গঙ্গা নদীর জন্য অনশন শুরু করেছিলেন অধ্যাপক গুরুদাস আগরওয়াল যিনি জ্ঞান স্বরুপ সানন্দ নামেও পরিচিত। তাঁর দেখানো পথে গঙ্গা নদীর অবিরলতা ও নির্মলতার দাবীতে গত বছরের চব্বিশে অক্টোবর থেকে হরিদ্বারের মাতৃসদনে অনশন শুরু করেছিলেন ছাব্বিশ বছরের তরুণ। মূলত গঙ্গা নদীর গতিপথ রোধ করে বাঁধ নির্মাণ, অবৈধ পাথর খাদান বন্ধ ও পরিচ্ছন্নতার দাবী ইত্যাদি ছিল অনশনের কারণ।একশো চুরানব্বই দিনের মাথায় সেই অনশন তুলে নিলেন আত্মবোধানন্দ । কিন্ত কেন? কারণ এর আগে একটি নির্দেশ দেওয়ার পর আবার ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গার ডিরেক্টর জেনারেল রাজীব রঞ্জন মিশ্র লিখিত ভাবে জানিয়েছেন যে গঙ্গার…
Tag: নদী ও পরিবেশ
এই জয় নদীর পক্ষে লড়াইয়ের জয়
খবরটা এল বিকেল আর সন্ধ্যের মাঝামাঝি সময়ে। সকাল থেকে কর্মব্যস্ততার মাঝে যে সময়ে নতুন খবরেরা আসে ঠিক সেই সময়। আত্মবোধানন্দের অনশনের সংকল্প বৃথা যায়নি। বৃথা যায়নি অধ্যাপক গুরুদাস আগরওয়াল তথা স্বামী সানন্দজির আত্মবলিদানও (নাকি পরিকল্পিত হত্যা?)। সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে নদী ও পরিবেশ কর্মীরা আত্মবোধানন্দের অনশনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মনে রাখতে হবে এই সময়টাই সেই সময় যখন বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে নদী পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। হরিদ্বার মাতৃসদনের সন্যাসীদের যে সংকল্প শুরু হয়েছে এই জয় সেই সংকল্পের। কি সেই জয়? ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গার ডিরেক্টর জেনারেল চিঠি দিয়ে আজ হরিদ্বারের জেলাশাসকে গঙ্গার প্রবাহপথে,…
নদী ও পরিবেশ দূষণে প্রধান দূষক প্লাস্টিক
একথা আজ সবাই জানে ও মানে যে প্লাস্টিক সভ্যতার বিনাশকারী। বিশেষত নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের বিষয়টিতে সবাই ওয়াকিবহাল। আগে যেমন চল্লিশ মাইক্রনের কম পুরু ক্যারিব্যাগে নিষেধাজ্ঞা ছিল। বর্তমানে তা পঞ্চাশ মাইক্রনের বিষয়ে জারি আছে।কিন্ত শুধু তো ক্যারিব্যাগ নয়, বিভিন্ন প্লাস্টিক পানীয় বোতল, প্লাস্টিক প্যাকেজিং- এসব? এসব কি দূষণ ছড়ায় না? আবার প্লাস্টিকের উপজাত পদার্থ, থার্মোকল ইত্যাদি থেকেও তো দূষণ ছড়ায়। কেন উঠে আসছে সেকথা? নববর্ষের সকালে দধীচি ও প্রত্যুষ আয়োজিত বর্ষবরণ আড্ডায় যাওয়ার আগে নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা গেল এইসবেই ভরে আছে নদীবক্ষ।আর সরাসরি যা নদীর জলে গিয়ে মিশছে। নববর্ষের এই…
কলকাতা প্রেস ক্লাবে আলোচনা: নদী ও পরিবেশকে অগ্রাধিকার দিক রাজনৈতিক দলগুলো
কলকাতা: রাজ্যের বিশিষ্ট নদী ও পরিবেশ কর্মীদের উপস্থিতিতে কলকাতা প্রেস ক্লাবে ‘ ভোট ও পরিবেশ’ নিয়ে আলোচনা হল শনিবার দুপুরে। উদ্যোক্তা ছিল রাজ্যের পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলির যৌথ সংগঠন সবুজ মঞ্চ। আর তাতেই অংশ নিয়েছিল সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। আলোচনা আয়োজনের পিছনে মৃল ভাবনা ছিল নির্বাচনী ইস্তেহার। কোন্ রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে কতটা নদী ও পরিবেশকে প্রাধান্য দিয়েছে তাই ছিল আলোচনার কেন্দ্রে। উদ্যোক্তা সবুজ মঞ্চের সম্পাদক নব দত্ত, শশাঙ্ক দেব শুরুতে আলোচনার মুখবন্ধ করে দেন। নদী ও পরিবেশের ইস্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষে বক্তব্য রাখেন তৃণমূল কংগ্রেসের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির অম্বুজ মোহান্তি,…
নদী ও পরিবেশ নিয়ে সামগ্রিক ভাবনা কোন রাজনৈতিক দলেরই নেই!
