ব্রহ্মপুত্র প্রবাহ

ব্রহ্মপুত্র

বন্ধুগণ, আজকের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র এই বিষয়টি বুঝতে পারলেও আমরা নিজেদেরকে আবিষ্কার করতে পারবো। এই যে ‘প্রাণ’ শব্দটি এখানে ব্যবহার করা হয়েছে, পরে ‘সভ্যতা’ এবং ‘শিল্প-সাহিত্যের বিকাশ’… এই সবকিছুই শুরু হয়েছে জল এবং জলপ্রবাহ বা নদী থেকে। আমার খুব প্রিয় একজন মানুষ কফিল আহমেদ, আপনারা তাঁকে গণসংগীতশিল্পী হিশেবে চিনেন, আমি তাঁকে দার্শনিক মনে করি; তাঁর কাছ থেকে আমি এ বিষয়ে সীমাহীন উপকৃত হয়েছি। প্রাণ কি? প্রকৃতি কি? এগুলোর সাথে আমাদের সম্পর্কটাই বা কি? দেখতে ভালো লাগে, শুধুমাত্র এ জন্যই কি আমরা নদীকে বাঁচাতে চাই? একটু ঘোরাঘুরি করি বা চোখে…

নদীয়ার গোরাগাঙনি : খাল নয়, নদী

গোরাগাঙনি

গোরাগাঙনি একটি নদীর নাম। তার উৎসমুখ লুঠ হয়ে গেছে। চূর্ণীর যে স্থান থেকে তার সূচনা, সেখানে এখন আবাদী ফসলের মাঠ। কিন্তু কথায় বলে না, ‘নদী শুকিয়ে গেলেও খাত বেঁচে থাকে’। ফলে নদীয়া জেলার হাঁসখালি ব্লকের বেড় হাঁসখালি ও পাড়বাটিকামারী দুটো গ্রামের ভৌগোলিক সীমানাবিভাজন রেখার মতো এখানে এখনও বেঁচে আছে নদীখাত। দীর্ঘ চোদ্দো কিলোমিটার পথ- কোথাও অতিপ্রশস্ত নদীর মতো জলধারা, আবার কোথাও সেই ধারা ক্ষীণ বটে। মাঝে মাঝে ভেড়ি বেঁধে চলছে মাছের চাষ। আবার কোথাও বা নদীপাড়ের বড়ো বড়ো বাড়ি থাবা বসিয়েছে নদীর জলকর অংশে। এই সব আগ্রাসনেই হারিয়ে গেছে গোরাগাঙনির…