নদ-নদী এদেশের সৌন্দর্যের অন্যতম এক অনুষঙ্গ। তেমনি অপার্থিব সৌন্দর্যের রাণী নেত্রকোণা জেলার সোমেশ্বরী নদী। এ নদীকে স্মরণ করতে গেলে শ্রদ্ধাবনত চিত্তে শুরুতেই স্মরণ করতে হয় টঙ্ক আন্দোলনের বিপ্লবী নেত্রী হাজং বিদ্রোহে সর্বোচ্চ শ্রদ্ধেয় স্বজন, যিনি হাজংদের কাছে আজও হাজং মাতা সেই শহীদ রাশিমনি হাজং সহ শঙ্খমণি, রেবতী, নীলমণি, পদ্মমণি ও আরো অনেক শহীদদের নাম। যারা সোমেশ্বরী নদীর ধারে টঙ্ক আন্দোলনের জন্য শহীদ হন। এ ছাড়া স্মরণ করতে হয় টঙ্ক আন্দোলনের প্রয়াত বিপ্লবী সর্বজন শ্রদ্ধেয় কমরেড মনি সিং কে। যিনি এই সোমেশ্বরীকে ভালোবেসে বড় হয়েছিলেন। এক অসাধারণ মায়াবী সুন্দরী নদী সোমেশ্বরীর…
Tag: আমার প্রিয় নদী
প্রাণের দোসর কালীগঙ্গা ।। সন্তোষ কুমার শীল
জীবনের দৈনন্দিনতাটুকু আড়াল হলেই কল্পনায় শুনতে পাই দশদিক কাঁপিয়ে স্টীমারের ভোঁ বেজে উঠছে। অসংখ্য যাত্রীর ওঠানামায় কলমুখর হয়ে উঠেছে কালীগঙ্গার তীর। দারুণ নস্টালজিয়া ভর করে। ছুটে যাই নদীর তীরে। দেখি বিশ্বকবি একটা চেয়ার টেনে জানালার ধারে বসে আনমনে লিখে চলছেন। দখিনা বাতাসে তাঁর আলখেল্লা উড়ছে, শুভ্র দাড়ি-চুল বিপর্যস্ত। কোনদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই তাঁর, ধ্যান-মৌন ঋষি সৃষ্টিশীলতায় মগ্ন। তাঁকে ঘিরে রয়েছে একটা উজ্জ্বল জ্যোতি। হ্যাঁ, সেদিনের খরস্রােতা কালীগঙ্গার বুকের ওপর দিয়ে তুমুল আলোড়ন তুলে চলত কোলকাতা থেকে বরিশালগামী স্টীমার “সরোজিনী”। রবীন্দ্রনাথের মেজদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর বিলেতি কোম্পানীর সাথে পাল্লা দিয়ে এই জাহাজের ব্যবসায়…
আড়িয়াল খাঁ নদ- স্মৃতি ও বাস্তবতায় ।। হাসান মাহবুব
জীবনের অনেকটা সময় কেটেছে যে নদীর কাছে, নদীর নাম মনে এলে যে ছবিটা ভেসে ওঠে প্রথমে, সে আমার শৈশবে একদিন হাঁটতে হাঁটতে নিজ থেকে খুঁজে পাওয়া নানাবাড়ির কাছের নদীটা। অনেকটা শীত বসন্ত গ্রীষ্মে প্রকৃতি বদলেছে তার রূপ, নদীটাও সেই সাথে তাল মিলিয়ে নানাভাবে দেখিয়েছে তার যৌবনদৃপ্ত খেলা, কখনো ম্রিয়মান হয়ে নিরবে বয়ে গেছে, বুক পেতে জায়গা করে দিয়েছে অনেক স্মৃতির, জন্ম দিয়েছে নানান বাস্তব-অবাস্তব গল্পের। যে নদীর কথা বলছি সেটা ঠিক নদী নয়, নদ, আড়িয়াল খাঁ নদ। সাধারনত প্রাত্যহিক নানা প্রসঙ্গে এর কথা এলে- নদী বলেই ডাকা হয়। যাইহোক, এই…
আমাদের ছোটো নদী ।। গৌতম অধিকারী
সেই কবে রবি ঠাকুর লিখেছিলেন, আর শৈশববেলায় মন্ত্রের মতো আউড়ে গেছি আমরা, নদীস্রোতের মতোই খলবল করে উঠতে গোটা ক্লাসরুম, আমাদের ছোটো নদী চলে বাঁকে বাঁকে, বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে। পার হয়ে যায় গরু, পাড় হয় গাড়ি, দুই ধার উঁচু তার ঢালু তার পাড়ি। আমি অবশ্য জন্মেছি এমন একটি ছোট্ট নদীর পাড়ে, ততোধিক ছোট্ট গ্রামে। কিন্তু নদীর সঙ্গে সখ্য গড়ে-ওঠার মে স্বাধীনতা দরকার, তা তো ছিল না শৈশবের কালে। সেই স্বাধীনতা কিঞ্চিৎ মিলল কিশোরবেলায়। এক নদীকে পেলাম, নাম তার ছোটো ভৈরব। মুর্শিদাবাদ জেলার হরিহরপাড়া আর ডোমকল ব্লকের বিভাজন-রেখা ছোটো…
যে নদীর কাছে মনখারাপ জমা আছে- তুহিন শুভ্র মন্ডল
নদী ও পরিবেশ বন্ধু লেখকে তুহিন শুভ্র মন্ডলের জন্মদিনে রিভার বাংলার নদীমাতৃক শুভেচ্ছা সেদিনটা মনে পড়ছে প্রিয় হলং নদী যেদিন তোমাকে ছেড়ে এসেছিলাম। ভেবেছিলাম আর যদি না আসা হয় কোনওদিনও। আর যদি না হয় দেখা! আর একটু ভাল করে দেখে নিই তোমাকে। প্রতিদিনের তোমাকে। মন খারাপের সব গল্প জমা রেখে এসেছিলাম তোমার কাছে। কেন রাখবোনা বলো? ছোটবেলা থেকে না দেখলেও, তোমার সাথে না মিশলেও অনুভবে মিশে গিয়েছিলে তুমি। পাঁচবছরেই হলং তুমি যেন পঞ্চাশের দীর্ঘ চিঠি দিয়েছিলে মনের ঠিকানায়। তাইতো তোমার গায়ে খেলা করা রোদের সংসার এই দেখো আজ পনের বছর…