নদীর কথা মনে আসলেই প্রথমে বাবার কথা মনে পড়ে। বাবা বলতেন, তোর দাদাজান ছিল একজন মাছুড়েরে মুনি। যেখানেই মাছ মারার কথা শোনতেন তিনি সেখানেই চলে যেতেন। বাবার মুখেই শুনেছিলাম আমাদের গ্রামের তিনজন মানুষ এক বজ্রপাতেই মারা গিয়েছিল সেটাও ছিল কোন এক নদীতে মাছ মারতে যাওয়ার ঘটনা। আমার যতদূর মনে পড়ে, এটাই বুঝি নদীর সাথে পরিচিত হওয়ার প্রথম সূত্র। আবার যখন দ্বিতীয় কি তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ি তখন কবিতা পড়তাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের- আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে। যাক সে সব কথা। নদীর কথা শুনেছি এটাই…
Tag: নদীপথ
নরসুন্দার নাব্যতা ফিরে পাওয়ার এখনই সময়
আমার ছেলেবেলার দেখা নরসুন্দা এখন আর দেখি না। এখন যা দেখি একে নদী বলা যায় না। আমার দেখা ৬০-৭০ দশকের নরসুন্দার অস্বিস্থ এখন বিলুপ্ত প্রায়। অথচ এখনও আমরা ওই নদী নিয়ে স্বপ্ন দেখি। কেন দেখি তার উত্তর আমারও জানা নেই। জীবন জীবনের উৎস খুঁজে, সে তার শৈশব, কৈশর আর যৌবনের জয়গান করতে ভালোবাসে। সেই স্বার্ণালি জীবনটারে মানুষ আবার ফিরে পেতে চায়। তাই তো মানুষ বারবার অতীতের কাছে ফিরে যায়। আমারও অতীত ছিলো, ছিলো কৈশর ও যৌবনের উচ্ছ্বাস। আমি নরসুন্দা পাড়ের মানুষ তাই আমার কৈশর আর যৌবনের সঙ্গে মিশে আছে খরস্রােতা…
নদীকে ঘিরেই জমে উঠেছিল ব্রিটিশ ভারতের প্রথম রাজধানীর কাজ-কারবার
।। কুন্তক চট্টোপাধ্যায় ।। গঙ্গায় মালবাহী নৌকার ভিড় সামলাতে আর ডাকাতি রুখতে তৈরি হয়েছিল রিভার ট্র্যাফিক পুলিশ। লোকমুখে তাঁরাই জলপুলিশ। বালি থেকে বজবজ, রক্ষা করেন নদীকে। আশিতে আসিও না’ সিনেমায় ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত সংলাপ ছিল, ‘‘আমি এখন জলপুলিশের আন্ডারে।’’ কলকাতা, গঙ্গা আর নদীপথে সুদীর্ঘ বাণিজ্যের ইতিহাসের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি জড়িয়ে রয়েছে এই জলপুলিশ। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, জোব চার্নক কলকাতায় ঘাঁটি গাড়বার পর থেকেই নদীপথে বাণিজ্যের ঢল নামে। এই নদীকে ঘিরেই জমে উঠেছিল ব্রিটিশ ভারতের প্রথম রাজধানীর কাজ-কারবার। এখন যেখানে বাবুঘাট, মিলেনিয়াম পার্ক, সেই পুরো জায়গাটা জুড়েই এক সময় ছিল কলকাতা…
তিব্বতে বিশাল ধসে আটকে গেল ব্রহ্মপুত্র
ভারত : তিব্বতে নদী পথ জুড়ে বিশাল পাহাড়ি ধস। আর তার জেরেই আচমকা হড়পা বানে ভেসে যেতে পারে অরুণাচল প্রদেশের একটি বিস্তীর্ণ এলাকা। চিনের সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের কাছ থেকে এই ধসের খবর পাওয়ার পরই সতর্কতা জারি করল অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব সিয়াং জেলা প্রশাসন। সূত্রে খবর, অরুণাচল প্রদেশের আপার সিয়াং এবং পূর্ব সিয়াং জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত সিয়াং নদীর জলস্তর গত কয়েক দিনে দু’মিটারেরও বেশি কমে গিয়েছে। আপার সিয়াং-এর জেলাশাসক ডুলি কামডুক বলেন, ‘‘টুটিং-এর কাছে জলস্তর ২ মিটারের বেশি নেমে যায়। তখনই আমরা সন্দেহ করেছিলাম, নদীর উজান পথে কোথাও বাধার সৃষ্টি…