বড়খালের আদ্যকথা ।। সৈয়দ কামরুল হাসান

বড়খাল

কিশোরগঞ্জ শহরতলির মনিপুর মহল্লার গা ঘেঁষে যে স্রােতধারা পাটগুদাম, সিদ্ধেশ্বরী কালিবাড়ীর পাশ দিয়ে যশোদল বাজার হয়ে আরো দূর প্রান্তরে আরেক স্রােতধারায় বিলীন হয়েছে তা এখানকার মানুষের কাছে ‘বড়খাল’ নামে পরিচিত। একদা, তা প্রায় চার-পাঁচশো বছর তো হবেই; শহর থেকে সামান্য দূরবর্তী মারিয়া গাঁ-সংলগ্ন জলাভূমি উথারিয়ার বিলে এই খালটির জন্ম হয়েছিলো। এককালের সেই বড় খালের দাপট ছিলো। এই স্রােতধারা বড় বড় মহাজনী নৌকা বুকে নিয়ে গৈ-গাঁয়ের ভেতর দিয়ে, কারুর বাড়ির সদর দহলিজের সামনে দিয়ে, কারুর বা খিড়কির ছায়াময় অন্ধকার প্রান্ত ছুঁয়ে, দিগন্তবিস্তৃত ফসলের মাঠ চিরে এঁকেবেঁকে নিজের পথ করে নিয়ে নিকলীর…

সিংগুয়া নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদ, দূষণ প্রতিরোধ ও খননের দাবি রিভার বাংলার

কিশোরগঞ্জ: একসময়কার খরস্রোতা সিংগুয়া নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদ, দূষণ প্রতিরোধ ও খননের মাধ্যমে অবাধ পানি প্রবাহ নিশ্চিতের দাবিতে কিশোরগঞ্জে পরিবেশবাদী ও এলাকাবাসী কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ (২ ডিসেম্বর) বুধবার সকালে পুলেরঘাট বাজারে সিংগুয়া নদীরপাড় কিশোরগঞ্জ-ভৈরব হাইওয়ে সড়কে মানববন্ধন ও প্রতিবাদী সভার আয়োজন করে নদী বিষয়ক পত্রিকা রিভার বাংলা। এতে নদী রক্ষার দাবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে জেলার নদী বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবাদী সংগঠনের লোকজন ছাড়াও সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ অংশ নিয়ে দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। এ সময় সিংগুয়া নদী রক্ষায় সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করে স্বাগত বক্তৃতা করেন কর্মসূচির উদ্যোক্তা লেখক ও রিভার বাংলার সম্পাদক…

ব্রীজই মেরে ফেলেছে সিংগুয়া নদীকে

বাংলাদেশকে নদীমাতৃক দেশ বলা হলেও বর্তমানে দেশের অনেক নদী মৃত প্রায়। ইতিমধ্যে অনেক নদী তার নাব্যতা হারিয়েছে। প্রাকৃতিকভাবেই নদ-নদীগুলো তাদের নিজস্ব গতিতে চলে। নদীতে বাঁধ, অবৈধ দখল, মাটিভরাটসহ বিভিন্ন আবর্জনা ফেলে মানুষ নদীর গতিপথে বাঁধার সৃষ্টি করছে। অপরিকল্পিত নকশায় নদীতে নীচু করে ব্রীজ নির্মাণ করায় নদী তার নাব্যতা হারাচ্ছে, নদীর গতিপথে বাধাঁ সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে যে কোন সময় প্রাকৃতিক দূর্যোগ তৈরি হতে পারে। সিংগুয়া নদীটি পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুরের খামাবিল হতে উৎপন্ন হয়ে গচিহাটা ও নিকলী হয়ে ঘোড়াউতরায় মিলিত হয়েছে। নদীটির দৈর্ঘ্য (প্রায় ২২.৪ কি.মি) কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া , কটিয়াদী,…