অঞ্জনা নদীর তীরে

অঞ্জনা-নদী-তীরে চন্দনী গাঁয়ে পোড়ো মন্দিরখানা গঞ্জের বাঁয়ে জীর্ণ ফাটল-ধরা – এক কোণে তারি অন্ধ নিয়েছে বাসা কুঞ্জবিহারী। আত্মীয় কেহ নাই নিকট কি দূর, আছে এক লেজ কাটা ভক্ত কুকুর। [রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর] এটাই তো সত্যি। মানুষের তৈরি মন্দির পোড়ো মন্দিরে পরিণত হয়।পোড়ো মন্দির বিগ্রহের জন্য নয় তা অন্ধ নিকুঞ্জবিহারীর আশ্রয়। সঙ্গী লেজ কাটা ভক্ত। এতো গেলো মানুষের তৈরি ভাঙা-গড়ার চক্র। কিন্ত প্রকৃতির সৃষ্টি নদী কে মানুষ কি ভাবে নদী থেকে খাল -খাল থেকে -শহরের বর্জ্য বয়ে নিয়ে চলা নর্দমা তে পরিণত করতে পারে? তা দেখতে পেলাম কৃষ্ণনগরে। সমৃদ্ধশালী শহর কৃষ্ণনগর ।…

পশ্চিমবঙ্গের নদী বাঁচাও আন্দোলনে ইতিহাস সৃষ্টি হতে চলেছে 

কেমন আছো নদী- এই শিরোনামকে সামনে রেখে এবার সমগ্র পশ্চিমবঙ্গেই নদীকর্মীরা কেন্দ্রীয় ভাবে জড়ো হচ্ছে কলকাতায় ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে।তার আগে কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটা প্রেস কনফারেন্স এবং কলকাতা বইমেলাতেও এই সম্পর্কিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হলো। গতকাল শুক্রবার [৪ জানুয়রি] সবুজ মঞ্চের কলকাতা অফিসে রাজ্য নদী বাঁচাও কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের নদী ও সমাজ কর্মীরা উপস্থিত হয়েছিলেন কলকাতায়। প্রায় চার ঘন্টার ম্যারাথন মিটিং চলে। সেখানে উঠে আসে নদী কমিশন গঠন, ড্যামের পর্যালোচনা, নো মোর ড্যাম নীতি গ্রহন করা, নদীতে যে কোন দখল মুক্ত করা,…

শ্রীমতি নদীর কান্না শুনবে কলকাতা 

কলকাতা (দক্ষিণ দিনাজপুর) থেকেঃ জলের একটা কান্না আছে। সেটা অনুভব করতে হয়। আর ঠিক সেটাই অনুভব করেছিলেন শ্রীমতি নদী পাড়ের মানুষ। আর তাই তো নদী নিয়ে নাটক নির্মাণ করে ফেললেন বুনিয়াদপুরের অরণী নাট্য সংস্থা। ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুরের এই নাট্যসংস্থাটির উদ্যোগে নদী বাঁচাও আন্দোলনেও নতুন দিক সূচিত হলো। বিশিষ্ট নাট্যকার তীর্থঙ্কর রায়ের “অন্তরে প্রস্তর প্রস্তরে অন্তর ” তাই আমাদেরই কান্নার কথা যা আমরা প্রতিনিয়ত শুনতে পাই শ্রীমতি নদীতে” বললেন নাটক টির নির্দেশক পবিত্র দাস। শ্রীমতি উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের অন্যতম প্রধান নদী। সেই নদী এখন মৃতপ্রায়। নদীর বুকে চাষের জমি, কৃষক দের…

আপনার ছেলেবেলার নদীটা কি বেঁচে আছে না মরে গেছে? – প্রভাষ আমিন

।। রিভার বাংলা ডট কম ।। নদীমাতৃক বাংলাদেশে সবার স্মৃতিতেই একটা না একটা নদী থাকে। ছেলেবেলার স্মৃতির পরতে পরতে থাকে নদীর বিস্তার। আমাদের বাড়ির সবচেয়ে কাছে দাউদকান্দি দিয়ে বয়ে গেছে গোমতী নদী। প্রমত্তা মেঘনাও খুব দূরে নয়। কিন্তু আমার ছেলেবেলার নদীর নাম কালাডুমুর। আমার মামাবাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া এই নদীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক সেই গানের মত, ‘এই নদীতে সাঁতার কাইটা বড় হইছি আমি…’। আমার জন্ম রঘুনাথপুরে মামাবাড়িতে। আমরা শহীদনগর থেকে বাসে যেতাম ইলিয়টগঞ্জ। সেখান থেকে নৌকায় পাঁচপুকুরিয়া হয়ে সালিয়াকান্দি রঘুনাথপুর। এই পথটা ছিল ছেলেবেলায় আমাদের অনাবিল আনন্দের উৎস। বর্ষায়…