মো.ইউসুফ আলী ।। দেশে একদিকে করোনা আরেক দিকে বন্যা। আবার এসেছে ঈদ। সাধারন খেটে খাওয়া মানুষের কাজকর্ম স্থবির। কি করবে মানুষ! কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? কোথায় মিলবে ঠাঁই? এসব হিসেব মিলাতে দিশেহারা আজ দেশবাসী। করোনা আক্রান্তে কাপঁছে দেশ। প্রতিদিন হাসপাতাল গুলেতে বাড়ছে করোনা রোগির সংখ্যা। এ মহামারি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। অতিরিক্ত রোগিতে কাহিল ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী আজ পর্যন্ত সারাদেশে আক্রান্ত রোগীর সংখ্য একলক্ষ একাশি হাজার একশ উনত্রিশ জন। মৃত্যু হয়েছে অন্তত দুই হাজার তিনশ পাঁচ জনের। তবে সরকারি হিসেব এমনটা হলেও সারাদেশে বাসাবাড়িতে…
Tag: তিস্তা
ভয়ংকর রূপে ফুঁসে উঠেছে তিস্তা নদী
ফের ভয়ংকর রূপে ফুঁসে উঠেছে তিস্তা নদী। উজানের পাহাড় ও সমতলে একটানা বৃষ্টি ও গজলডোবা হতে প্রচুর পানি ছেড়ে দেয়ার জেরে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ফুঁসে উঠেছে তিস্তা। শুক্রবার (১০ জুলাই) সকাল ৬টার পর হতে ১২ ঘন্টায় নদীর পানি ৪০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সন্ধ্যা ৬টায় বিপদসীমার (৫২.৬০) ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। অথচ এ দিন সকাল ৬টায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। সেই সঙ্গে ঢলের পানি দ্রুতগতিতে অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে।সূত্র: দৈনিক জনকন্ঠ। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নীলফামারীর ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, পরিস্থিতি সামাল দিতে তিস্তা…
আমার প্রিয় নদী সুবর্ণরেখা ।। সুকন্যা দত্ত
নদীর সাথে আমার প্রথম সখ্যতা গড়ে ওঠে তার দর্শনে নয় শ্রবণে। শুনতে অদ্ভুত লাগলে ও একেবারেই সত্যি। তখন আমার বয়স আড়াই। দার্জিলিং মেল ট্রেন এ উত্তরবঙ্গে মামাবাড়ি যাওয়ার পথে, ফারাক্কাব্রীজ পার হওয়ার সময় প্রচন্ড শব্দের মাঝে ও রাতের আঁধারে কান পেতে শুনতে পেয়েছিলাম লক গেট এর ভিতর দিয়ে গঙ্গার জল স্রোতের কলতান। ব্যাস ঐ শব্দ শুনেই নিজের অজান্তে ভালোবেসে ফেলি নদীকে। তারপর ওই যাতায়াতের পথে আমার কাছে সবচেয়ে আকর্ষনীয় হয়ে উঠেছিলো রাতের অন্ধকার ভেদ করে নদীকে দেখার ইচ্ছেটা। নদীকে প্রথম দেখি জলপাইগুড়িতে। তিস্তার সাদা বালুকায় বসে জলের ওঠা নামা দেখতে…
এই মৃত নদী আমার তিস্তা না ।। শুভময় পাল
‘ছলাৎ ছল ছলাৎ ছল ছলাৎ ছল ঘাটের কাছে গল্প করে নদীর জল’ না, আমার তিস্তা এমন নদী না; গল্প সে করে, তবে সে গল্প নামনাজানা পাহাড়ি ঝরনার, সে গল্প প্রায় ভুলে যাওয়া আদিম জনজাতির। সে গল্প দুরন্ত, চঞ্চল, উচ্ছল। আমার তিস্তা অভিমানী, বেপরোয়া। শীতের বেলায় প্রায় মরা সোঁতা, বর্ষাকালে উপচে পড়া তাথৈথৈ। আমার বাড়ি তিস্তার পারে ছিল বললে খুব ভুল বলা হবে না। জলপাইগুড়ির হাকিমপাড়া, সরু একটেরে গলিতে প্রায় শেষে এক ভাড়া বাড়ি। বাঁশের ছেঁচার বেড়া, লঙ্কা জবার গাছ, এগোলে তপনদের খাটাল আর বিষ্ণুদা’দের বাড়ি। নীল অপরাজিতা ফুটে থরে থরে।…
নদীকথা ।। বিনীতা সরকার
