ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের দুই নদী ও পরিবেশ কর্মী। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য নদী বাঁচাও কমিটির উদ্যোক্তা পরিবেশবাদী সংগঠনের সম্পাদক নব দত্ত জানান- এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক ও দুঃখজনক ঘটনা।বাংলাদেশে লঞ্চ গুলি গুরুত্বপূর্ণ পরিবহনের মাধ্যম। সেখানে এত প্রাণহানি শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল।খোঁজ নেওয়া দরকার কেন এটা হল? দুই বাংলাই নদীমাতৃক।যাত্রী সুরক্ষা ও নদীর দিকে নজর দিতে হবে আরও বেশি করে। এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য নদী বাঁচাও কমিটির অন্যতম আহবায়ক তুহিন শুভ্র মন্ডল জানান – …
Tag: রাজ্য নদী বাঁচাও কমিটি
শিলিগুড়ির দুঃখ ফুলেশ্বরী-জোড়াপানি নদী : তুহিন শুভ্র মন্ডল
ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে>> ফুলেশ্বরী নদী প্রবাহিত হয়েছে শিলিগুড়ির মধ্য দিয়ে, যাকে বলে একেবারে বুকের ভেতর দিয়ে। আরেকটি নদী আছে, এর নাম জোড়াপানি। যদি বলা হয় এই দুটি নদী শিলিগুড়ির জীবনরেখা। অত্যুক্তি হয় না বোধহয়। এই লকডাউনের সময়তেও কি অবস্থা নদীগুলির? নালায় পরিণত হয়েছে। ঘন কালো জল। আবর্জনায় পরিপূর্ণ। ফুলেশ্বরী বাজারের কাছে, সূর্যসেন কলোনীতে যদি এই নদীগুলিকে দেখা যায় তাহলে বোঝা যায় এই নদীর বর্তমান অবস্থা কি? আক্ষরিক অর্থেই নদীটি ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে।নদীর বুকে গাছের জঙ্গল।ইউট্রোফিকেশন কোথাও কোথাও সাকসেশনও হয়ে গিয়েছে। সংস্কারের অভাবে দীর্ণ এই নদী। খোঁজ নিয়ে দেখা গেল…
জলপাইগুড়ির টেমস ‘করলা’ নদীর চিকিৎসা জরুরী
প্রিয় করলা, হ্যাঁ প্রিয়ই বললাম সমস্ত জলপাইগুড়িবাসী আর নদী সন্তানদের পক্ষ থেকে। কেননা কথা বলে বুঝেছি অসংখ্য মানুষ তোমায় ভালবেসে বুকে ধারণ করেছে। তাই তোমার যন্ত্রনায় তারা যন্ত্রনাক্লিষ্ট। তোমার দুর্দশা দেখে কষ্ট হয় তাদের। তাই তাদের হয়ে এই লেখা। জলপাইগুড়ির ‘জীবন রেখা’ করলা। এই নদী কথা ও কথকতার মেলবন্ধন, সৃজনের অবিসংবাদি উপজীব্য। শুধু কি তাই! পরিবহন এবং জলপাইগুড়ির অর্থনীতির সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সংযুক্ত। অথচ সেই নদী আজ মৃতপ্রায়। ধুঁকছে….. করলার উৎসমুখে যেমন জল স্পর্শহীনা, তেমনই শহরের অংশেও দীর্ণ। বর্ষার সময় ছাড়া জলপাইগুড়িবাসীর এই প্রিয় নদীর কী হাল হয় তা…
জীবন- জীবিকার জন্য ইছামতি নদীর সংস্কার জরুরী
পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ মিলে ইছামতির সংখ্যা চারের অধিক। সেই সব ইছামতি নিয়ে বিস্তারিত আখ্যান একদিন শোনাবো।আপাতত বলছি, দক্ষিণ দিনাজপুরের ইছামতি নিয়ে। পতিরাম, গোবিন্দপুর, পিরোজপুর, অমৃতপুর, মোমিনপুরসহ কুমারগঞ্জের ব্লকের বাসিন্দাদের জীবন-জীবিকার জন্য চাইছি আন্ত: সীমান্ত নদী ইছামতির সংস্কার। ইতিমধ্যেই ইছামতি নদীর সংস্কারের বিষয়ে দেখা করেছি কুমারগঞ্জ ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দেবদত্ত চক্রবর্তীর সাথে। যোগাযোগ করছি জেলা প্রশাসনের সঙ্গেও। ইছামতি নদী সংস্কারের দাবীতে স্থানীয় নদী- পরিবেশ কর্মী জুলিয়াস হাসান চৌধুরী বলেন ইছামতিকে ঘিরে প্রচুর মানুষ জীবিকা নির্বাহ করতো।মৎস্যজীবী ও কৃষিজীবীরা নির্ভর করতো এই নদীর উপর।এই নদীর সংস্কার চাই। নদী পাড়ের বাসিন্দা কৃষক…
নদী রক্ষায় কি ভাবছেন শিলিগুড়ির মেয়র?
