আনন্দাশ্রু ফুলেশ্বরী

ফুলেশ্বরী

নব্বইয়ের দশকের শুরুতে প্রাইমারি শেষ করে সবে হাইস্কুলের চৌকাঠে পা রাখছি। বন্ধুদের সাথে সকাল বিকাল নদীতে ডুবসাঁতার মলাই খেলা আর স্কুলে যাওয়া আসা। খেলাধুলা মন ও মগজ অষ্টপ্রহর। স্কুলের তোতাপাখির মুখস্ত বিদ্যা ছাড়া মেধা ও মনন বিকাশের বয়স হয়নি। খেলাধুলার ফাঁকে গ্রামে যেসব সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড হতো তা হলো পালাগান, মহরমের জারি, ছায়াবানি দস্তর আলীর প্রেমকাহিনীর পুঁথিপাঠের আসর, বাউল সন্ধ্যা এইসব। রহিম বাদশা ও রূপবানের পালাগান ও ঝুমুর যাত্রানাট্যে মাঝিদের গান ও অভিনয় আজো মনে দাগ কাটে। এসবের বাহিরে আপডেট সাংস্কৃতিক মাধ্যম ছিলো বিটিভিতে মাসে একটি বাংলা সিনেমা ও ভাড়ায় চালিত…

আফজল হোসেন আজম এর কবিতা “নদীকথা”

পূবেতে বন্দনা করি জগৎ বন্ধু ভানুশ্বর নিধিরবি উঠে তুমি বিশ্ব করো যে পসর। পশ্চিমে বন্দনা করি মক্কা ও মদিনায় দয়াল নবী শুয়ে আছে নয় কারো যে অজানা। দক্ষিনে বন্দনা করি বঙ্গোপ সাগর যে সাগরে বাইয়া খাইতো চান্দু সওদাগর। উত্তরে বন্দনা করি হিমালয় পর্বত যেথায় ঋষি মনি ঠাঁকুর সদায় থাকতো ব্রত। এইবারে নদ- নদীর কথা যাবো তোলে তারা সবি মানবস্বত্তা এ ভূ- মন্ডলে। সৃষ্টিকর্তার অপার লীলা নদ ও নদী বসুন্ধরা রুগ্ন হবে তাদের হারাই যদি। হিমালয়ের হিমবাহে আসিলো মা গংঙ্গা মায়েরকোলে শুয়ে আমরা আজ চতুরঙ্গা। পদ্মভূষণ করলো মোদের কণ্যা তারি যমুনা…

একটি নদী ও নারীর আত্মাহুতি :  আফজল হোসেন আজম

।। রিভার বাংলা ডট কম ।। আমার স্বচক্ষে দেখা ও বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যমতে প্রাচীনকালে নরসুন্দা নদ থেকে সৃষ্ঠ ফুলেশ্বরী একটি খরস্রোতা বৃহৎ নদী ছিল। কিশোরগঞ্জ সদরের নীলগঞ্জ হতে এটি নরসুন্দার শাখা নদী হিসেবে তাড়াইলের তালজাংগা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম হয়ে রাউতি ইউনিয়নে আসে।রাউতির কুরপাড় হয়ে চেংগুরিয়া, কৌলি, হরিগাতী, কারংকা,বানাইল,দাউদপুর, নওগাঁ হয়ে কেন্দুয়া উপজেলার গগডার পাশ দিয়ে সেকান্দরনগর গ্রাম বেধ করে বোরগাঁও দিয়ে তারাইলের সূতী নদীর সাথে মিলিত হয়।যা এখন পথে পথে বাকরুদ্ধ মৃতপ্রায়। বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলাকবি ও বাংলা মঙ্গল কাব্যের প্রথম সংকলক( আত্মীয়সূত্রে প্রাপ্ত কবি নারায়ন দেবের) চন্দ্রাবতীর…