হামিদ কায়সার এর গল্প- ডুব

ডুব

‘কী রে জয়নাল, হইল?’ জয়নাল বলে, ‘হয় নাই।’ আটটা থেকে নয়টার এই সময়ে লোকে লোকে নাও ভইরা গেলেও হয় না জয়নালের, আয়নালেরও হয় না। লোক আরও চাই। আরও আরও লোক। লোকের ভেতরে লোক। লোকের উপরে লোক। যতভাবে ঠাসা যায়। লোকেরও যেন এসবে বিকার নাই। নয়টা সাড়ে নয়টার মধ্যে পৌঁছাতেই হবে টাউনে। কেউ খুলবে দোকান, কেউ করবে অফিস। ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি স্কুল-কলেজের পোলাপানও কিছু আসে। আর থাকে কিছু আলগা মানুষ। যাদের কোনো কাম-কাজ নাই। খাইব ফিরব ঘুরব। এ অফিসে সে বাসায় ঢুঁ মারব। তবে, এ সময়ে যারা আসে তাদের কারোরই হুঁশজ্ঞান থাকে…

নদী ও পরিবেশের জন্য আশির্বাদ হয়ে এসেছে করোনা ভাইরাস ।। নদীপুত্র সুমন শামস

করোনা

করোনাকালে অঘোষিত লকডাউনে দীর্ঘদিন নদীতে লঞ্চ-স্টিমার চলাচল বন্ধ থাকার কারণে বুড়িগঙ্গা নদীসহ দেশের প্রায় সকল নদ-নদীর পানির গুণগত মান বেড়েছে। পণ্যবাহী জাহাজ ছাড়া দীর্ঘ দুইমাস নদীতে চলেনি যাত্রীবাহী কোন ধরণের লঞ্চ-স্টিমার। ইঞ্জিনের ভট ভট বা ভোঁ ভোঁ শব্দ ছিলো না। একই সময়ে নদীর তীরের কলকারখানাও বন্ধ ছিল। পানিতে মিশতে পারেনি কল-কারখানার দূষিত বর্জ্য। তাই শান্ত নদীর বুকে এখন শুধু মৃদু ঢেউয়ের কলকল ধ্বনি। ঢাকার প্রধান নদী বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা নদীর পানি এখন আগের চেয়ে অনেক বেশী স্বচ্ছ। এই রকম পরিস্কার পানির বুড়িগঙ্গা নদী বাঁচাতে কলকারখানার বর্জ্য শোধনাগার পরিবেশসম্মত করতে…

এই সময়ের বুড়িগঙ্গা: বাড়ছে পানি, বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রশস্ততা

প্রশস্ততা

মো.ইউসুফ আলী>> বুড়িগঙ্গা একটি নদী। একটি জীবন্ত ইতিহাস। একটি দেশের রাজধানী রক্ষার মূল নৌ-পথ। এ নদীটি এখন মৃতপ্রায়। কিন্তু এখন গ্রীস্মের মাঝামাঝি সময়েই পাল্টে যেতে শুরু করেছে বুড়িগঙ্গা। রূপ আর রংয়ে বদলে যায় নদীটি। বদলে যায় বুড়িগঙ্গার পানি। তাইতো দেশের আর সব নদীর মতই বুড়িগঙ্গার পানির রং এখন ফিরে পেয়েছে স্বচ্ছতা। আস্তে আস্তে কমতে শুরু করেছে পচা পানির দুর্গন্ধ। দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা চলমান থাকায় স্বাভাবিকতার চেয়ে অতিমাত্রায় বেড়েছে বুড়িগঙ্গার পানি। সাথে সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে নদীর প্রশস্ততাও। অর্থাৎ প্রাণ ফিরেছে বুড়িগঙ্গায়। নদীর পানি বৃদ্ধিপেয়ে এটাকে এখন ঠিক নদীর মতই মনে…