আমার দাড়াইন ।। সুমনকুমার দাশ

দাড়াইন

ছোট্ট মফস্বল শহর ঘুঙ্গিয়ারগাঁওয়ের পাশ দিয়ে বহে গেছে যে নদ-তা দাড়াইন। আমাদের শৈশব-কৈশোরের খেলার সঙ্গী। যতক্ষণ চোখ লাল না হতো, ততক্ষণ দাড়াইনের তরল বুকে চলত দাপাদাপি। ফাল্গুন-চৈত্রের নিস্তরঙ্গ রূপ আর জৈষ্ঠ্যের যুবক দাড়াইনের কত ফারাক! আষাঢ়-শ্রাবণে ফুলে-ফেঁপে দাড়াইন মিশে যেত হাওরের বুকে। মাঝ নদীতে গেরাফি-ফেলা নৌকার মতোই পুরো জনপদের গ্রামগুলো যেন ভাসত হাওরজুড়ে! শুষ্ক আর বর্ষা-দুই সময়ে দুই রূপ দাড়াইনের। সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার শ্রীহাইল হোসেনপুর গ্রাম থেকে পাশ্ববর্তী দিরাই উপজেলার ধলবাজারের কাছাকাছি পর্যন্ত সাপের মতো এঁকেবেঁকে গেছে দাড়াইন নদ। বর্ষায় পানিতে থইথই করলেও শুষ্ক মৌসুমে কোথাও কোথাও হাঁটুসমান পানি থাকে।…

আহা, এইখানে এক নদী ছিল… ।। প্রভাষ আমিন

প্রভাষ

সবারই শেষ জীবন কাটানোর একটা স্বপ্ন থাকে। কারো স্বপ্ন পূরণ হয়, কারোটা হয় না। আমার স্বপ্নটা ছোট, কিন্তু জানি পূরণ হবে না। আহা, আমার যদি ছোট্ট একটা নদীর পারে ছোট্ট একটা কুঁড়েঘর থাকত। সেখানে ফেসবুক দরকার নেই, ইন্টারনেট লাগবে না; খালি বই পড়া আর গান শোনার ব্যবস্থা থাকলেই হবে। সকালে নদীর পারে হাঁটব, বুক ভরে নেব, ফ্রেশ অক্সিজেন, দুপুরে নদীতে সাঁতার কাটব, বিকেলে নদীর পারে আরাম কেদারায় বসে বই পড়ব আর গান শুনব। রাতে নদী থেকে আসা ভেজা হাওয়া গায়ে মেখে, বাতাসে ভেসে আসা ফুলের গন্ধে ঘুমিয়ে যাব। আমার শেষ…

সংসদ নির্বাচন : বন-নদী-পাহাড় নিয়ে কী ভাবছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা?

বন-নদী-পাহাড় নিয়ে কী ভাবছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা?

জয়া ফারহানা>> একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা যত ব্যস্ত, তার চেয়েও বেশি ব্যস্ত তাদের পারিষদবর্গ। তারা জানেন, পরিবেশকর্মী প্রেসার গ্রুপের দাবি মোতাবেক নদী-বন-পাহাড় রক্ষায় ইশতেহারে যত ভালো কথাই লেখা থাক, ইশতেহারের আদর্শ প্রতিশ্রুতিগুলো ফাইলবন্দিই থাকবে। এমপি সাহেবকে নানা কায়দায় তোয়াজের মাধ্যমে যিনি সাইজ করতে পারবেন, এলাকার বন-নদী-পাহাড়-টিলা-খাল-বিল চলবে তারই ইশারায়, নির্দেশমাফিক। তোষামোদিতে যিনি ফার্স্ট হবেন, বাস্তবে পূরণ হবে তার খায়েশ। এরাই আমাদের নদীগুলোর বালু তুলে তুলে এগুলোকে এমন ব্যথা দিয়েছে যে, এখন হাতে আর এমন কোনো প্যারাসিটামল নেই, যা নদীর ব্যথা দূর করতে পারে। ভৈরব, রূপসা, কপোতাক্ষ, ইছামতি, মাথাভাঙা,…

কপোতাক্ষ নদ – মাইকেল মধুসূদন দত্ত

কপোতাক্ষ নদ – মাইকেল মধুসূদন দত্ত

সতত, হে নদ তুমি পড় মোর মনে সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে। সতত যেমনি লোক নিশার স্বপনে শোনে মায়া যন্ত্র ধ্বনি তব কলকলে জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে। বহু দেশ দেখিয়াছি বহু নদ দলে কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মেটে কার জলে দুগ্ধস্রোতরূপি তুমি মাতৃভূমি স্তনে। আর কি হে হবে দেখা যত দিন যাবে প্রজারূপে রাজরূপ সাগরেরে দিতে বারি রূপ কর তুমি এ মিনতি গাবে বঙ্গজ জনের কানে সখে-সখারিতে। নাম তার এ প্রবাসে মজি প্রেমভাবে লইছে যে নাম তব বঙ্গের সঙ্গীতে।   ‘সতত হে নদ তুমি পড় মোর মনে/…