নদী সরে গেলে ।। ইন্দ্রনীল সুমন

ইন্দ্রনীল

নদী সরে গেলে ।। ইন্দ্রনীল সুমন একটানা বৃষ্টির শব্দে ঘোর লেগে গেলে অনুভব হয় নদী সরে গেছে নদী সরে গেছে, অভিমানে, আপন সন্তান ছেড়ে বাস্তু ছেড়ে আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্নেহের আদর ছেড়ে সরে গেছে নদী পদচিহ্ন রেখে গেছে বাওরের বুকে হা-হুতাশ রেখে গেছে জলজ উদ্ভিদের গোপন ডেরায় বর্ণান্ধ কিশোরের আসমানী চোখে এঁকে দিয়ে গেছে সাতনরী হার, পাকা হাতে লিখে দিয়ে গেছে উপকথা-গান জুড়ে দিয়ে গেছে সুরে সুর বিষণ্ণ নুপুরের তালে নদী সরে গেলে কান্না সরে যায় প্রেম সরে যায় মানুষ সরে যায় একলা কিশোর শুধু বসে থাকে আসার আশায় নদী সরে গেলে…

মেঘভাঙা বৃষ্টি ।। ইন্দ্রনীল সুমন

ইন্দ্রনীল সুমন এর একটি নদী বিষয়ক গল্প  “মেঘভাঙা বৃষ্টি” পড়ুন রিভার বাংলা ডট কমে এক.  ডুলুং এখানে হলুদ বিনুনি কিশোরীর মতো, লাফিয়ে লাফিয়ে চলে, অকারণে উচ্ছল! এদিকটায় বোল্ডার বেশী, তাই ডুলুং এর জলের শব্দও বেশী| ডুলুং কথা বলে| নদীভাষায়| ইমন মজা পায়| বোঝার চেষ্টা করে নদীর ভাষা| যেন সাংকেতিক কোনো ভাষায় নদী কিছু বলতে চাইছে ইমনকে, আর ইমন মন দিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা করছে তার অর্থ| প্রথম যেবার এসেছিল তখন ডুলুং এর কথা একেবারেই বুঝত না, আজকাল অল্প হলেও বোঝে| এই যেমন ডুলুং এখন বেলা বারোটার রোদমেখে খুশী খুশী মুখে ডাকছে…

ইন্দ্রনীল সুমন এর একগুচ্ছ কবিতা

কবি ইন্দ্রনীল সুমন এর একগুচ্ছ কবিতা

নদীর গান ……………………………………. নদীর কাছে হাত পেতেছি, নদী বলল এসো, চরায় বোসো, খানিক গল্প করি, চাইলে ঘর বাঁধতে পারো, জোয়ার এলে পা ভিজিয়ো আলতো করে, কলঙ্ক নয় রাখবো আমি চোখের আড়াল, তোমার বুকে তখন চাঁদের কাঞ্জিভরম, আখতারীবাই বসত করে কান্না জুড়ে পান্না চুনী তোমার চোখে, লাব-ডুব-লাব লাব-ডুব-লাব, শব্দটুকু ঝরতে থাকে, ঝরতে থাকে, দিগন্তে ঐ রাত্রিজুড়ে…… যাপন ……………………………………… লাল জামাটা উড়িয়ে দিলাম চৈতি মেঘে যা উড়ে যা যেমন তেমন ভীষণ বেগে সমুদ্রসাত চৌদ্দ নদী তোর সাথে যাক শুনছি নাকি তোর এখনও দারুণ দেমাক! অযুত পাখি রাত জোনাকি আঁকছে ছবি পলাশফুলে আবির…

কবি ইন্দ্রনীল সুমন এর একগুচ্ছ কবিতা

কবি ইন্দ্রনীল সুমন এর একগুচ্ছ কবিতা

বাঁওড় ………….. ইছামতী পাশ দিলে রোদেজলে ঝিলমিল বাঁওড়ের বুক শুনেছি নদীর না কি মৃত্যুদিন হয় শোকসভা, ফুলমালা ধূপগন্ধে স্মৃতি দু-মিনিট নীরবতা, মৃদু কাশি, ব্যস, ঠিক আছে! মানুষ পাশ দিলে, মন অমরায়, পবিত্র ঘণ্টাধ্বনি মৃদুতর সুর নিয়ত বাজতে থাকে, স্মৃতির জীবন দীর্ঘ হয়, দীর্ঘতর অবহেলা ঘরে, ধূলির বসন! নদী তার ছেড়ে যাওয়া জলচলে রাখে আপনার কীর্তিকথা, সুখ শোক হাসি, আনন্দ হতাশার চূর্ণকুন্তল… স্মৃতি বড় অসহায়, অমরতা নিয়ে, এ ডালে সে ডালে বসে, শাপগ্রস্ত ফিঙে! ……………………………………………………… মোহনিয়া ………………. স্বপ্নে এক নদী আসে কেন? ভৈরবী ভোরে? অহেতুক জলছুঁই খেলাধুলা শেষে ও মোর বালকদিন…