শিলিগুড়ির ভৌগলিক অবস্থানের গুরুত্ব কোনওভাবেই অস্বীকার করা যায় না। তাই অবধারিত ভাবেই তার নামের সাথে উত্তরবঙ্গের প্রধান শহর তকমা চলেই আসে। আমরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নদী বাঁচাও কমিটির পক্ষ থেকে আমরা তাই উত্তরবঙ্গের প্রথম নদী ও জলাভূমি বাঁচাও কনভেনশনের জন্য বেছে নিয়েছিলাম শিলিগুড়িকে। সেই শিলিগুড়ি যা আমার যৌবন- নদীর শহর। মহানন্দা বিধৌত শিলিগুড়িই ছিল আমাদের নদী ভাবনায় সম্মিলিত উদ্যোগের স্থান। রাজ্য নদী বাঁচাও কমিটির উদ্যোগে এবং শিলিগুড়ি পরিবেশ বাঁচাও মঞ্চ ও সবুজ মঞ্চের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ সভাকক্ষে উপস্থিত হয়েছিল উত্তরবঙ্গের বিশিষ্ট নদী ও পরিবেশ কর্মীরা। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের যে চারটি…
পশ্চিমবঙ্গের নদী বাঁচাও আন্দোলনে ইতিহাস সৃষ্টি হতে চলেছে
কেমন আছো নদী- এই শিরোনামকে সামনে রেখে এবার সমগ্র পশ্চিমবঙ্গেই নদীকর্মীরা কেন্দ্রীয় ভাবে জড়ো হচ্ছে কলকাতায় ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে।তার আগে কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটা প্রেস কনফারেন্স এবং কলকাতা বইমেলাতেও এই সম্পর্কিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হলো। গতকাল শুক্রবার [৪ জানুয়রি] সবুজ মঞ্চের কলকাতা অফিসে রাজ্য নদী বাঁচাও কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের নদী ও সমাজ কর্মীরা উপস্থিত হয়েছিলেন কলকাতায়। প্রায় চার ঘন্টার ম্যারাথন মিটিং চলে। সেখানে উঠে আসে নদী কমিশন গঠন, ড্যামের পর্যালোচনা, নো মোর ড্যাম নীতি গ্রহন করা, নদীতে যে কোন দখল মুক্ত করা,…
রাজ্য নদী বাঁচাও কমিটি গঠিত হল পশ্চিমবঙ্গে
নদীকে রক্ষা করবার চেতনা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে কিছু নিবেদিতপ্রাণ নদীকর্মী। এবার তাঁরা মিলে সবুজ মঞ্চের উদ্যোগে কলকাতায় গঠন করলেন “রাজ্য নদী বাঁচাও কমিটি”। গঙ্গা, আত্রেয়ী, মাথাভাঙা, ইছামতী, চূর্ণী, মহানন্দা, তিস্তা, তোর্সা, কালজানি, সরস্বতী ইত্যাদি নদীর ভয়াবহ পরিস্থিতি তুলে ধরতে চন্দননগরে কমিটি গঠিত হয় গেল শনিবারে। পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ বিশ্বজিত মুখার্জি, সবুজ মঞ্চের সম্পাদক নব দত্ত, পরিবেশ চিন্তক জয়ন্ত বসু, তাপস ঘটক, বিবর্তন ভট্টাচার্যসহ বিভিন্ন নদী ও পরিবেশকর্মী দের নিয়ে এ কমিটি গঠিত হয়। সেদিনের সভায় সিদ্ধান্ত হয় রাজ্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীর কাছে নদীর বেহাল অবস্থা…