সবার বুকের ভিতর একটা নদী থাকুক

স্বপ্ন দেখি দুই দেশে একসাথে নদী- পরিবেশের পাঠশালা গড়ছি

নদীকে কী করে ভালবেসে ফেললাম আমি? কবে থেকে? নিজেকে প্রশ্ন করেছি অনেকবার। নদীর কাছে গিয়েও নিজেকে প্রশ্ন করেছি। আবার কখনও একলা আছি। টুপ করে একটা নদীর ছবি ভেসে উঠলো। কেন? হয়তো একটা শেকড় খুঁজতে চেয়েছি। জানি না। এখন প্রায়শই একটা ছবি দেখতে পাই। আমার বাবা রাজশাহীর (অধুনা নওগাঁ জেলা) আত্রাইয়ের পারে দাঁড়িয়ে আছে নৌকায় পার হয়ে বাড়িতে আসবে বলে। আমি সত্যিই দেখতে পাই। বাবা শুধু বলেছিল খুব ছোট্টবেলায় এক আনা দিয়ে বাবা আত্রাই নদী পার হতো। সাহেবগঞ্জ। ছোটবেলায় সব কিছু হঠাৎ ছেড়ে চলে আসা। এটুকুই বাবা বলতে পেরেছিল। বুকের ভিতর…

আহা, এইখানে এক নদী ছিল… ।। প্রভাষ আমিন

প্রভাষ

সবারই শেষ জীবন কাটানোর একটা স্বপ্ন থাকে। কারো স্বপ্ন পূরণ হয়, কারোটা হয় না। আমার স্বপ্নটা ছোট, কিন্তু জানি পূরণ হবে না। আহা, আমার যদি ছোট্ট একটা নদীর পারে ছোট্ট একটা কুঁড়েঘর থাকত। সেখানে ফেসবুক দরকার নেই, ইন্টারনেট লাগবে না; খালি বই পড়া আর গান শোনার ব্যবস্থা থাকলেই হবে। সকালে নদীর পারে হাঁটব, বুক ভরে নেব, ফ্রেশ অক্সিজেন, দুপুরে নদীতে সাঁতার কাটব, বিকেলে নদীর পারে আরাম কেদারায় বসে বই পড়ব আর গান শুনব। রাতে নদী থেকে আসা ভেজা হাওয়া গায়ে মেখে, বাতাসে ভেসে আসা ফুলের গন্ধে ঘুমিয়ে যাব। আমার শেষ…

তুলসীগঙ্গা নদীর প্রাণ ফিরিয়ে আনতে পুনঃখননের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে

তুলসীগঙ্গা নদীর প্রাণ ফিরিয়ে আনতে পুনঃখননের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে

নওগাঁ শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত তুলসীগঙ্গা নদী একসময় ছিল স্রোতস্বিনী। কিন্তু বছরের বছর ধরে দখল আর দূষণের শিকার নদীটি এখন মৃতপ্রায়—পরিণত হয়েছে সরু খালে। তা–ও আবার ঢেকে গেছে কচুরিপানার চাদরে। তবে নদীটির প্রাণ ফিরিয়ে আনতে পুনঃখননের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তুলসীগঙ্গার উৎপত্তি দিনাজপুরের শালখুড়িয়া ইউনিয়নের বিলাঞ্চল এলাকায়। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, এর দৈর্ঘ্য ১০০ কিলোমিটার। নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর এলাকায় ছোট যমুনা নদীর সঙ্গে মিশেছে। নওগাঁ সদর উপজেলায় এ নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ কিলোমিটার। ১৯৮৭ সালে সদর উপজেলার ছিটকিতলা এলাকায় জলকপাট নির্মাণ করা হয়। ওই এলাকায় তুলসীগঙ্গা থেকে…

আপনার ছেলেবেলার নদীটা কি বেঁচে আছে না মরে গেছে? – প্রভাষ আমিন

।। রিভার বাংলা ডট কম ।। নদীমাতৃক বাংলাদেশে সবার স্মৃতিতেই একটা না একটা নদী থাকে। ছেলেবেলার স্মৃতির পরতে পরতে থাকে নদীর বিস্তার। আমাদের বাড়ির সবচেয়ে কাছে দাউদকান্দি দিয়ে বয়ে গেছে গোমতী নদী। প্রমত্তা মেঘনাও খুব দূরে নয়। কিন্তু আমার ছেলেবেলার নদীর নাম কালাডুমুর। আমার মামাবাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া এই নদীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক সেই গানের মত, ‘এই নদীতে সাঁতার কাইটা বড় হইছি আমি…’। আমার জন্ম রঘুনাথপুরে মামাবাড়িতে। আমরা শহীদনগর থেকে বাসে যেতাম ইলিয়টগঞ্জ। সেখান থেকে নৌকায় পাঁচপুকুরিয়া হয়ে সালিয়াকান্দি রঘুনাথপুর। এই পথটা ছিল ছেলেবেলায় আমাদের অনাবিল আনন্দের উৎস। বর্ষায়…