ত্যাগ করে পরপাড়ে পাড়ি জমিয়েছেন। মায়ের পছন্দ ছিল জবাকুসুম তেল, বরাবর বাবা তাই বাড়ি এনে দিয়েছেন, মা সেই তেল মাখতেন চুলে। কিন্তু, কারণ সনাক্ত হবার আগেই সেই যে অবুঝ শিশুর…

মুরাদনগরের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিতাস নদী এখন ধানিজমি

মুরাদনগরের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিতাস নদী এখন ধানিজমি

কুমিল্লার মুরাদনগরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে তিতাস নদী। একসময়ের খরস্রোতা তিতাস এবং এর শাখাগুলো এখন মুরাদনগরবাসীর দুঃখ। শুকনো মৌসুমে কোথাও পানির দেখা মেলে না। এ সময় তিতাসের বুকে  ইরি-বোরো ধানের আবাদ করা হয়। অন্যদিকে বর্ষা মৌসুম শুরু হলেই দুই কূল ছাপিয়ে কয়েক লাখ মানুষকে জলাবদ্ধ করে রাখে এ নদী। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, নদীটির উৎপত্তি হয়েছে ভারতের অঙ্গরাজ্য ত্রিপুরায়। সেখানে বাংলা ভাষায় হাওড়া এবং স্থানীয় কোকবোরোক ভাষায় সাইদ্রা নামে নদীটির নামকরণ করা হয়েছে; কিন্তু বাংলাদেশে নদীটি তিতাস নামেই পরিচিত। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় উৎপত্তি হয়ে নদীটি বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া…