অতিমারির দাপটে ধরিত্রীর এই শুদ্ধিকরণ অধ্যায়ে কথাসাহিত্যিক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ এর ‘কাঁদো নদী কাঁদো’ উপন্যাসটি আবার পড়তে গিয়ে চমকে উঠলাম।বহু বছর আগে পড়েছিলাম। কিন্তু তখন যে ভাবনাটি আমার মনোজগতে ছায়া ফেলেছিল তা ছিল অতি সাধারণ। কয়েকটি সকরুণ চিত্র। মনে মনে কল্পনা করে নিয়েছিলাম, মরণাপন্ন একটি নদী, যার নাম বাঁকাল, তার কূলে গড়ে ওঠা কুমুরডাঙ্গা নামে কোন এক গ্রাম। তবারক নামের একজন ব্যক্তি পুঁথিপাঠের মত বলে চলেছে সেই গ্রামের নানা গল্প। সে গল্পের সুতো ধরে এসেছে অনেকগুলো চরিত্র। কেউ সবাক। কেউবা আড়ালমুখি এবং নির্বাক। তবে সব চরিত্রকে ছাড়িয়ে বড় হয়ে উঠেছিল বাঁকাল…