দক্ষিণ দিনাজপুর, কলকাতা [ভারত] থেকে>> ভোট দুয়ারে কড়া নাড়ছে। ভারতবর্ষের সমস্ত রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করছে। যার দিকে গভীর আগ্রহে তাকিয়ে ছিলো দেশের নদী ও পরিবেশ কর্মীরা। এবার আশা করা গিয়েছিলো যেভাবে নদী ও পরিবেশ রক্ষার দাবীতে হাজারো মানুষ, মৎস্যজীবী পথে নেমেছে, গণ কনভেনশন হয়েছে, বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে নদী ও পরিবেশ নিয়ে লাগাতার বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছেন, লোকসভা ভোটে রাজনৈতিক দলগুলো এই বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখবে। কেননা নদী ও পরিবেশ সরাসরি আমাদের জীবন- জীবিকার সাথে যুক্ত। অথচ তা নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য নেই। ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়কে চরম উপেক্ষাই করেছে…
মহানন্দা মহা আনন্দে একদমই নেই : মহানন্দা এখন নিরানন্দা
সম্প্রতি সংগ্রিলা দার্জিলিং আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসবে অংশ নিতে শিলিগুড়িতে গিয়েছিলেন তুহিন শুভ্র মন্ডল । সেখানে চার দেশের বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে উঠে এল নদীর প্রসঙ্গ। চব্বিশ বছর ধরে শিলিগুড়ির প্রধান নদী মহানন্দা দেখছেন তিনি। ফিরে এসে রিভার বাংলা’র পাঠকদের জন্য মহানন্দার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে লিখলেন – আজ প্রায় পঁচিশ বছর ধরে মহানন্দা নদীকে দেখছি ।বলা যায় একেবারে কাছ থেকে দেখছি। ভূগোল ও ফলিত ভূগোলের ছাত্র হওয়ায় প্রথমে মূলত: ভৌগলিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতাম। পরে পরিবেশ বিজ্ঞান আমার বিষয় হিসাবে যুক্ত হওয়ায় নদীকে পরিবেশ কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে দেখতেও শুরু করেছি। চিরকালই বিশ্বাস করেছি…
পরিবেশ বা নদী যদি সুরক্ষিত না থাকে তো কিসের ভোট? প্রশ্ন তুলছেন নতুন ভোটাররা
বর্তমান পৃথিবীতে পরিবেশ একটি প্রধান ইস্যু। প্রকৃতি ও সমাজ মিলেই তৈরি হয় পরিবেশ। আর পরিবেশের অন্যতম অঙ্গ নদী । সেই নদীই যদি না থাকে তাহলে কিসের ভোট? এই দাবী তুলছে তনুশ্রী, অমৃতা, সহেলী ,সৈকত,প্রান্তিক, চন্দ্রিকারা।এরা প্রত্যেকেই এবার প্রথম ভোট দেবে।এরা নতুন ভোটার।এবার প্রথম ভোট দেবে ঋতব্রত, অর্করাও। নদী আমাদের জীবন। কিন্ত সেই জীবন এখন আক্রান্ত। তাই আমাদের বেঁচেও থাকাও সঙ্কটে। বেঁচে থাকাই যদি প্রশ্নের মধ্যে পড়ে তাহলে ভোট করে কি হবে? কোথায় হবে ভোট? তাই যারা ভোটে দাঁড়িয়েছেন তারা এগুলো কে প্রচারে আনুক।দায়িত্ব নিক। এটাই বলছে তারা। কি বলছে তারা?…