জলঢাকা নদীর গল্পে মিশে আছে গাঠিয়া নদীও

একটা নদী, যে নদী আকাশকে দু’হাত বাড়িয়ে নিজের দিকে আমন্ত্রণ জানায়। একটা নদী, যে নদী জলের সঙ্গেই তার বুকে স্থান দেয় নুড়ি আর ছোট-বড় পাথরকে। একটা নদী, যে নদী অনন্ত শব্দের সঙ্গে বেঁধেছে ঘর একটা নদী, হয়ে নদী নবে রাখে না কে আপন আর কেই বা পর হ্যাঁ, সবাইকেই তার বুকে স্থান দেয় জলঢাকা। যারাই তার বুকে অনন্ত শব্দ ব্রহ্মের সঙ্গে স্থান পেতে চায়। জলঢাকা নদীকে প্রথম দেখি বড় বেলায় কোচবিহারে যাওয়ার পথে ময়নাগুড়ি আর ধুপগুড়ির মাঝে। তারও আগে ছোটবেলায় ভূগোল বইতে জলঢাকায় গড়ে ওঠা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে জলঢাকার নাম…

হালদা নদীকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা: যৌক্তিকতা ও বিশ্লেষণ

বঙ্গবন্ধু

ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া ।। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ- কথাটি কেবল আক্ষরিক অর্থেই নয়, সামগ্রিক অর্থেই সত্য। বাংলাদেশের মানচিত্র নদীর কল্যাণেই সৃষ্ট। ঐতিহাসিক কাল থেকেই বাংলা ভূখণ্ডের মাটি ও মানুষের সঙ্গে নদ-নদী ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত। সবুজ শ্যামল সৌন্দর্যের চাবিকাঠির একমাত্র বাহক ও নিয়ন্ত্রক। বাংলাদেশে সভ্যতার ক্রমবিকাশ, যোগাযোগ- অর্থনীতির মূল ভিত্তি রচিত হয়েছে নদীকে কেন্দ্র করে তেমনি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেরও মূল ভিত্তি নদী নির্ভর। সাহিত্য, গান, নাটক, চলচ্চিত্রে নানাভাবে উঠে এসেছে নদীর প্রসঙ্গ। অথচ আমরা নদীকে নিয়ে কতটুকু ভাবি বা জানি। যে দেশ নদীর কল্যাণে গড়ে উঠেছে সেদেশেই নদী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত…

“নদী দিয়ে আগামীদিনে সমস্ত স্তরের মানুষকে জাগাতে চাই”

নদীকৰ্মী তুহিন মন্ডল এর সাথে ফয়সাল আহমেদ

তুহিন শুভ্র মন্ডল পেশায় একজন শিক্ষক। ২০০৪ সাল থেকে তিনি নদী ও পরিবেশ রক্ষার কাজে যুক্ত আছেন। নদী ও পরিবেশ বিষয়ে দেশ বিদেশের বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স-এ অংশগ্রহণ করেছেন। ২০১০-১১ সালে নদী ও পরিবেশ রক্ষায় পেয়েছেন আনন্দলোক (আনন্দ বাজার) সেলাম বেঙ্গল পুরস্কার। ২০১৫ সালে পেয়েছেন পথিক সম্মান। আত্রেয়ী বাঁচাও আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ২০১৬ সালে পেয়েছেন কলকাতার ঋক শীর্ষ সম্মান। ২০১৭ সালে নদী ও পরিবেশ রক্ষায় পেয়েছেন বেস্ট এচিভারস অ্যাওয়ার্ড। সম্প্রতি তিনি কুয়াকাটায় অনুষ্ঠিত চতুর্থ আন্তর্জাতিক জল সম্মেলনে অংশ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশে আসেন। এসময় তার সাথে কথা বলেন রিভার বাংলা সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ। আমরা জানতে পেরেছি…

নদী কথা ০১: হালদা নদী

হালদা নদী

হালদা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি নদী। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাটনাতলী পাহাড় হতে উৎপন্ন হয়ে এটি ফটিকছড়ির মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম জেলায় প্রবেশ করেছে। এটি এর পর দক্ষিণ-পশ্চিমে ও পরে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে ফটিকছড়ির বিবিরহাট, নাজিরহাট, সাত্তারঘাট, ও অন্যান্য অংশ, হাটহাজারী, রাউজান এবং চট্টগ্রাম শহরের কোতোয়ালী থানার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এটি কালুরঘাটের নিকটে কর্ণফুলী নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। এর মোট দৈর্ঘ্য ৮১ কিলোমিটার, যার মধ্যে ২৯ কিলোমিটার অংশ সারা বছর বড় নৌকা চলাচলের উপযোগী থাকে। নামকরণ: হালদা খালের উৎপত্তি স্থল মানিকছড়ি উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নের পাহাড়ী গ্রাম সালদা। সালদার পাহাড়ী র্ঝণা থেকে নেমে আসা ছড়া…

নদীভাঙন কী বন্ধ করা যায় না?

।। রিভার বাংলা ডট কম ।। জাহিদ রহমান >> ২০১৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর দৈনিক ডেইলি স্টারে নদীভাঙন সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট ছাপা হয়েছিল। যেখানে তৎকালীন পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছিলেন, নদীভাঙনের কারণে প্রতিবছর প্রায় ৫০,০০০ মানুষ গৃহহীন হয় যা কিনা দেশের মোট গৃহহীন মানুষের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। ইন্সটিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেছিলেন। সেখানে তিনি আরও বলেছিলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণে সরকার অস্থায়ী বাধের পরিবর্তে স্থায়ী কোনো স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা করছে কারণ অস্থায়ী বাঁধ পানির উচ্চতা ও পরিমাণ বাড়ার সাথে সাথে প্রতি বছরই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। একই সেমিনারে…