তরুণ কবি সৌমেন মন্ডল এর কবিতা “এক যে ছিল নদী”

এক যে ছিল নদী ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ তুলত রোজ পানসি নৌকা ভাসিয়ে দূরের যাত্রী হতা‌ম জলে কান পাতলেই শোনা যেত মাছেদের কথোপকথন কত নিঃসঙ্গ বিকেলে মন খারাপের পর্দা খসে হু হু করে ঢুকেছে বসন্ত বাতাস অতঃপর উন্নয়নের ধ্বজাধারী ধর্ষকদের গলায় শোনা যায়—মাইকটেস্টিং, হ‍্যালো…হ‍্যালো চিৎকার, শোরগোল চলে ক্রুশকাঠে প্রথম পেরেক সাঁটা এখন ঘ‍্যোৎ ঘ‍্যোৎ শব্দে স্তনবৃন্তে যান্ত্রিক ক্লিপ লাগিয়ে শুষে নিচ্ছে বুকের সব রক্ত গর্ভবতী নদীর সমস্ত শরীর জুড়ে চলছে সারি সারি কংক্রিটের থাম গাঁথা অতীতের ছাল ছাড়িয়ে নদীর পাড়ে দাঁড়ালেই দেখি— চাপ চাপ রক্তে ভিজে গেছে চেনা উঠোন। ধূলো ঝেড়ে…

রাজেশ ধর এর গল্প- “চুপিকথা”

রাজেশ ধর ।। এখানে একটা নদী আছে, নাম চুপি।  চুপিতে এখনো জোয়ারভাটা খেলে। জোয়ারভাটা তো নদীতে খেলবেই। কিন্তু মল্লিকদাদু…আমাকে দেখলেই ডাকে। তারপর বলে, “ কীরে মধুর নাতি, দাদু কেমন আছে? নদীতে যেতে পারে এখনো মাছটাছ ধরতে?  ছোটবেলায় নদীতে, বিলে  ডোঙা নিয়ে একসঙ্গে কত মাছ ধরেছি…” মল্লিকদাদু নদীর দিকে তাকিয়ে থাকে, আমিও তাকাই চুপির দিকে। হয়তো সকালের মেঘলা আকাশের রঙে চুপিকে তখন সবজে দেখাচ্ছে, ভাটির টানে  কচুরিপানাগুলো ফিরে যাচ্ছে তাদের পুরোনো জায়গায় যেখান থেকে আবার জোয়ারের টানে তারা ফিরে আসবে। নয়তো বিকেলের লাল আলো নিভে যাওয়া ছাই ছাই আকাশ আর একটু হলেই  নেমে আসবে চুপির বুকে। মল্লিকদাদু সকাল-বিকেল নদীর ঘাটে আসে। কলকাতার কোন বড় কলেজে নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূগোল পড়াত মল্লিকদাদু। আমাকে প্রায়ই…