রিভার বাংলা’র বৈশাখী আয়োজনে লিখেছেন, কলকাতার নদী আন্দোলনের সংগঠক অনুপ হালদার – সম্পাদক ভারতবর্ষ নদী মাতৃক দেশ। অর্থাৎ এই সভ্যতার জন্মদাত্রী নদী।পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই নদীর প্রভাব আরো বেশি ভাবে লক্ষ করাযায়।নদী যেমন এদেশের সমাজ, সভ্যভায়, সংস্কৃতি তে বিরাজমান তেমনই আমাদের মনের মনি কোঠায় নদী চীরকাল ই জায়গা করে নিয়েছে। নদীর সাথে আমাদের সম্পর্ক খুবই গভীর ও নিবিড়।আগেও মানুষ নদী কে ব্যবহার করে এসেছেন নৌকা দিয়ে, সেচ দিয়ে, মাছধরে,কিন্তু বিগত কয়েক দশকে আমাদের পুঁথিগত শিক্ষা আমাদের প্রকৃতির প্রতি সেই শ্রদ্ধার জায়গা কে দুরে সরিয়ে দিয়ে আমাদের ঔদ্ধত্য কে বড় করে তুলেছে প্রকৃতির সাথে…
Author: অনুপ হালদার
হারিয়ে যাচ্ছে চৈতি নদী
কলকাতা : উওর২৪পরগনার গোপালনগর থানার অন্তরগত গোপালনগর গ্ৰামের কাছেই ইছামতি নদীথেকে উৎপত্তি হয়ে চৈতি নদী প্রায় ৭০কি .মি. পথ পেরিয়ে মিলিত হয়েছে যমুনা নদীতে।নাতিদীর্ঘ এই নদীর কোলেই জন্মনিয়েছে প্রায় ৩০টি গ্ৰাম। গ্ৰামের মানুষের জীবন জীবিকা, সামাজিক আচার অনুষ্ঠান সকল কিছুই আবর্তিত হতো এই নদীকে ঘিরেই। কিন্তু বর্তমানে যমুনা ও ইছামতি উভয় নদীর মৃত্যুর কারণে চৈতি ও হারিয়েছে তার স্বাভাবিক ছন্দ। তার ওপর নদী দখল করে বাড়ছে চাষাবাদ।নদী বুজিয়ে গজিয়েউঠছে মাছেরভেড়ি। কয়েক বছর পর আবার সেই ভেড়ি বুজিয়ে গড়েউঠছে নতুন বসতি। চাষের জন্য বাড়ছে ভূগর্ভস্থ জলের তোলার পরিমান। কয়েক লক্ষ মৎস্যজীবী পরিবার…
বাঁধালে বিপন্ন মাথাভাঙ্গা নদী
নদীয়া জেলার একটি আন্তঃসীমান্ত নদী হল মথাভাঙা (উৎপত্তি বাংলাদেশের পদ্মা নদী মোহনা ভাগীরথী) আন্তর্জাতিক সীমা অতিক্রম করে ভারতে মাত্র ১৯কিমি প্রবাহিত হয়ে চূর্ণিও ইছামতি নামে দুটি শাখার বিভক্ত হয়েছে। এর অকৃতি খানিকটা ইংরেজি’Y’ এর মত।বর্তমানে এই নদীটির জলন্ত সমস্যা হল নদী বাঁধাল (নদী তে বালির বস্তা,বাঁশ,মশারির নেট,ব্যবহার করে প্রবাহ কে ২/৩ফুটে আবদ্ধ করে সেখানে বড় গোলাকার মুখের লম্বা জালের ব্যবহার) এর নিয়ন্ত্রক স্থানীয় কিছু আসাধু মৎস্যজীবী। নদীর যাবতীয় মাছ ও জলজ প্রানী সবই আটকে পড়ে ওই বাঁধালে।বর্তমানে নদী মাছশূন্য।নদী তীরবর্তী ১৩০টি গ্ৰামের প্রায়৩০হাজার মৎস্যজীবী পরিবার জীবিকা হারিয়েছেন। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী থেকে…