নদী মানে একটি নিখাদ ভালবাসার ছোঁয়া। নদীর সতত প্রবাহিত জলধারা আমাদের জীবনে আশীর্বাদের মতো। নদী মানে জীবন। এই নদীর সঙ্গেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে গ্রামীণ, শহুরে সব মানুষেরই জীবন কাহিনী। নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে প্রাচীন বাংলার অনেক শহর। এই নদীর তীরে গড়ে উঠেছে অনেক নগর, অনেক জনপদ। তাই নদীকে বাদ দিয়ে জীবন ভাবা যায় না। ফারাক্কার পাশ দিয়ে বহতা গঙ্গা নদী পশ্চিমবঙ্গকে দু’টি ভাগে ভাগ করেছে। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ। উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় জেলা জলপাইগুড়ি। জেলার উত্তর অংশে হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চল। উত্তরের উঁচু অংশের জমির ঢাল দক্ষিনে নেমে এসেছে। এর…
সে, আমি ও আত্রেয়ী ।। সুদর্শন ব্রহ্মচারী
নদীটা চুপসে গেছে। রতন হালদার মন খারাপ করে বাউলার ভেক ধরেছে। জাল বুনতে বুনতে সে গুনগুন করে। হাঁসগুলো দল বেঁধে যেতে যেতে হঠাৎ ছড়িয়ে পড়ে। দু’এক জোড়া উল্টো দিকে মাঝনদিতে ছুটে যায়।নীল রঙের মাছরাঙা উড়ে এসে ছোঁ মেরেই পালায়।পানকৌড়ি ডূব মেরে সাঁতরে ছুটে পালায়।নিরিবিলিতে হংসমিথুন দেখতে দেখতে বাউলা রতন গান ধরে, “জ্বলে পুড়ে মরল রাধা যৌবন জ্বালায় যখন ডাকল বাঁশি তখন রাধা যাবে যমুনায়…।” প্রেমপূজারী বাউলা একা একা দেহতত্বের পাঠ নেয়।জল চিকচিক করে। নৌকায় বাঁধা বাঁশের মাথায় সাদা সাদা মাছরাঙা চড়ুই পাখির মতো প্রেম করে উড়ে যায়। বাঁশির সুরে নদী…
শেষ পর্যন্ত আত্রেয়ী আর তিস্তার দেখা হয় নি, কথাও না
এই লেখা আসলে শ্রদ্ধেয় কথাশিল্পী দেবেশ রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন।তাঁর সাথে আমার কোনদিন দেখাও হই নি, কথাও না। তবু আনত শ্রদ্ধা জানাই তাঁকে, নদীকে যিনি বুকে ধারণ করেছিলেন। ছোটবেলা থেকে সম্ভবত ১৯৬৮ সালে তিস্তা নদীর ভয়ংকর বন্যার কথা জেনে আসলেও তার সাথে আমার প্রথম দেখা হয় অনেক পরে।। নব্বই- এর দশকের শেষের দিকে। নদী যে তীব্র অভিঘাত তৈরি করে মনের ভিতর তখন সেটা করেনি। সেটা ছিল শুধু তাকানো। এখন বুঝি সেটা দেখা ছিল না। দেখার দৃষ্টি তো নয়ই। আর তিনি অর্থাৎ দেবেশ রায় তিস্তাকে গভীর ভাবে দেখেছেন না, তিনি শুধু…
সম্পূর্ণ মানবিক কারণে ভারতকে ফেনী নদীর পানি দিচ্ছে বাংলাদেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফরে ফেনী নদী থেকে ভারতকে পানি দিতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ। দুদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, ফেনী নদী থেকে ১.৮২ কিউসেক পানি ত্রিপুরার সাব্রুম শহরে সরবরাহ করা হবে, যাতে সেখানে পানীয় জলের প্রয়োজন মেটানো যায়। বিবিসি বাংলা সূত্রে জানা যায়, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেছেন, সম্পূর্ণ মানবিক কারণেই প্রধানমন্ত্রী হাসিনা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমার মনে হয় মানবিক ইস্যুর সঙ্গে আর কোনও ইস্যুকে মেশানো কিছুতেই ঠিক নয়। দক্ষিণ ত্রিপুরার ওই অঞ্চলটাতে খাবার পানি নেই। আর সে কারণেই কিন্তু আমরা পানি দিয়েছি। আর আমরা যদি পানি না-দিতাম,…
দ্রুততম সময়ে তিস্তা চুক্তি : নরেন্দ্র মোদি
