বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নদী ভালবাসা ও নদী নির্ভরতার সামান্য প্রমাণ

আপামর বাঙালির সামনে এক প্রজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে বরাবর শ্রদ্ধার আসনে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই বঙ্গবন্ধুর নদী নিয়েও যে বিশেষ ভাবনা ছিল, তার কথা অনেকেই জানে না। শেখ মুজিবুর রহমান আসলে নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদী ও জলাশয়কে বুকে ধারণ করে চলতেন। তাইতো তিনি অনায়াসে বলতে পারেন নিজেকে ‘পানির দেশের মানুষ’। এভাবে তিনিই বলতে পারেন যার জলের প্রতি ভালবাসা আছে। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, সত্যিকারের নদীমাতৃক দেশ বলতে যা বোঝায় তা হল বাংলাদেশ। একেবারে জলের দেশ বলতে যা বোঝায় তাই। ট্রেনে যেতে যেতে দেখেছি দূরে নদী অথবা জলাশয় থাকলেও জমির গোড়ায়…

হামিদ কায়সার এর গল্প- ডুব

ডুব

‘কী রে জয়নাল, হইল?’ জয়নাল বলে, ‘হয় নাই।’ আটটা থেকে নয়টার এই সময়ে লোকে লোকে নাও ভইরা গেলেও হয় না জয়নালের, আয়নালেরও হয় না। লোক আরও চাই। আরও আরও লোক। লোকের ভেতরে লোক। লোকের উপরে লোক। যতভাবে ঠাসা যায়। লোকেরও যেন এসবে বিকার নাই। নয়টা সাড়ে নয়টার মধ্যে পৌঁছাতেই হবে টাউনে। কেউ খুলবে দোকান, কেউ করবে অফিস। ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি স্কুল-কলেজের পোলাপানও কিছু আসে। আর থাকে কিছু আলগা মানুষ। যাদের কোনো কাম-কাজ নাই। খাইব ফিরব ঘুরব। এ অফিসে সে বাসায় ঢুঁ মারব। তবে, এ সময়ে যারা আসে তাদের কারোরই হুঁশজ্ঞান থাকে…

১৩০০ কোটি টাকা ব্যায়ে নদী ড্রেজিং

১৩০০ কোটি

ফসিহ উদ্দীন মাহতাব :  নদীভাঙন, জলাবদ্ধতা, বন্যা ও পরিবেশ বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে ছোট-বড় নদীনালা, খাল-ডোবা ড্রেজিং করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় চার হাজার ৪০৮৭ কিলোমিটার ড্রেজিংয়ের মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যার ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এ পরিকল্পনার আওতায় পর্যায়ক্রমে দেশের দুটি সিটি করপোরেশন, ৩৭৫ উপজেলার ৮৮টি ছোট নদী, ৩৫২টি খাল এবং আটটি ডোবা ড্রেজিং করা হবে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে দেশের প্রায় ১ হাজার ৮০০ কি.মি. নৌপথের নাব্য সংকট দূর হবে, পানির ধারণ ক্ষমতা এবং নিষ্কাশন ক্ষমতাও বাড়বে। ফলে নৌ-চলাচল ও যোগাযোগ সহজ হবে।…