তাঁদের বন্ধুতা অনেকদিনের। নদীই বেঁধে দিয়েছে বন্ধুতার এই পথ। নদীই দুই বন্ধুর সেতু। ভারতের সাংবাদিকও পরিবেশকর্মী তুহিন শুভ্র মন্ডল এবং নদী বিশেষজ্ঞ সুপ্রতিম কর্মকার। নদীকে কেন্দ্রে রেখে তাদের এই আড্ডায় প্রথম থেকে শেষপর্যন্ত জুড়ে থাকলো নদীই। উঠে এল স্থানীয় ও দেশীয় নদী, নদীর সমস্যা, সমাধানের পথ। কলকাতায় অনুষ্ঠিত এই আড্ডার সবটুকু রিভার বাংলার পাঠকদের জন্য উপস্থাপন করা হলো।- সম্পাদক, রিভার বাংলা। তুহিন শুভ্র মন্ডল: সুপ্রতীম, তোমাকে নদীমাতৃক সবুজ শুভেচ্ছা।নদীই আমাদের বন্ধুত্বের সেতু। কি বলো? সুপ্রতিম কর্মকার: তুহিন দা, তুমি আমার একজন নদী বন্ধু। তাই তোমাকেও জানাই একনদী শুভেচ্ছা। তুমি দেখো,…
Tag: পদ্মা নদী
সে এক মায়াবী নদী ।। সৈয়দ কামরুল হাসান
ফুলের গন্ধটা তীব্র হয়ে নাকে লাগে। হু হু করে যখন বাতাস বইতে শুরু করল ঠিক তখন ঘুম ভেঙ্গে যায় আমার। কিন্তু এই নৌকায় ফুলের গন্ধটা কোত্থেকে আসবে বুঝতে পারিনা প্রথমে। পরে কারণটা ধরতে পারি ধীরে সুস্থে। আসলে আমি মায়ের কোলে শুয়ে ছিলাম। মায়ের কোলে শুয়ে আশৈশব পেয়েছি এই ফুলের ঘ্রাণ। বড় হয়ে যখন কারণটা বুঝতে পেরেছি, ততদিনে মা আমাদের মায়া ত্যাগ করে পরপাড়ে পাড়ি জমিয়েছেন। মায়ের পছন্দ ছিল জবাকুসুম তেল, বরাবর বাবা তাই বাড়ি এনে দিয়েছেন, মা সেই তেল মাখতেন চুলে। কিন্তু, কারণ সনাক্ত হবার আগেই সেই যে অবুঝ শিশুর…
গল্প : পদ্মার সাথে বিনিদ্র বাসর
উচ্চ মাধ্যমিক পেরিয়ে স্নাতকের করিডোরে পা রাখলো অমিত। স্কুল-কলেজের সেরা ছাত্র সে। এরইমধ্যে প্রাচ্যের একটি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার জুনিয়র অফিসার হিসেবে চাকরির দরখাস্ত করেছিল। কলমের জোরে নিয়োগপত্র ও দ্রুত চলে আসে। যৌথ পরিবারের সবাই খুশি। এতো ভাল চাকুরী সহজে মিলে না। অমিত নিয়োগপ্রাপ্ত হয় ধান নদী খাল এই তিনে বরিশাল জেলায়। ২০০৩ সালে তখন বরিশাল জেলা ছিলো। ছামান গোছগাছ করে নিয়োগপত্র সংঙ্গে করে নরসুন্দাপাড়ের অমিত পাড়ি দিলো ধানসিঁড়ির উদ্দেশ্যে। ঢাকার সদরঘাট থেকে বুড়িগঙ্গা হয়ে পদ্মার উপর দিয়ে সারারাত লঞ্চে বরিশাল। নভেম্বরের মাঝামাঝি শীতল পদ্মার বুকে পারাবত-১ নামক লঞ্চটির ছুটে চলা…
বাঁধালে বিপন্ন মাথাভাঙ্গা নদী
নদীয়া জেলার একটি আন্তঃসীমান্ত নদী হল মথাভাঙা (উৎপত্তি বাংলাদেশের পদ্মা নদী মোহনা ভাগীরথী) আন্তর্জাতিক সীমা অতিক্রম করে ভারতে মাত্র ১৯কিমি প্রবাহিত হয়ে চূর্ণিও ইছামতি নামে দুটি শাখার বিভক্ত হয়েছে। এর অকৃতি খানিকটা ইংরেজি’Y’ এর মত।বর্তমানে এই নদীটির জলন্ত সমস্যা হল নদী বাঁধাল (নদী তে বালির বস্তা,বাঁশ,মশারির নেট,ব্যবহার করে প্রবাহ কে ২/৩ফুটে আবদ্ধ করে সেখানে বড় গোলাকার মুখের লম্বা জালের ব্যবহার) এর নিয়ন্ত্রক স্থানীয় কিছু আসাধু মৎস্যজীবী। নদীর যাবতীয় মাছ ও জলজ প্রানী সবই আটকে পড়ে ওই বাঁধালে।বর্তমানে নদী মাছশূন্য।নদী তীরবর্তী ১৩০টি গ্ৰামের প্রায়৩০হাজার মৎস্যজীবী পরিবার জীবিকা হারিয়েছেন। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী থেকে…
নড়িয়ার নদীভাঙন ও মানুষের দুর্দশা- ধরিত্রী সরকার সবুজ
।। রিভার বাংলা ডটকম ।। শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলাটি পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙনের মুখে পড়েছে। এ উপজেলার অনেক স্থাপনা ও শত শত ঘড়বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। মানুষের চোখের সামনে একের পর এক বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট পদ্মার পেটে চলে যাচ্ছে। পদ্মা নদীর পানি ও স্রোত গত শুক্রবারও বেড়েছে এবং নড়িয়া উপজেলায় ভাঙন অব্যাহত আছে। শুক্রবার পর্যন্ত ছয় হাজার ১৩০টি পরিবার নদীভাঙনে ঘরবাড়ি হারাল। পদ্মা নদীর চলমান ভাঙনের ফলে উপজেলার মানুষ উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন যাপন করছে। কেদারপুর, কেদারপুর দাসপাড়া ও উত্তর কেদারপুর গ্রামের মানুষ পুরোটা সময় পার করছে ঘরবাড়ি হারানোর আশঙ্কা…