কালনির স্নিগ্ধতায় আমার ছেলেবেলা ।। আলম মাহবুব

কালনির

কালনি! এই কালনি নামের সাথে মিশে আছে হাজার বছরের ইতিকথা। আমি বলছিলাম কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর বেষ্টিত অষ্টগ্রামের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনার শাখা কালনি নদীর কথা। আবহমান গ্রামবাংলার নদীর আত্মপ্রকাশে চিরচেনা এই ভাটির জনপদের কালনি নদীর তীরেই গড়ে উঠেছে বহু জনপদ, আছে অনেক রত্নগল্প। যা আজ কিছুটা তুলে ধরতে চেষ্টা করছি। কিশোরগঞ্জের সীমান্ত ঘেঁষে থাকা এই নদীটি কোন একসময় খরস্রোতা নব যৌবনায় ভরপুর ছিলো। বিস্তীর্ণ হাওরের বুকের প্রশস্ত সবুজে কৃষকের ক্লান্তি, হতাশার একমাত্র অবলম্বন এই কালনি। যার উৎপত্তি কিশোরগঞ্জ জেলা ও বি- বাড়িয়া জেলার সীমান্ত নির্ধারণকারী মেঘনার শেষ ভাগ হতে…

বরাকের স্মৃতির ঊর্মি : মো. আজাদ বারী শিপু 

বরাকের স্মৃতির ঊর্মি ।। মো. আজাদ বারী শিপু ।। তব যৌবনের সেই ঊর্মি জাগায় স্মৃতি হৃদয়ে সতত তব ভ্রমি। তব জলধারা পাহার হতে করতো আগমন, তব শীতল জলে কিশোরমনে পেতাম দরশন। আজ তুমি মৃত্যু মুখে।। হে স্নেহময়ী বরাক! তব উপর শোষণে মুই নির্বাক ভূ’তে আমি যে দুর্বল একজন যদি সাথে থাকিতো কতজন, বাঁচাতাম তোমায়। ওরা আপনা স্বার্থপর খাবে গাছ, ডাল, পল্লব রাখবে না তো জর, চলছে তব উপর জুলুম অত্যাচার কতক ভ্রান্তি, কবিতা লিখে দিতে পারবো কি শান্তি? শান্তি নাইবা পাও, লিখবো কবিতা তব অধিকার মূলে, ভাসিয়ে দিবো কচি হস্তে…

কবিতা : শাখা বরাকের আর্তনাদ- মো. আজাদ বারী শিপু

কুশিয়ারায় জন্ম নিয়ে ছিলাম আমি সুখে, ভরা যৌবন জোয়ার ছিল আমার দেহে। বুকে ছিল হাজার প্রজাতির মাছের আনাগোনা, মাছ ধরিয়া উদরপূর্তি করতো মানুষজনা। জল ছিল মোর কানায় কানায় ডেউ ছিল মোর বুকে, মোর জলে শ্বস্য ফলায়ে পারের মানুষ থাকতো মহা সুখে। উজান থেকে ভাটির দিকে অবাধ ছিল যাওয়া আসা,  স্বাধীন যাত্রায় বাধ সাজিলো কিছু মানুষ নামের সর্বনাশা। বুকে আমার বাঁধ বাঁধিল করলো দালান ঘর, যৌবন জুয়ার থামিয়ে দিল মানব নামের লোভী স্বার্থপর। বাঁচাও আমায় ওহে মানব বাঁচতে বড় স্বাদ, ভেঙ্গে ফেলো দালানকোঠা তুলে ফেলো বাঁধ। তবেই হারানো যৌবন আসবে আবার…