ফয়সাল আহমেদ সম্পাদিত নদী বিষয়ক বই- ‘প্রিয় নদীর গল্প’ প্রকাশিত

ফয়সাল

রিভার বাংলা সম্পাদক ও  লেখক, গবেষক ফয়সাল আহমেদ সম্পাদিত নদীবিষয়ক বই ‘প্রিয় নদীর গল্প’ প্রকাশিত হয়েছে। সৃজনশীল প্রকাশনা সংস্থা ‘জাগতিক প্রকাশন’ বইটি প্রকাশ করেছে। অবিমৃশ্যকারীদের দুর্বুদ্ধিতে সাময়িক লোভ ও লাভের হিসেব বড় করে দেখতে গিয়ে স্বাভাবিক নদীগুলোর সঙ্গে যথেচ্ছচারের ত্রæটি করেনি সভ্য মানুষ! আরও মর্মান্তিক যে, উন্নয়নের নামে বিরামহীন আত্মঘাতী নদী-শাসন! অথচ নদ-নদীর ইতিহাসই বাঙলার ইতিহাস। নদ-নদীর তীরে তীরে মানব সভ্যতা অগ্রগতির চিহ্ন এঁকে রাখে; মানুষের বসতি, কৃষির পত্তন, প্রাম-নগর, বাজার-বন্দর, শিল্প-সাহিত্য, ধর্মকর্ম সবকিছুরই বিকাশ ঘটায়। দুর্বৃত্তদের বিপরীতে কল্যাণকামী মানুষের মননে রক্তক্ষরণ সচল রাখতে পারছে না নদীর নাব্যতা। আশাবাদী মানুষও…

‘মহানদী’, এক সাধারণ পাঠকের অনুভব

মহানদী

।। সুস্মিতা চক্রবর্তী ।।  মহানদী। ছত্রিশগড়ের মালভূমি থেকে নেমে এসে জগৎসিংহপুরের বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত যেতে যেতে ভারতবর্ষের মাটির সাথে বেঁধে নেয় তার ভাঙা গড়ার খেলা, যেমন নেয় সব নদীই তার নিজভূমের সাথে। নদীর নিজভূমটি ঠিক কে? সে কি মানচিত্রে দাগ টেনে দেওয়া আঁকাবাঁকা এক ভৌগোলিক জরিপের সীমানা? নাকি বয়ে যাওয়া এক গতিময় অতল? যে অতল উৎস থেকে পাড়ি দেয় মোহনা আর একইসাথে নিজেও হয়ে ওঠে অজস্র আখ্যান, লোককথা, লোকাচার, ইতিহাস, পুরাণের, বৃক্ষলতাগুল্ম, কীটপতঙ্গ, অরণ্যজীবন আর মানুষের এক মহা সংগম, এক মহা মিলনস্থল। নদীর এই দ্বিতীয় রূপটিই অনিতা অগ্নিহোত্রীর, ‘মহানদী’ উপন্যাসের উপজীব্য।এই…

লাবণ্যবতী একটি স্রোতের নাম ।। সুস্মিতা চক্রবর্তী

লাবণ্যবতী

গল্প সকাল… দু পায়ের ফাঁক দিয়ে মুন্ডুটা উলটো করে ঢুকিয়ে মাঝেমাঝে আমি আকাশ দেখি। একঘেয়ে লাগলে আর কাজ না থাকলে। খালের উপর কংক্রিটের ব্রীজের ফোকর দিয়েও দেখি। আর দেখি মাঝেমাঝে রাত্তিরে ঘুম ভেঙে গেলে আমাদের ঘরের টালির ফুকো দিয়ে। এইসব উলটো, গোলাটে, তেরচা আকাশগুলোর কথা অবশ্য কাউকে বলি না। আর বলবই বা কাকে। একবার লিটনকে বলতে গিয়েছিলাম। আমায় একটা ঠেলা দিয়ে বললে ‘ স্লা বাপের জম্মে শুনিনি। কোদ্দিয়ে এসব পাস গুরু।’ লিটনটা ওইরকম। আমার চেয়েও দু বছরের ছোট। দেখলে কেউ বুঝতেই পারবে না যে এরম সব কথার ফুলঝুরি মুখে। তা…

আমার নদী…তুই ডাকলেই সাড়া দেয় যারা ।। সুস্মিতা চক্রবর্তী

আমার নদী

প্রথম নদী চিনিয়েছিল আমায় সহজপাঠ। সে নদী ছিল আমারই দোসর যেন। কুল, করমচা, বাঁশঝাড়ে দৌড়ে বেড়ানো শিশুকালের মতোই সে চেনা চৌহদ্দির ছোট নদী। তাকে চেনে গাঁয়ের হাট, পাড়ার ঘাট। আমারই মত, তার দুনিয়াখানাও বুঝি দিব্যি এঁটে যায় একখানা পুতুলের বাক্সের মাপে। তার হাঁটুজলের পৃথিবীটিতে সে এঁকে দিতে দিতে চলে আঁকিবুঁকি খুশি। তারপর সহজপাঠ ফুরিয়ে আসে একদিন। আমার  মফস্বলের বড় হতে থাকা দিনগুলোয় নদী ছিল না কোন। কালেভদ্রে যাওয়া হত খানিক দূরের দক্ষিণেশ্বরে। সেখানে যে জলধারা আমার কাছে সে ছিল নিতান্তই ভূগোলের দাপুটে নদী। তার বুকে ভেসে যায় পুজোর মানত, পুণ্য…