দ্রুততম সময়ে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরে ভারতীয় পক্ষ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নয়াদিল্লিতে শনিবার বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে এতথ্য জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আট বছর আগে দুই দেশের সরকারের সম্মতি অনুযায়ী বাংলাদেশ এ চুক্তি আশু স্বাক্ষরের জন্য গভীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (শেখ হাসিনাকে) অবহিত করেছেন যে তার সরকার ভারতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে নিয়ে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে চুক্তিটি সম্পাদনের জন্য কাজ করছে।’ এতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘২০১১ সালে দুই…
ফেনী নদীর পানি যাবে ভারতে
ভারতের জনগণের খাবারের পানি সংকট দূর করতে ফেনী নদী থেকে পানি দিচ্ছে বাংলাদেশ। শনিবার নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকের পর এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। জানা যায়, সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশের ফেনী নদী থেকে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি নিতে পারবে ভারত। এই পানি ভারত ত্রিপুরা রাজ্যের সাবরুম শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্রকল্পে ব্যবহার করবে। ভারতের হায়দরাবাদ হাউসে অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা-নয়াদিল্লির মধ্য দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি…
নদী- জলাভূমি- পরিবেশ রক্ষায় জাগছে মানুষ
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গে নদী জলাভূমি ও পরিবেশ রক্ষার দুটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি হয়ে গেল। প্রথমটি শিলিগুড়ি মহিলা মহাবিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের আয়োজনে “নদী পরিবেশ ও মানুষ” বিষয়ক কর্মশালা। যেটা হল সাহু নদীর ধারে বৈকুন্ঠপুর ফরেস্ট ডিভিশনের ফারাবারি নেপালি বস্তিতে। আরেকটি শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ সভাকক্ষে প্রথম উত্তরবঙ্গ নদী ও জলাভূমি বাঁচাও কনভেনশনে। যেখানে উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলার নদী ও পরিবেশ কর্মীরা উপস্থিত হয়েছিলেন। শিলিগুড়ি মহিলা মহাবিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের আয়োজনে “পরিবেশ নদী ও মানুষ” বিষয়ক কর্মশালায় অংশ নিয়েছিল প্রায় আটটি কলেজের কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া, গবেষক, অধ্যাপক- অধ্যাপিকারা। বিশ্ব ও স্থানীয় পরিবেশের সমস্যা, পরিবেশের উপাদান হিসাবে…
নদী ভাঙন ঠেকাতে বিশেষ মোনাজাত
নদী ভাঙন ঠেকাতে বিশেষ মোনাজাত ও নামাজ আদায় করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার বিকেলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের পুটিমারী গ্রামে তিস্তার পাড়ে ৬০ জন হাজীর অংশগ্রহণে এ বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সূত্র: সমকাল। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মো. সম্স উদ্দিন। এতে শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কমপক্ষে ৬০০ মানুষ অংশ নেন। এ খবর পেয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মজিবর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি পরে এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, নদী ভাঙন রোধে পরিকল্পনা কমিশনে ৪০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প দাখিল করা হয়েছে। কোনো ধরনের সংশোধনী না থাকলে প্রকল্পটি…